পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০১৭-[৩৩] খাওলাহ্ বিনতু কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই এ (যুদ্ধলব্ধ) মাল দুনিয়াতে মোহনীয় ও আকর্ষণীয়। তবে যে ব্যক্তি তা ন্যায়সঙ্গতভাবে অর্জন করে তাতে তার বরকত হয়। আবার এমন অনেক লোকও আছে, যে আল্লাহ ও তাঁর রসূল-এর সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার করে না তথা খিয়ানাত করে, তার জন্য কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই। (তিরমিযী)[1]
وَعَن خولةَ بنتِ قيسٍ: قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ هَذِهِ الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ فَمَنْ أَصَابَهُ بِحَقِّهِ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَرُبَّ متخوض فَمَا شَاءَتْ بِهِ نَفْسُهُ مِنْ مَالِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ لَيْسَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا النَّارُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: দুনিয়ার মাল-ধনকে সুমিষ্ট, শ্যামল, চাক-চিক্যময় বস্তুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। সবুজ-শ্যামল বস্তু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় হয় ঠিক তদ্রূপ দুনিয়ার মাল-সম্পদও লোভনীয় বস্তু। মিষ্টি যেমন মানুষের কাছে লোভনীয় সুস্বাদু, দুনিয়ার সম্পদও তাই। ‘আরবেরা নি‘আমাতসমূহকে সবুজ বস্তু বলে থাকে। অথবা এটা দ্রুত হাত থেকে চলে যাওয়ার কারণে একে خَضِرَةٌ ‘সবুজ’ বলা হয়েছে। কষ্টক্লেশে সৎ পথে তা উপার্জন করলে আল্লাহ তাতে বরকত দান করেন। পক্ষান্তরে অন্যায়ভাবে উপার্জন করলে (যেমন গনীমাতের সম্পদ যথেচ্ছা গ্রহণ) ও তা ব্যয় করলে বা তসরূপ করলে কিয়ামতের দিন তার পরিণতি হবে জাহান্নামের আগুন। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩৭৪)
ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেনঃ দুনিয়ার সম্পদ হলো ঐ স্বর্গের ন্যায় যার মুখে রয়েছে বিষাক্ত জৈব-লালা এবং উপকারী প্রতিষেধক লালা। একজন সচেতন ব্যক্তি তার অনিষ্টতা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং তাকে এড়িয়ে চলবে, আর ওটাতে যে উপকারী প্রতিষেধক রয়েছে তা কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সেটা জানবে। পক্ষান্তরে একজন নির্বোধ ব্যক্তি তার ক্ষতির মুখোমুখিই হবে শুধু।