পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাফির রাষ্ট্রপ্রধানদের নিকট পত্র প্রেরণ ও ইসলামের প্রতি আহবান
৩৯৩২-[৭] নু’মান ইবনু মুকররিন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অসংখ্য জিহাদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে শরীক ছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যদি দিনের প্রথমভাগে আক্রমণ না করতেন, তবে (দুপুর গড়িয়ে) মৃদু বাতাস প্রবাহিত হওয়া ও সালাতের ওয়াক্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে যুদ্ধ শুরু করতেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْكِتَابِ إِلَى الْكُفَّارِ وَدُعَائِهِمْ إِلَى الْإِسْلَامِ
وَعَن النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ قَالَ: شَهِدْتُ الْقِتَالَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ إِذَا لَمْ يُقَاتِلْ أَوَّلَ النَّهَارِ انْتَظَرَ حَتَّى تهب الْأَرْوَاح وتحضر الصَّلَاة. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (اِنْتَظَرَ حَتّٰى تَهَبُّ الْأَرْوَاحُ وَتَحْضُرُ الصَّلَاةُ) ‘‘তিনি অপেক্ষা করতেন বায়ু প্রবাহের এবং সালাতের সময়ের।’’ অর্থাৎ- তিনি দিনের প্রথম ভাগে যুদ্ধ শুরু না করে থাকলে দুপুরে যুদ্ধ শুরু না করে সূর্য ঢলে গিয়ে সালাতের সময় হলে এবং বায়ু প্রবাহিত হলে তখন যুদ্ধ শুরু করতেন। কারণ কাফিরগণ সূর্যের ‘ইবাদাত করে থাকে। যখন সূর্য ঢলে যায় এবং বায়ু প্রবাহিত হয় তখন সূর্যের তেজ অনেকটা কমে যায় এবং তা অস্তমিত হওয়ার দিকে ঝুকে পড়ে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে গিয়ে সালাতের সময় হওয়ার অপেক্ষা করতেন। যেহেতু এ সময়টা আল্লাহর ‘ইবাদাতকারীদের সময় এবং সাজদাকারীর দু‘আ কবূলের সময়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)