পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১২-[২১] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সর্বোত্তম সফরসঙ্গী চারজন। উত্তম (ক্ষুদ্র) সৈন্যবাহিনী চারশত জন, উত্তম (বৃহৎ) সৈন্যবাহিনী চারহাজার জন। আর বারো হাজারের কোনো সৈন্য বাহিনী স্বল্প সংখ্যার কারণে কক্ষনো বিজিত হয় না। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও দারিমী; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ الصَّحَابَةِ أَرْبَعَةٌ وَخَيْرُ السَّرَايَا أَرْبَعُمِائَةٍ وَخَيْرُ الْجُيُوشِ أَرْبَعَةُ آلَافٍ وَلَنْ يُغْلَبَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا مِنْ قِلَّةٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
ব্যাখ্যা: (خَيْرُ الصَّحَابَةِ أَرْبَعَةٌ) ‘‘চারজনের দল উত্তম দল’’ অর্থাৎ তিনজনের বেশী লোক যে দলে থাকে সে দল উত্তম দল।
আবূ হামিদ বলেনঃ মুসাফির ব্যক্তি কখনো বাহন ও প্রয়োজন মুক্ত হয় না। মুসাফির যদি মাত্রা তিন হয় আর বাহনও সংরক্ষণ করতে হয় এবং প্রয়োজনও মিটাতে হয় তাহলে একজন প্রয়োজন মিটাতে গেলে এবং একজন বাহন সংরক্ষণে নিয়োজিত থাকলে মুসাফির একাকী হয়ে যাবে যার সাথে কোনো সঙ্গী থাকবে না ফলে সে আশংকামুক্ত থাকতে পারবে না এবং সঙ্গী না থাকার কারণে অন্তরের সংকীর্ণতা থেকেও মুক্ত থাকবে না।
মুযহির (রহ) বলেনঃ সঙ্গী যদি তিনজন না হয়ে চারজন হয় তবে তা উত্তম। কেননা সফরসঙ্গী সর্বসাকূল্যে তিনজন হলে তাদের মধ্যে একজন যদি অসুস্থ হয়ে পরে এবং সে তার কোনো এক সফরসঙ্গীকে তার ওয়াসী (ওয়াসিয়্যাত বাস্তবায়নকারী) নিযুক্ত করতে চায় তাহলে তার এই ওয়াসিয়্যাত সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য একজন মাত্র লোক বাকী থাকলো যা ওয়াসিয়্যাতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। আর যদি চারজন থাকে তাহলে তার ওয়াসিয়্যাতের সাক্ষী হওয়ার জন্য দু’জন লোক বাকী থাকলো। যা সাক্ষী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। সফরসঙ্গী যখন অধিক হয় পরস্পরে সহযোগিতা করাও সহজ হয়। অনুরূপ অধিক সংখ্যক লোকের একত্রে সালাত আদায় করাও অধিক উত্তম।
(وَلَنْ يُغْلَبَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا مِنْ قِلَّةٍ) বারো হাজার সৈন্যের দল সংখ্যাল্পতার জন্য পরাজয় বরণ করবে না, অর্থাৎ যে সৈন্য দলের সংখ্যা বারো হাজার হয় ঐ সেনা দল যদি পরাজয় বরণ করে তাহলে সে পরাজয়টা সংখ্যাল্পতার জন্য হবে না, অন্য কোনো কারণে হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬০৮)