হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৩৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩. অবৈধ মুযারাবা

রেওয়ারত ৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহারও নিকট করযের টাকা পাওনা থাকে আর যাহার নিকট টাকা পাওনা রহিয়াছে সে বলিল, তোমার যে টাকা আমার নিকট রহিয়াছে, তাহা আমার নিকট শরীকী কারবারে থাকিতে দাও ইহা অবৈধ বরং প্রথমে টাকা উশুল করিয়া লওয়া উচিত, পরে তাহার ইচ্ছা হইলে শরীকী কারবারে ঐ টাকা দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। কেননা টাকা উশুল করার পূর্বে উহাকে শরীকী কারবারে দিলে উহাতে সুদ হওয়ার আশংকা রহিয়াছে, যেমন দাতা তাহাকে সময় দেওয়ার পরিবর্তে ঋণ বাড়াইয়া দিল।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহাকেও শরীকী কারবারের জন্য টাকা দেয় এবং ব্যবসা আরম্ভ করিবার পূর্বেই কিছু টাকা নষ্ট হইয়া যায়, অতঃপর বাকী টাকা দ্বারা ব্যবসা করিয়া ঐ অবশিষ্ট টাকাকেই মূলধন ধরিয়া লভ্যাংশের আধা-আধি ভাগ করিয়া নেয়, তবে ইহা অবৈধ বরং প্রথমে সম্পূর্ণ মূলধন তাহার পরিশোধ করিতে হইবে, পরে যদি কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকে উহাকে মুনাফা ধরিয়া ভাগ করিয়া নিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবার স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদিতে জায়েয, অন্য আসবাব বৈধ নহে, কিন্তু যদি কারবারে বা ক্রয়-বিক্রয়ে কিছু অসুবিধা দেখা দেয় যাহা শোধরান কষ্টকর হয়, তবে বৈধ হইবে, কিন্তু সুদ ইহার ব্যতিক্রম, কেননা উহার কম-বেশি সবই হারাম, কোন প্রকারেই জায়েয নহে। আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ

وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ

অর্থাৎ যদি তোমরা সুদের কারবার হইতে তওবা কর, তবে তোমাদের জন্য মূলধন রহিয়াছে। না তোমরা কাহারও উপর জুলুম করিবে, আর না কেহ তোমাদের উপর জুলুম করবে। (বাকারাঃ ২৭৯)

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْقِرَاضِ

قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ لِرَجُلٍ عَلَى رَجُلٍ دَيْنٌ فَسَأَلَهُ أَنْ يُقِرَّهُ عِنْدَهُ قِرَاضًا إِنَّ ذَلِكَ يُكْرَهُ حَتَّى يَقْبِضَ مَالَهُ ثُمَّ يُقَارِضُهُ بَعْدُ أَوْ يُمْسِكُ وَإِنَّمَا ذَلِكَ مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ أَعْسَرَ بِمَالِهِ فَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُؤَخِّرَ ذَلِكَ عَلَى أَنْ يَزِيدَهُ فِيهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَهَلَكَ بَعْضُهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ ثُمَّ عَمِلَ فِيهِ فَرَبِحَ فَأَرَادَ أَنْ يَجْعَلَ رَأْسَ الْمَالِ بَقِيَّةَ الْمَالِ بَعْدَ الَّذِي هَلَكَ مِنْهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ قَالَ مَالِك لَا يُقْبَلُ قَوْلُهُ وَيُجْبَرُ رَأْسُ الْمَالِ مِنْ رِبْحِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ مَا بَقِيَ بَعْدَ رَأْسِ الْمَالِ عَلَى شَرْطِهِمَا مِنْ الْقِرَاضِ قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ الْقِرَاضُ إِلَّا فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ وَلَا يَكُونُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْعُرُوضِ وَالسِّلَعِ وَمِنْ الْبُيُوعِ مَا يَجُوزُ إِذَا تَفَاوَتَ أَمْرُهُ وَتَفَاحَشَ رَدُّهُ فَأَمَّا الرِّبَا فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ فِيهِ إِلَّا الرَّدُّ أَبَدًا وَلَا يَجُوزُ مِنْهُ قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ وَلَا يَجُوزُ فِيهِ مَا يَجُوزُ فِي غَيْرِهِ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ


Malik said, "When a man owes money to another man and he asks him to let it stay with him as a quirad, that is disapproved of until the creditor receives his property. Then he can make it a qirad loan or keep it. That is because the debtor may be in a tight situation, and want to delay it to increase it for him."

Malik spoke about an investor who made a qirad loan to a man, and some of the principal was lost before he used it, and then he used it and made a profit. The agent wanted to make the principal the remainder of the money after what was lost from it. Malik said, "His statement is not accepted, and the principal is made up to its original amount from his profit. Then they divide what remains after the principal has been repaid according to the conditions of the qirad."

Malik said, "Qirad loan is only good in gold or silver coin and it is never permitted in any kind of wares or goods or articles."

Malik said, "There are certain transactions which if a long span of time passes after the transaction takes place, its revocation becomes unacceptable. As for usury, there is never anything except its rejection whether it is a little or a lot. What is permitted in other than it is not permitted in it because Allah, the Blessed and the Exalted, said in His Book, 'If you repent, you have your capital back, not wronging and not wronged.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ