হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫২৯৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫২৯৫-[১] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার উম্মাতের মধ্য সত্তর হাজার লোক হিসাব ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা হলো ঐ সমস্ত লোক যারা মন্ত্র-তন্ত্র করায় না, অশুভ লক্ষণে বিশ্বাস করে না এবং তারা নিজেদের পরওয়ারদিগারের ওপর ভরসা রাখে। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ هُمُ الَّذِينَ لَا يَسْتَرْقُونَ وَلَا يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ» مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (6472) و مسلم (371 / 218)، (524) ۔ (مُتَّفق عَلَيْهِ)

ব্যাখ্যা : (سَبْعُونَ أَلْفًا) ৭০ হাজার। আল্লামাহ্ ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: এর দ্বারা নির্দিষ্ট সংখ্যাই উদ্দেশ্য অথবা আধিক্য উদ্দেশ্য। আল্লামাহ্ মুবারকপূরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, প্রথমটি তথা ৭০ হাজার সংখ্যাই এখানে উদ্দেশ্য। তবে তিরমিযীর বর্ণনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক হাজারের সাথে আরো ৭০ হাজার এবং প্রতিপালকের দুই হাতের চৌল ভর্তি।
(هُمُ الَّذِينَ لَا يَسْتَرْقُونَ) তারা ঐ সমস্ত লোক যারা ঝাড়ফুঁক করায় না। না কুরআনের আয়াত দ্বারা, না তার নাম ও গুণাবলির দ্বারা।
(وَلَا يَتَطَيَّرُونَ) তারা পাখি উড়িয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করে না অথবা পাখি বা কোন প্রাণী বা কোন কথাকে শুভ লক্ষণ মনে করে না বরং কোন বিপদ দেখলে এই দু'আ পাঠ করে: (اَللّٰهُمَّ لَاطَيْرُكَ،وَلَا خَيْرُ إِلَّاخَيْرُكَ،وَلَا إلٰهَ غَيْرُكَ اَللّٰهُمَّ لَا يَأْتِيْ بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ وَلَا يَزْهَبُ بِالسِّئَاتِ إلَّا أَنْتَ)

অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তোমার কল্যাণ ছাড়া আর কারো নিকট কল্যাণের আশা করা যায় না, তোমার ফায়সালাই চূড়ান্ত, তুমি ছাড়া আর কেউ গায়িব জানে না। পাখিরা তো তোমারই সৃষ্টি, তারা ভালো-মন্দের ক্ষমতা রাখে না, তুমি ছাড়া কোন সত্য মা'বুদ নেই।

(وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ) তারা যাবতীয় কর্মকাণ্ডে আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। নিহায়াহ্ গ্রন্থকার বলেন, এটা ঐ সমস্ত আওলিয়ার বৈশিষ্ট্য যারা দুনিয়ার সামগ্রীর প্রতি খেয়াল রাখেন না। অতএব এটা নির্দিষ্ট শ্রেণির লোকের সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে সর্বসাধারণের জন্য ঝাড়ফুক এবং চিকিৎসা গ্রহণ করার অনুমোদন রয়েছে। তদুপরি যারা বিপদে ধৈর্যধারণ করবে এবং দু'আ ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার নিকট তার কষ্ট লাঘব কামনা করবে তারা ঐ সমস্ত খাস বান্দা এবং আওলিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/২৪৩৭)