হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৮৩৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৮৩৪-[৪৭] মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শাহীদের জন্য আল্লাহর নিকট ছয়টি পুরস্কার সুরক্ষিত রয়েছে। ১- যুদ্ধরত অবস্থায় তার রক্তের ফোঁটা মাটিতে ঝরা মাত্রই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং তাকে জান্নাতের আবাসস্থল দেখানো হয়। ২- তাকে কবরের ’আযাব হতে নিষ্কৃতি দেয়া হয়। ৩- হাশরের ময়দানের মহাভীতি হতে দূরে রাখা হয়। ৪- (কিয়ামতের দিন) সম্মানজনকভাবে তার মাথায় ইয়াকূতের মুকুট পরানো হবে, যার মধ্যে খচিত একটি ইয়াকূত দুনিয়া ও তার সমস্ত ধন-সম্পদ হতে উত্তম। ৫- সুন্দর বড় বড় চক্ষুবিশিষ্ট বাহাত্তর জন হূরকে তার সঙ্গিনীরূপে দেয়া হবে। ৬- তার নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সত্তরজনের সুপারিশ কবুল করা হবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ: يُغْفَرُ لَهُ فِي أوَّلِ دفعةٍ وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الْأَكْبَرِ وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ الْيَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ويزوَّجُ ثنتينِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقْرِبَائِهِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসটিতে শহীদদের সাওয়াব তথা মর্যাদা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। অত্র হাদীসে শহীদদের ছয়টি মর্যাদার কথা আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো শহীদ ব্যতীত অন্য কেউ একত্রে পাবে না।

(يُغْفَرُ لَه فِىْ اَوَّلِ دَفْعَةٍ) ‘আল্লামা মুনযিরী (রহঃ) এ বাক্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেনঃ শাহীদের রক্ত থেকে প্রথম ফোঁটা প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথেই তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

(وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الْأَكْبَرِ) অর্থাৎ- সে ফাযাউল আকবার হতে নিরাপদ থাকবে।

মুল্লা ‘আলী কারী বলেনঃ নিম্নোক্ত কুরআনের আয়াতেও এ কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, ফাযাউল আকবার তাদেরকে চিন্তায় ফেলবে না। (সূরা আল আম্বিয়া ২১ : ১০৩)

‘‘আল ফাযাউল আকবার’’ বলতে জাহান্নামকে বুঝানো হয়েছে, আবার কারো মতে জাহান্নামের সামনে পেশ করাকে বুঝানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এটা সেই সময়, যখন জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপের নির্দেশ দেয়া হবে। আবার কারো মতে, এটা সেই সময় যখন মৃত্যুকে যাবাহ করা হবে, আর কাফিররা মৃত্যুর পরিসমাপ্তি দেখে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ব্যাপারে হতাশ হয়ে যাবে। কারো মতে এটা হচ্ছে সেই সময় যখন কাফিরদের ওপর আগুন চেপে আসবে। আবার কারো মতে আল ফাযাউল আকবার বলতে শিঙ্গার শেষ ফুঁৎকারের সময়কে বুঝানো হয়েছে। কুরআনে এসেছে, অর্থাৎ- ‘‘এবং যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে, সেদিন আকাশমন্ডলীর ও পৃথিবীর সকলেই ভীত-বিহবল হয়ে পড়বে, তবে আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন তারা ব্যতীত এবং সকলেই তাঁর নিকট বিনীত অবস্থায় আসবে’’- (সূরা আন্ নামল ২৭ : ৮৭)। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৬৬১)

‘‘হূর’’ হলো জান্নাতের মহিলাগণ, যারা হবে খুবই সাদা এবং খুব কালো চোখ বিশিষ্ট।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিকদাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ