পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯২০-[২৯] সাহল ইবনু মু’আয তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কোনো এক জিহাদে ছিলাম। পথিমধ্যে এক বিসত্মীর্ণ এলাকা জুড়ে লোকেরা অবস্থান করে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছিল। এতদশ্রবণে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে ঘোষণা দিলেন, যে ব্যক্তি অন্যের অবস্থান বা যান চলাচল সংকীর্ণ বা বন্ধ করে, তার কোনো জিহাদ নেই। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن سهلِ بن مُعاذٍ عَن أبيهِ قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَيَّقَ النَّاسُ الْمُنَازِلَ وَقَطَعُوا الطَّرِيقَ فَبَعَثَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنَادِيًا يُنادي فِي النَّاسِ: «أَنَّ مَنْ ضَيَّقَ مَنْزِلًا أَوْ قَطَعَ طَرِيقًا فَلَا جِهَادَ لَهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (أَنَّ مَنْ ضَيَّقَ مَنْزِلًا أَوْ قَطَعَ طَرِيْقًا فَلَا جِهَادَ لَه) অবশ্যই যে ব্যক্তি অবতরণস্থল সংকীর্ণ করে ফেলল অথবা চলার রাস্তা বিচ্ছিন্ন করে দিল তার কোনো জিহাদ নেই। অর্থাৎ বিশ্রামের জন্য অবতরণের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশী জায়গা নিয়ে অন্যের অবতরণের স্থানকে সংকীর্ণ করে ফেললো অথবা মানুষের চলাচলের রাস্তায় অবতরণ করে তাদের চলার পথে বিঘ্ন ঘটালো তার জিহাদ নেই, অর্থাৎ সে ব্যক্তি জিহাদের পূর্ণ সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে মানুষের ক্ষতি করার কারণে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬২৬)