পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৪৮(২). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে আমাদের নিয়ে সফর করলেন। অতঃপর আমরা (রাতের শেষভাগে) ঘুমিয়ে গেলাম এবং (সকালবেলা) আমরা কেবল সূর্যের তাপেই সজাগ হলাম। আমাদের মধ্যে ছয় ব্যক্তি (প্রথমে) সজাগ হলো যাদের নাম আমি ভুলে গেছি। তারপর আবু বাকর (রাঃ) সজাগ হলেন এবং তিনি তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জাগাতে নিষেধ করলেন। তিনি বললেন, হতে পারে আল্লাহ তাকে কোন প্রয়োজনে (ঘুমে) আটক করে রেখেছেন। আবু বাকর (রাঃ) অধিক তাকবীর ধ্বনি দিতে থাকলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সজাগ হলেন। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের নামাযের ওয়াক্ত চলে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের নামাযের ওয়াক্ত চলে যায়নি। তোমরা এই স্থান থেকে প্রস্থান করো।
এরপর তিনি রওয়ানা হয়ে কিছু দুর গেলেন, তারপর বাহন থেকে অবতরণ করে নামায পড়লেন। তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে নামায পড়েনি। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন্ জিনিস তোমাকে নামায পড়তে বাধা দিয়েছে? সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নাপাক হয়েছি। তিনি বললেনঃ তুমি পাক মাটি দিয়ে তাইয়াম্মুম করে নামায পড়ো। আর যখন তুমি পানি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে, তখন গোসল করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে পানির খোঁজে পাঠালেন। আমাদের প্রত্যেকের কাঁধে খরগোশের দুই কান সুদৃশ পাত্র ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিপাসার্ত হলে আমরা দ্রুত তাঁর নিকট পানি নিয়ে যেতাম। আলী (রাঃ) পানির খোঁজে চলে গেলেন। কিন্তু অনেক বেলা হয়ে গেল তখনও তিনি পানি পেলেন না। উৎকণ্ঠিত হয়ে আলী (রাঃ) বললেন, তোমরা এখানে অপেক্ষা করো, আমি দেখে আসি ওটা কি?
রাবী বলেন, দেখা গেল, দুইটি পানির মশকের মাঝখানে এক মহিলা। তাকে বলা হলো, হে আল্লাহর দাসী! কোথায় পানি পাওয়া যায়? সে বলল, পানি নেই। তোমাদের আল্লাহর শপথ করে বলছি। আমি গতকাল পানি পান করেছি। এরপর আমি পূর্ণ এক রাত-দিন সফর করেছি। এই মুহুর্তে আমি এখানে। তারা তাকে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট চলো। সে বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে? তারা বললেন, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। সে বলল, কুরাইশ গোত্রের পাগল! তারা বললেন, নিশ্চয়ই তিনি পাগল নন, বরং আল্লাহর রাসূল। সে বলল, হে লোকসকল! তোমরা আমার রাস্তা ছেড়ে দাও। আল্লাহর শপথ! আমি আমার বাচ্চা মেয়েকে ছাগলের পালে রেখে এসেছি। অবশ্যই আমি ভয় পাচ্ছি যে, আমি তথায় পৌছে তাদেরকে পাবো না, এমনকি তাদের কতক তৃষ্ণায় মারা যেতে পারে। তারা তার কথায় কর্ণপাত না করে তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে এলেন।
তিনি তার উট সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তা বসানো হলো, এরপর তিনি মশকের উপরিভাগের মুখ খোললেন, তারপর একটি বৃহদাকার পাত্র নিয়ে ডাকলেন। তিনি পানি দিয়ে সেই পাত্র ভরে পাশের ব্যক্তিকে দিলেন এবং বললেন, যাও, (এই পানি দিয়ে) গোসল করো। রাবী বলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা সমস্ত পাত্র ও মশক পানি দিয়ে ভরলাম, আর সেই (মহিলা) তা দেখছিল। তারপর তিনি মশকের উপরিভাগের মুখ বাঁধলেন এবং তাকে উটসহ পাঠিয়ে দিলেন। তিনি বললেনঃ হে মহিলা! তোমার পানি ফেরত লও। আল্লাহর শপথ! যদি আল্লাহ পানি বাড়িয়ে না দিতেন (তাহলে কতইনা অসুবিধা হতো)। তোমার পানি এক ফোটাও কমেনি, তিনি তার জন্য একটি চাদর নিয়ে ডাকলেন এবং তা বিছিয়ে দিলেন, তারপর আমাদের বললেনঃ যার কাছে যা কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে। অতএব কেউ পুরাতন জুতা, কেউ পুরাতন কাপড়, কেউ এক মুষ্টি বার্লি, কেউ এক মুষ্টি খেজুর এবং কেউ রুটির টুকরা আনলো। তিনি তার জন্য এগুলো জমা করলেন, তারপর এগুলো তার জন্য বাঁধলেন, অতঃপর তার নিকট তার গোত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সে তাকে অবহিত করলো।
রাবী বলেন, সে তার গোত্রে ফিরে এলো। তারা বলল, কোন জিনিস তোমাকে আটকিয়ে রেখেছিল? সে বলল, আমাকে কুরাইশ গোত্রের এক পাগলে ধরেছিল। আলাহর শপথ! নিশ্চয়ই সে দুইজনের একজন। হয় সে আসমান ও জমিনের মাঝে সর্বাধিক অভিজ্ঞ জাদুকর অথবা নিশ্চয়ই সে আল্লাহর সত্য রাসূল। রাবী বলেন, তাদের নিকটবর্তী যারা ছিল, তাদের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অশ্বারোহী বাহিনী আক্রমণ করলো, কিন্তু তারা (ঐ নারীর গোত্র) নিরাপদ থাকলো। রাবী বলেন, (সেই) মহিলা তার গোত্রকে বলল, হে (আমার) গোত্র! আল্লাহর শপথ! আমি এই ব্যক্তিকে তোমাদের পানি নেয়ার পর তার জন্য তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই দেখেছি। তোমরা কি দেখো না, তিনি তোমাদের পার্শ্ববর্তী। লোকদের আক্রমণ করেছেন, কিন্তু তোমরা তার থেকে নিরাপদ রয়েছ, তিনি তোমাদের আক্রমণ করছেন না? তোমাদের কি কল্যাণ লাভের প্রয়োজন আছে? তারা বলল, তা (কল্যাণ) কি? মহিলা বলল, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করবো। রাবী বলেন, অতএব সেই মহিলা তার পরিবারের তিরিশজনকে নিয়ে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাইআত হলো এবং ইসলাম গ্রহণ করলো।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ ، نَا أَبُو دَاوُدَ ، نَا عَبَّادُ بْنُ رَاشِدٍ ، سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ ، قَالَ : سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ يَقُولُ : سَارَ بِنَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ذَاتَ لَيْلَةٍ ، ثُمَّ عَرَّسْنَا فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ إِلَّا بِحَرِّ الشَّمْسِ ، فَاسْتَيْقَظَ مِنَّا سِتَّةٌ قَدْ نَسِيتُ أَسْمَاءَهُمْ ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ أَبُو بَكْرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَجَعَلَ يَمْنَعُهُمْ أَنْ يُوقِظُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، وَيَقُولُ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَكُونَ احْتَبَسَهُ فِي حَاجَتِهِ فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُكْثِرُ التَّكْبِيرَ ، فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، ذَهَبَتْ صَلَاتُنَا ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " لَمْ تَذْهَبْ صَلَاتُكُمُ ، ارْتَحِلُوا مِنْ هَذَا الْمَكَانِ " . فَارْتَحَلَ فَسَارَ قَرِيبًا ، ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى . فَقَالَ : " أَمَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَتَمَّ صَلَاتَكُمْ " . فَقَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَإِنَّ فُلَانًا لَمْ يُصَلِّ مَعَنَا . فَقَالَ لَهُ : " مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُصَلِّيَ ؟ " . قَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ . قَالَ : " فَتَيَمَّمِ الصَّعِيدَ ، وَصَلِّهْ ، فَإِذَا قَدَرْتَ عَلَى الْمَاءِ فَاغْتَسِلْ " . ، وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلِيًّا فِي طَلَبِ الْمَاءِ ، وَمَعَ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنَّا إِدَاوَةٌ ، مِثْلُ أُذُنَىِ الْأَرْنَبِ ، بَيْنَ جِلْدِهِ ، وَثَوْبِهِ فَإِذَا عَطِشَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ابْتَدَرْنَاهُ بِالْمَاءِ ، فَانْطَلَقَ حَتَّى ارْتَفَعَ عَلَيْهِ النَّهَارُ ، وَلَمْ يَجِدْ مَاءً فَإِذَا شَخْصٌ ، قَالَ عَلِيٌّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - مَكَانَكُمْ حَتَّى نَنْظُرَ مَا هَذَا . قَالَ : فَإِذَا امْرَأَةٌ بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ مِنْ مَاءٍ ، فَقِيلَ لَهَا : يَا أَمَةَ اللَّهِ ، أَيْنَ الْمَاءُ ؟ قَالَتْ : لَا مَاءَ وَاللَّهِ لَكَمِ اسْتَقَيْتُ أَمْسِ فَسِرْتُ نَهَارِي وَلَيْلَتِي جَمِيعًا ، وَقَدْ أَصْبَحْنَا إِلَى هَذِهِ السَّاعَةِ . قَالُوا لَهَا : انْطَلِقِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَتْ : وَمَنْ رَسُولُ اللَّهِ ؟ قَالُوا : مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَتْ : مَجْنُونُ قُرَيْشٍ ! . قَالُوا : إِنَّهُ لَيْسَ بِمَجْنُونٍ ، وَلَكِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَتْ : يَا هَؤُلَاءِ ، دَعُونِي فَوَاللَّهِ لَقَدْ تَرَكْتُ صِبْيَةً لِي صِغَارًا فِي غُنَيْمَةٍ ، قَدْ خَشِيتُ أَنْ لَا أُدْرِكَهُمْ حَتَّى يَمُوتَ بَعْضُهُمْ مِنَ الْعَطَشِ ، فَلَمْ يُمَلِّكُوهَا مِنْ نَفْسِهَا شَيْئًا حَتَّى أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِهَا ، فَأَمَرَ بِالْبَعِيرِ فَأُنِيخَ ، ثُمَّ حَلَّ الْمَزَادَةَ مِنْ أَعْلَاهَا ، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ عَظِيمٍ ، فَمَلَأَهُ مِنَ الْمَاءِ ، ثُمَّ دَفَعَهُ إِلَى الْجُنُبِ ، فَقَالَ : " اذْهَبْ فَاغْتَسِلْ " . قَالَ : وَايْمُ اللَّهِ مَا تَرَكْنَا مِنْ إِدَاوَةٍ وَلَا قِرْبَةٍ وَلَا إِنَاءٍ إِلَّا مَلَأَهُ مِنَ الْمَاءِ وَهِيَ تَنْظُرُ ، قَالَ : ثُمَّ شَدَّ الْمَزَادَةَ مِنْ أَعْلَاهَا ، وَبَعَثَ بِالْبَعِيرِ ، وَقَالَ : " يَا هَذِهِ ، دُونَكِ مَاءَكِ ، فَوَاللَّهِ إِنْ لَمْ يَكُنِ اللَّهُ زَادَ فِيهِ مَا نَقَصَ مِنْ مَائِكِ قَطْرَةٌ " . وَدَعَا لَهَا بِكِسَاءٍ فَبُسِطَ ، ثُمَّ قَالَ لَنَا : " مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَلْيَأْتِ بِهِ " . فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَأْتِي بِخَلَقِ النَّعْلِ ، وَخَلَقِ الثَّوْبِ ، وَالْقَبْضَةِ مِنَ الشَّعِيرِ ، وَالْقَبْضَةِ مِنَ التَّمْرِ ، وَالْفَلْقَةِ مِنَ الْخُبْزِ حَتَّى جَمَعَ لَهَا ذَلِكَ ، ثُمَّ أَوْكَاهُ لَهَا فَسَأَلَهَا عَنْ قَوْمِهَا ، فَأَخْبَرَتْهُ ، قَالَ : فَانْطَلَقَتْ حَتَّى أَتَتْ قَوْمَهَا ، قَالُوا : مَا حَبَسَكِ ؟ قَالَتْ : أَخَذَنِي مَجْنُونُ قُرَيْشٍ ، وَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَحَدُ الرَّجُلَيْنِ : إِمَّا أَنْ يَكُونَ أَسْحَرَ مَنْ بَيْنَ هَذِهِ وَهَذِهِ - تَعْنِي السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ - ، أَوْ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ حَقًّا . قَالَ : فَجَعَلَتْ خَيْلُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - تُغِيرُ عَلَى مَنْ حَوْلَهُمْ وَهُمْ آمِنُونَ ، قَالَ : فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ لِقَوْمِهَا : أَيْ قَوْمِ ، وَاللَّهِ مَا أَرَى هَذَا الرَّجُلَ إِلَّا قَدْ شَكَرَ لَكُمْ مَا أَخَذَ مِنْ مَائِكُمْ ، أَلَا تَرَوْنَ أَنَّهُ يُغَارُ عَلَى مَنْ حَوْلَكُمْ وَأَنْتُمْ آمِنُونَ لَا يُغَارُ عَلَيْكُمْ . هَلْ لَكُمْ فِي خَيْرٍ ؟ قَالُوا : وَمَا هُوَ ؟ قَالَتْ : نَأْتِي رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَنُسْلِمُ . قَالَ : فَجَاءَتْ تَسُوقُ بِثَلَاثِينَ أَهْلِ بَيْتٍ حَتَّى بَايَعُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَسْلَمُوا