পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৪২-[৬] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিহাদে মহিলা ও শিশুদেরকে হত্যা করা হতে বিরত থাকতে বলেছেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْقِتَالِ فِى الْجِهَادِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ
ব্যাখ্যা: ইবনুল হুমাম বলেনঃ বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ‘আবদুল্লাহ বিন ‘উমার থেকে বর্ণনা করেন, (যুদ্ধের ময়দানে) জনৈক মহিলাকে নিহতবস্থায় পাওয়া গেলে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলা ও শিশুদেরকে হত্যা করতে নিষেধ করলেন। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি মহিলা ও শিশুদেরকে হত্যা করা হারাম হওয়া সর্বজনস্বীকৃত। আবূ বাকর হতে বর্ণিত, তিনি যখন আবূ সুফ্ইয়ান-এর পুত্র ইয়াযীদকে শামে পাঠালেন তখন তাকে উপদেশ দিয়ে বললেনঃ ‘‘তোমরা শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধদেরকে হত্যা করবে না’’। তিনি বলেন, তবে আমরা যাদের কথা বলেছি তাদের মধ্য হতে যারা যুদ্ধ করবে তাদের হত্যা করা হবে। নিঃসন্দেহে যেমন পাগল, শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ ও পাদরীদেরকে হত্যা করা যাবে না, তবে বাচ্চা এবং পাগলকে যুদ্ধের অবস্থাতে পাওয়া গেলে তাদের হত্যা করা হবে। আর মহিলা, পাদরী এবং তাদের অনুরূপরা যখন যুদ্ধ করবে তখন তাদেরকে বন্দির পর হত্যা করা হবে, আর রাণী মহিলাকে হত্যা করা হবে যদিও সে যুদ্ধ না করে থাকে। এভাবে বাচ্চা রাজা ও নির্বোধ রাজাকে হত্যা করা হবে, কেননা বাদশার হত্যাতে তাদের আগ্রহের ভাঙ্গন রয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
ইমাম নববী বলেনঃ মহিলা ও শিশুরা যখন যুদ্ধে না জড়াবে তখন তাদেরকে হত্যা করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে বিদ্বানগণ একমত। তবে তারা যদি যুদ্ধ করে তাহলে জুমহূর বিদ্বানদের মত হলো- তাদেরকে হত্যা করা হবে, আর কাফির বৃদ্ধরা যদি যুদ্ধের ব্যাপারে কৌশল এঁটে থাকে তাহলে তাদেরকেও হত্যা করা হবে অন্যথায় তাদের এবং পাদরীদের ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। মালিক এবং আবূ হানীফাহ্ বলেন, তাদেরকে হত্যা করা যাবে না। আর শাফি‘ঈ এর মাযহাবে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত হলো- তাদেরকে হত্যা করা হবে। (শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৭৪৪)