হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
৩৩৫
পরিচ্ছেদঃ ৮. সাহ্উ সিজদা ও অন্যান্য সিজদা প্রসঙ্গ - সালাম ফিরানোর পর সন্দেহকারীর সিজদা এর প্রসঙ্গে
৩৩৫. আহমাদ, আবূ দাউদ ও নাসায়ীতে ’আবদুল্লাহ বিন জা’ফার (রাঃ) থেকে একটি মারফূ’ হাদীসে রয়েছে, “যে ব্যক্তি সালাতে সন্দেহ পোষণ করবে সে যেন সালামের পর দু’টি সিজদা করে। ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ বলেছে।[1]
[1] আবূ দাউদ ১০৩৩, আহমাদ ১৭৫০, ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ তাঁর মাজমূ ফাতাওয়া ২৩/২২ গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে ইবনু আবূ লাইলা রয়েছে। ইমাম যাহাবী তাঁর তানকীহুত তাহকীক ১/১৯৭ গ্রন্থে হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন, ইমাম যাইলাঈ তাঁর নাসবুর রায়াহ ২/১৬৮ গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে মুসআব বিন শাইবান রয়েছেন যাকে আহমাদ, আবূ হাতিম ও দারাকুতনী দুর্বল বলেছেন। মুহাদ্দিস আযীমাবাদী তাঁর আওনুল মা’বূদ ৩/১৯৭ গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির সানাদে বিতর্ক রয়েছে। শাইখ আলবানী তাঁর যঈফ আবূ দাউদ ১০৩৩, যঈফ নাসায়ী ১২৪৯, যঈফুল জামে ৫৬৪৭ গ্রন্থে হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। তবে সহীহ নাসায়ী ১২৫০ গ্রন্থে উক্ত হাদীসের শেষে وهو جالس সহযোগে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইমাম শওকানী তাঁর নাইলুল আওত্বার (৩/১৪৪) গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে মুসআব বিন শাইবাহ রয়েছেন যার সম্পর্কে ইমাম নাসায়ী তাকে কখনও বলেছেন তিনি মুনকারুল হাদীস (হাদীস হিসেবে বর্জনযোগ্য)। আবার কখনও বলেছেন তিনি হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে মা’রূফ (পরিচিত) নন। ইবনু মুঈন তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। ইমাম মুসলিম তার সহীহ গ্রন্থে তার বর্ণিত হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি অসংখ্য মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ হাতিম আর রাযী বলেন, মুহাদ্দিসগণ তার সুনাম করেননি এবং তিনি শক্তিশালী নন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি শক্তিশালী নন ও হাফিযও নন। ইমাম শওকানী তাঁর নাইলুল আওত্বার (৩/১৩৯) গ্রন্থে, ইমাম নাসায়ীর মন্তব্যই নকল করেছেন। আর উতবাহ বিন মুহাম্মাদ ইবনুল হারিস সম্পর্কে আল ইরাকী বলেন, তিনি পরিচিত নন।
وَلِأَحْمَدَ, وَأَبِي دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيِّ; مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ بْنِ جَعْفَرٍ مَرْفُوعًا: «مَنْ شَكَّ فِي صَلَاتِهِ, فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَمَا يُسَلِّمُ». وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ - ضعيف. رواه أحمد (1/ 205 و 205 - 206)، وأبو داود (1033)، والنسائي (3/ 30)، وابن خزيمة (1033)، بسند ضعيف، وإن حاول الشيخ أحمد شاكر -رحمه الله- توثيق رجاله، ومن ثَمَّ تصحيحه (1747)، وفي «الأصل» بيان ذلك