পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৮৩৫-[৪৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জিহাদের কোনো চিহ্ন (নমুনা) ছাড়া মৃত্যুবরণ করল, সে কিয়ামতের দিন ত্রুটিযুক্ত অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَقِيَ اللَّهَ بِغَيْرِ أَثَرٍ مِنْ جِهَادٍ لَقِيَ اللَّهَ وَفِيهِ ثُلْمَةٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসটিতে জিহাদের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। হাদীসটির মূল বক্তব্য হচ্ছে, যদি কারো জিহাদের কোনো আলামাত বা চিহ্ন নিজের সাথে না নিয়েই মৃত্যুবরণ করে, অর্থাৎ জিহাদের সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না থাকে, তাহলে সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করল যে, তার মাঝে ত্রুটি রয়েছে।
মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেনঃ أثر (আসার) হলো ঐ জিনিস, যা কোনো কিছু থেকে অবশিষ্ট থাকে। আর সেই অবশিষ্ট জিনিস দেখে সেই জিনিসটির অবস্থা জানা যায়।
কাযী ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ এখানে উদ্দেশ্য হলো আলামাত বা চিহ্ন। অর্থাৎ- মুজাহিদ ব্যক্তির শরীরে যুদ্ধের যে কোনো আলামাত থাকলে সে এ সতর্কবাণীর উদ্দেশ্য হবে না। সেটা ক্ষত হোক বা ক্লান্তি হোক বা পথের ধূলা হোক কিংবা টাকা-পয়সা খরচ করা হোক অথবা অস্ত্রের আঘাত হোক।
যুদ্ধ হতে পারে শত্রুদের সাথে আবার হতে পারে নফসের সাথে বা শায়ত্বনের সাথে। অনুরূপভাবে জিহাদের চিহ্ন বা আলামাতও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ অর্থাৎ- ‘‘তাদের চেহারায় তাদের নিদর্শন হলো সিজদার চিহ্ন বা আলামাত’’- (সূরা আল ফাত্হ ৪৮ : ২৯)। কেউ বলেনঃ এ হাদীসটির বিধান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের সাথে খাস ছিল। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৬৬৬)