পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮০-[২০] ’উতবাহ্ ইবনু ’আব্দুস সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ঘোড়ার কপালের ও ঘাড়ের চুল এবং লেজের চুল কেটো না। কেননা লেজ হলো তার পাখা এবং ঘাড়ের চুল হলো উষ্ণতা রক্ষার উপকরণ, আর তার কপালের চুলের মধ্যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن عُتبةَ بن عبدٍ السُّلميِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا تَقُصُّوا نَوَاصِيَ الْخَيْلِ وَلَا مَعَارِفَهَا وَلَا أَذْنَابَهَا فَإِنَّ أَذْنَابَهَا مَذَابُّهَا وَمَعَارِفَهَا دِفاءُها وَنَوَاصِيهَا مَعْقُودٌ فِيهَا الْخَيْرُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যা: (نَوَاصِىَ الْخَيْلِ) ঘোড়ার কপালের লোমকে বলা হয় نَوَاصِى। আর ঘাড়ের লোমকে বলা হয় (أَذْنَابَهَا مَعَارِفَ مَذَابُّهَا) লেজ তার পাখা, যা দ্বারা সে পোকা মাকড়, মাশা-মাছি তাড়ায়। অর্থাৎ মানুষ যেমন পাখা দ্বারা বাতাস করে এবং তা দ্বারা কোনো কিছু তাড়ায়, অনুরূপ ঘোড়া তার লেজ দ্বারা তার ওপর পতিত পোকা-মাকড় মশা-মাছি তাড়ায়।
(وَمَعَارِفَهَا دِفَاءُهَا) ঘাড়ের ঝুটি তার কাপড় যা দ্বারা সে তাপ ও শীত নিবারণ করে। মানুষ যেমন রোদ্রের তাপ থেকে বাঁচার জন্য মাথার উপর ছাতা অথবা কাপড় ব্যবহার করে এবং শীত নিবারণের জন্য জামা কাপড় পরিধান করে ঘোড়ার কাঁধের ঝুটিও তেমন গরম ও শীত নিবারণের জন্য সহায়ক। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা কাটতে বারণ করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৭ম খন্ড, পৃঃ ৪০১; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ২৫৩৯)