হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৯৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবন্দীদের বিধিমালা

৩৯৬৭-[৮] কাতাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক আবূ ত্বলহাহ্ সূত্রে আমাদের নিকট বর্ণনা করেন, বদর যুদ্ধ শেষে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২৪ জন কুরায়শ নেতার লাশ (কূপে ফেলার) ব্যাপারে নির্দেশ দেন। অতঃপর বদর প্রান্তরে একটি নোংরা দুর্গন্ধময় কূপে তাদের লাশ ফেলা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন কোনো গোত্রের ওপর বিজয় লাভ করতেন, তখন সে যুদ্ধস্থলে তিনরাত অবস্থান করতেন। বদর প্রান্তেও তৃতীয় দিনে তাঁর নির্দেশে সওয়ারীর গদি বাঁধা হলো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিকে কিছু পথ পায়ে হেঁটে চললেন, সাহাবীগণও তাঁর পশ্চাদানুসরণ করলেন।

পথিমধ্যে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঐ কূপের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং তাতে নিক্ষিপ্ত কুরায়শ সরদারদের মৃতদেহ ও তাদের বাপ-দাদার নাম ধরে উচ্চস্বরে ডাকতে লাগলেন, হে অমুকের পুত্র অমুক! হে অমুকের পুত্র অমুক! তোমরা কি এখন বুঝতে পেরেছ, আল্লাহ ও তার রসূলের কথা মেনে চললে তোমরা খুশি হতে পারতে? আমাদের রব আমাদের সঙ্গে (বিজয়ের) যে ওয়া’দাহ্ করেছিলেন, আমরা তা সঠিকভাবে পরিপূর্ণরূপে পেয়েছি। তোমরাও কি এখন তোমাদের রবের ঘোষণা (কুফরীর পরিণাম ভয়াবহ দুরাবস্থা) সঠিকভাবে প্রত্যক্ষ করেছ? তখন ’উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি আত্মাবিহীন লাশের সাথে কী কথা বলছেন? জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে মহান সত্ত্বার কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আমি যা বলছি তা তোমরা তাদের অপেক্ষা বেশি শুনতে পাচ্ছ না।

অপর এক বর্ণনাতে আছে, তোমরা তাদের অপেক্ষা অধিক শুনতে পাওনি। তবে পার্থক্য এই যে, তারা জবাব দিতে পারে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

বুখারীর বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে যে, বর্ণনাকারী কাতাদাহ বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথাগুলো শুনার জন্য আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে জীবিত করে দিয়েছিলেন যেন তারা ভৎর্সনা, লাঞ্ছনা, অপমান, অনুশোচনা ও লজ্জা অনুভব করতে পারে।

بَابُ حُكْمِ الْاُسَرَاءِ

وَعَنْ قَتَادَةَ قَالَ: ذَكَرَ لَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ يَوْمَ بَدْرٍ بِأَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا مِنْ صَنَادِيدِ قُرَيْشٍ فَقَذَفُوا فِي طَوِيٍّ مِنْ أَطْوَاءِ بَدْرٍ خَبِيثٍ مُخْبِثٍ وَكَانَ ذَا ظهرَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِالْعَرْصَةِ ثَلَاثَ لَيَالٍ فَلَمَّا كَانَ بِبَدْرٍ الْيَوْمَ الثَّالِثَ أَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ فَشَدَّ عَلَيْهَا رَحْلَهَا ثُمَّ مَشَى وَاتَّبَعَهُ أَصْحَابُهُ حَتَّى قَامَ عَلَى شَفَةِ الرَّكِيِّ فَجَعَلَ يُنَادِيهِمْ بِأَسْمَائِهِمْ وأسماءِ آبائِهم: «يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ وَيَا فُلَانُ بْنَ فُلَانٍ أَيَسُرُّكُمْ أَنَّكُمْ أَطَعْتُمُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ؟ فَإِنَّا قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَهَلْ وَجدتمْ مَا وعدَكم رَبُّكُمْ حَقًّا؟» فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تُكَلِّمَ مِنْ أَجْسَادٍ لَا أَرْوَاحَ لَهَا؟ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ مِنْهُمْ وَلَكِنْ لَا يُجِيبُونَ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَزَادَ الْبُخَارِيُّ: قَالَ قَتَادَةُ: أَحْيَاهُمُ اللَّهُ حَتَّى أَسْمَعَهُمْ قولَه توْبيخاً وتصغيرا ونقمة وحسرة وندما

ব্যাখ্যা: (فِىْ طَوِىٍّ) অর্থাৎ কূপে সুদৃঢ় পাথর দ্বারা প্রলেপ দেয়া। অর্থাৎ কূপের কিনারা পাথর দিয়ে উঁচু করে বাঁধাই করা। তূরিবিশ্তী বলেনঃ الْقَلِيبِ الْبِئْرِ (প্রলেপ দেয়া) এবং বি’রে طَوِىٍّ ( প্রলেপহীন) এর মাঝে সামঞ্জস্য বিধান করা যেতে পারে?

আমি (মিরকাতুল মাফাতীহ প্রণেতা) বলবঃ বর্ণনাকারী হয়ত একটি শব্দকে অপর শব্দের সমার্থবোধক শব্দ হিসেবে প্রয়োগ করেছেন। এমতাবস্থায় বর্ণনাকারী জানত না যে, উভয় শব্দের মাঝে পার্থক্য আছে। আরও সম্ভাবনা রাখছে যে, সাহাবী ধারণা করেছেন যে, কূপটি প্রলেপ দেয়া ছিল অথচ কূপটি প্রলেপহীন ছিল। আরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, তাদের কতককে প্রলেপ দেয়া কূপে আর কতককে প্রলেপ ছাড়া কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

(فَإِنَّا قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا) ‘‘নিঃসন্দেহে আমাদের প্রভু আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা তা সত্য হিসেবে পেয়েছি।’’ অর্থাৎ- তোমাদের ওপর আমাদের বিজয়ের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমরা তা পেয়েছি।

(فَهَلْ وَجَدْتُّمْ مَا وَعَدَكُمْ رَبُّكُمْ حَقًّا؟) তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে শাস্তির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটা তাদেরকে তিরস্কারস্বরূপ প্রশ্ন। মুযহির বলেনঃ তোমরা আল্লাহর শাস্তির দিকে পৌঁছার পর কি মুসলিম হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করছ।

ত্বীবী বলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য যা তোমাদের হাত ছাড়া হয়েছে তার জন্য কি তোমরা হতাশাগ্রস্ত হচ্ছ, চিন্তিত হচ্ছ? নাকি হচ্ছ না? আর তোমাদের প্রতি আমাদের উক্তি স্মরণ করছ? তা হলো- নিশ্চয় আল্লাহ তার দীনকে সকল দীনের উপর বিজয় দান করবেন, তাঁর ওয়ালীদের সাহায্য করবেন, তাঁর শত্রুদেরকে লাঞ্ছিত করবেন। নিঃসন্দেহে আমাদের প্রভু আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা তা সত্য হিসেবে পেয়েছি।

(يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! مَا تُكَلِّمَ مِنْ أَجْسَادٍ لَا أَرْوَاحَ لَهَا؟) অর্থাৎ- ‘‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি এমন দেহের সাথে কথা বলছেন যাতে কোনো আত্মা নেই, সুতরাং তা কিভাবে আপনাকে উত্তর দিবে?’’ (مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ) অর্থাৎ- ‘‘আমি যা বলছি তা তোমরা তাদের অপেক্ষা বেশি শুনতে পাও না।’’ অন্য বর্ণনাতে আছে, (مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ مِنْهُمْ وَلٰكِنْ لَا يُجِيْبُوْنَ) অর্থাৎ- ‘‘তোমরা তাদের অপেক্ষা বেশি শুনতে পাও না তবে তারা উত্তর দেয় না।’’

নববী (রহঃ)-এর শারহে মুসলিম আছে, মাযিরী বলেনঃ একমতে বলা হয়েছে, এ হাদীসের বাহ্যিকতার প্রতি ‘আমল করলে মৃত ব্যক্তি শুনতে পায়- এ কথা প্রমাণিত হয়, তবে এতে দৃষ্টি নিবন্ধনের বিষয় আছে। কেননা এ হাদীসের বাহ্যিক দিক এ লোকেদের ব্যাপারে খাস। তবে কাযী এ মতকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, কূপে নিক্ষক্ষপিত নিহত কাফিরদের শ্রবণ করাতে ঐ অবস্থার উপর চাপিয়ে দিতে হবে যে অবস্থার উপর কবরের শাস্তিও প্রতিহত করার কেউ নেই। এমন ফিতনার হাদীসগুলো সম্পর্কে মৃতদের শ্রবণ করাকে চাপিয়ে দেয়া হয়। আর তা হলো তাদেরকে জীবিত করার মাধ্যমে তাদের অংশসমূহের প্রতি ওয়াহী করার মাধ্যমে, ওয়াহী সম্পর্কে তারা অনুভব করে এবং ঐ সময়ে শুনতে পায় যে সময়কে আল্লাহ উদ্দেশ্য করেন।

মাযিরী বলেনঃ এটাই পছন্দনীয়। ইবনুল হুমাম হিদায়ার শারহতে বলেনঃ জেনে রাখা উচিত যে, হানাফী মাশায়েখদের অধিকাংশ ঐ মতের উপর আছে যে, ঈমান পর্বে তারা যা স্পষ্ট করেছে সে আলোকে মৃত ব্যক্তি শুনতে পায় না। যদি কোনো ব্যক্তি শপথ করে তার সাথে কথা বলবে না। অতঃপর সে মারা যাওয়ার পর তার সাথে কথা বললে শপথ ভঙ্গ হবে না, কেননা শপথ সংঘটিত হয় যে ব্যক্তি কথা বুঝে তার উত্তর প্রদান অনুসারে অথচ মৃত ব্যক্তির অবস্থা এরূপ নয়।

আমি (মিরকাতুল মাফাতীহ প্রণেতা) বলবঃ এটা তাদের তরফ থেকে ঐ কথার উপর নির্ভরশীল যে, ঈমানের নির্ভরতা জনসাধারণ যা বুঝে তার উপর। সুতরাং এ থেকে বাস্তব শ্রবণ না করা আবশ্যক হয়ে পড়ছে না। যেমন তারা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছে, যে ব্যক্তি শপথ করে যে, গোশ্ত/গোশত খাবে না। অতঃপর সে মাছ খেল যদিও আল্লাহ মাছকে টাটকা গোশত বলে নামকরণ করেছেন। তিনি বলেন, তারা কখনো এ হাদীস সম্পর্কে উত্তর প্রদান করেছে যে, এ হাদীসটি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে প্রত্যাখ্যাত। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করে এ কথা বলবেন। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,(وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ) অর্থাৎ- ‘‘তুমি কবরস্থদেরকে শুনাতে পারবে না’’- (সূরা আল ফা-ত্বির ৩৫ : ২২)। (إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتٰى) ‘‘নিঃসন্দেহে তুমি মৃতকেও শুনাতে পারবে না।’’ (সূরা আন্ নামল ২৭ : ৮০)

আমি (মিরকাতুল মাফাতীহ প্রণেতা) বলবঃ হাদীসটি মুত্তাফাক ‘আলাইহ্। এ হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করা ঠিক হবে না। বিশেষ করে এর মাঝে ও কুরআনের মাঝে কোনো বৈপরীত্য নেই। কেননা ‘মৃত’ বলতে কাফিররা উদ্দেশ্য আর ‘‘শুনাতে পারবে না’’ কথাটি উপকৃত না হওয়া উদ্দেশ্যর উপর প্রতিষ্ঠিত সাধারণ শ্রবণের উপর নয়, যেমন মহান আল্লাহর বাণী- ‘‘তারা বধির, বোবা, অন্ধ; সুতরাং তারা বুঝবে না’’- (সূরা আল বাকারা ২ : ১৮) অথবা শ্রবণের পর ধারাবাহিক উত্তর না পাওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত। ‘‘তুমি মৃতদেরকে শুনাতে পারবে না’’- (সূরা আন্ নামল, ২৭ : ৮০)। মহান আল্লাহর এ বাণীর ক্ষেত্রে বায়যাভী (রহঃ) বলেন, যখন তাদেরকে সত্য থেকে বাধা দেয়া হয়েছে তখন তাদের উপমা হলো তাদের চেতনা। ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে শোনান’’- (সূরা আল ফা-ত্বির ৩৫ : ২২)। অর্থাৎ- তার হিদায়াত শোনান, অতঃপর তাকে তাঁর আয়াত বুঝার জন্য, তাঁর উপদেশ কর্তৃক উপদেশ গ্রহণের তাওফীক দেন। ‘‘আর আপনি কবরস্থদেরকে শুনাতে পারবেন না’’- (সূরা আল ফা-ত্বির ৩৫ : ২২)। আয়াতটি ‘‘নিঃসন্দেহে আপনি যাকে ভালোবাসেন তাকে পথপ্রদর্শন করতে পারবেন না, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে পথপ্রদর্শন করতে পারেন’’- (সূরা আল কাসাস ২৮ : ৫৬) এ আয়াতের শ্রেণীভুক্ত। অতঃপর তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বক্তব্যটি একটি মু‘জিযাহ্ ও কাফিরদের ওপর পরিতাপ বৃদ্ধিকরণ স্বরূপ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(بِأَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا مِنْ صَنَادِيدَ) صَنَادِيدَ শব্দটি এর বহুবচন, এর অর্থ- বীর নেতা। সা‘ঈদ বিন বাশীর থেকে ইবনু ‘আয়িযে এসেছে, তিদিন কাতাদাহ থেকে বর্ণনা করেন, (بِبِضْعَةٍ وَعِشْرِينَ) এ বর্ণনা (أربعة وعشرين) বর্ণনার বিপরীত নয়। কেননা الْبِضْعَ শব্দকে চারের উপরেও প্রয়োগ করা হয়। বারা-এর হাদীসে আছে যে,  বদর যুদ্ধে নিহত কাফিরদের সংখ্যা সত্তরজন ছিল। কালীবে বা কূপে যাদেরকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তারা ছিল তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, অতঃপর কুরায়শদের কিছু। আর অবশিষ্ট নিহতদেরকে অন্যান্য কূপে নিক্ষেপ করলেন। ওয়াকিদী বর্ণনা করেন, উল্লেখিত কূপ এক কাফির ব্যক্তি খনন করেছিল। সুতরাং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল কাফিরকে ঐ কূপে নিক্ষেপ করাই উপযুক্ত মনে করেছেন। (ফাতহুল বারী ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯৭৬; শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ২৮৭৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ