হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫১৭৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৫১৭৩-[১৯] জাবির (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট এমন এক ব্যক্তির আলোচনা করা হলো, যে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগীতে খুব চেষ্টা করে (কিন্তু গুনাহ হতে বেঁচে থাকার প্রতি তেমন লক্ষ্য রাখে না) এবং এমন আরেক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো (যে ইবাদত-বন্দেগী কম করে) কিন্তু সে পরহেজগারী অবলম্বন করে (গুনাহ হতে বেঁচে চলে), তখন নাবী (সা.) বলেন, তা (ইবাদত করা এবং ’ইবাদতে সচেষ্ট থাকা) পরহেজগারীর সমতুল্য হতে পারবে না। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: ذُكِرَ رَجُلٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعِبَادَةٍ وَاجْتِهَادٍ وَذُكِرَ آخَرُ بِرِعَّةٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَعْدِلْ بِالرِّعَّةِ» . يَعْنِي الْوَرَعَ. رَوَاهُ الترمذيُّ اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2519 وقال : غریب) * محمد بن عبد الرحمن بن نبیہ : مجھول الحال ۔ (ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (لَا تَعْدِلْ بِالرِّعَّةِ) অর্থাৎ ‘ইবাদাতকে পরহেজগারিতা দিয়ে মাপা যায় না। (الرِعَّةِ) মূলত (الورع) ছিল। এর অর্থ হলো, হারাম কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকা। 

হাদীসের মূল অর্থ হলো, একজন লোক অনেক ‘ইবাদত করে কিন্তু হারাম থেকে বেঁচে থাকার পরহেজগারিতা কম। পক্ষান্তরে আরেকজন লোক ‘ইবাদত-বন্দেগী কম করলেও হারাম কার্যকলাপ সম্পর্কে খুবই পরহেজগারী। এ দুই ব্যক্তির মধ্যে কে উত্তম? এটা নাবী (সা.) এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন, ‘ইবাদাতকে পরহেজগারিতার সাথে মিলিও না। অর্থাৎ মুত্তাক্বী লোকেদের ‘ইবাদত এমনিতে বেশি হয়। পরিমাণে এবং মর্যাদায় উভয় স্তরে সমান থাকে।

রাগিব (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, শারী'আতের পরিভাষায় (وَرَعَ) বলা হয় দুনিয়ার সহায়-সম্পদ অর্জনের জন্য তাড়াহুড়া বর্জন করা। অর্থাৎ দুনিয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত না হওয়াকে (وَرَعَ) তথা পরহেজগারিতা বলা হয়। এটা তিন প্রকার- (১) ওয়াজিব : সমস্ত হারাম কাজ হতে বিরত থাকা। এটা সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। (২) মানদূব : সন্দেহজনক জিনিস হতে বিরত থাকা। অর্থাৎ কোন কাজ ইসলামী শারী'আতে জায়িয নাকি হারাম তা অস্পষ্ট হলে সে কাজ হতে বিরত থাকা। এটা তা মধ্যম পর্যায়ের লোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। (৩) ফযীলত বা মর্যাদাপূর্ণ কাজ : অনেক বৈধ কাজ হতে বিরত থাকা এবং সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয়তার মধ্যে স্বীমাবদ্ধ থাকা। আর এটা নবী, শহীদ, সিদ্দীক ও সালিহীনদের জন্য প্রযোজ্য। (মিক্বাতুল মাফাতীহ)