পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৫১৮১-[২৭] কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: দুটি ক্ষুধার্ত বাঘকে মেষ-বকরীর দলের মধ্যে ছেড়ে দিলে ততটুকু ক্ষতিসাধন করে না, যতটুকু কোন ব্যক্তির ধন সম্পদের ভালোবাসা ও মর্যাদার লালসা তার দীনের ক্ষতি করে থাকে। (তিরমিযী ও দারিমী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ
وَعَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلَا فِي غَنَمٍ بِأَفْسَدَ لَهَا مِنْ حِرْصِ الْمَرْءِ عَلَى الْمَالِ والشرف لدينِهِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي حسن ، رواہ الترمذی (2376 وقال : حسن صحیح) و الدارمی (2 / 304 ح 2733) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা : (مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلَا...) উল্লেখিত হাদীসের সারমর্ম হলো এই সম্পদ এবং ঐশ্বর্য পাওয়ার নেশায় মোহগ্রস্ত ব্যক্তির ধর্মীয় কাজে যতটুকু পরিমাণ ক্ষতি হয় কোন বকরীর পালে ক্ষুধার্ত দুটি নেকড়ে ছেড়ে দিলেও ততটুকু পরিমাণ ক্ষতি হয় না।
কাজেই লোভ করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর যদি সেটা সম্পদশালী হওয়া আর অভিজাত্য ও ঐশ্বর্যের ব্যাপারে হয় তাহলে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মাল ক্ষতিকর এজন্য যে, তা মানুষের মধ্যে এক প্রকার ক্ষমতা সৃষ্টি করে যা মানুষকে প্রবৃত্তির অনুসরণের দিকে আহ্বান করে এবং দুনিয়ার নি'আমাতের মধ্যে ডুবে থাকার দিকে আকৃষ্ট করে। ফলে সে ব্যক্তি নি'আমাতের মধ্যে ডুবে থাকা পছন্দ করে। কখনো তা এত বৃদ্ধি পায় যে, সে যদি হালাল উপায়ে তা অর্জন করতে না পারে তাহলে সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে যা তাকে আল্লাহ স্মরণ বিমুখ করে তুলে। অভিজাত্য তথা সুনাম অর্জন ক্ষতিকর এজন্য যে, মানুষ এই সুনাম অর্জনের জন্যই সম্পদ ব্যয় করে যা অতি সূক্ষ্ম শিরক। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২৩৭৬; মিক্বাতুল মাফাতীহ)