হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
১২০১
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. হায়িযগ্রস্ত মহিলার মসজিদে প্রবেশ
১২০১. আব্দুল মালিক বর্ণনা করেন, হায়িযগ্রস্ত মহিলা মসজিদ হতে কিছু আনতে পারবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে আতা রাহি. বলেন, হাঁ, তবে কুরআন ব্যতীত।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/৩৬০।
আমি বলছি: এর শাহিদ হাদীস হলো আয়িশা রা: কর্তৃক বর্ণিত যা পূর্বে ৭৯৮ (অনূবাদে ৭৯৪) নং এ গত হয়েছে।
‘জুনুবী’ লোকের মসজিদে প্রবেশের ব্যাপারে উলামাগণ মতভেদ করেছেন:
১. এদের মধ্যে রয়েছেন যারা সাধারণভাবে এথেকে নিষেধ করেছেন। এটি মালিক ও তার সাথীদের মত।
২. এবং এদের মধ্যে রয়েছেন, যারা মসজিদ অতিক্রমকারী ব্যতীতে সেখানে অবস্থানকারীদেরকে এ থেকে নিষেধ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছে ইমাম শাফিঈ।
৩. সেই সকল উলামা যারা সকলের জন্য একে অনুমতি দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন দাউদ তার সাথীরা, এবং কতক শাফিঈ ফকীহ।
আর ইবনু আব্বাস, আলী, সাঈদ ইবনু যুবাইর, মুজাহিদ, হাসান, হাকাম, এবং ইবনু যাইদ থেকে বর্ণিত, আছে পথচারী তথা মুসাফির জুনুবী হয়ে পানি না পেলে তাকে তায়াম্মুম করতে হবে।
ইবনু মাসউদ হতে মুনকাতি‘ সনদে, ইবনু আব্বাস ‘শক্তিশালী নয়’ এমন সনদে পুর্বে উল্লেখিত হয়েছে, এবং সাঈদ , আবী যুবাইর, ইকরিমাহ ও ইবরাহীম রাহি. হতে বর্ণিত আছে যে, এর অর্থ সালাতের স্থানের তথা মসজিদের নিকটবর্তী না হওয়া, তবে তোমাদের জন্য কেবল সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য (মসজিদ অতিক্রম করার) অনুমতি আছে।...
এ অনুচ্ছেদে হায়িযগ্রস্ত মহিলার সম্পর্কে যে মতভেদ তা হচ্ছে মুলত: জুনুবীর সম্পর্কে মতভেদ।......।
بَاب دُخُولِ الْحَائِضِ الْمَسْجِدَ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ فِي الْحَائِضِ تَنَاوَلُ مِنْ الْمَسْجِدِ الشَّيْءَ قَالَ نَعَمْ إِلَّا الْمُصْحَفَ