পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৮২৩-[৩৬] ফাযালাহ্ ইবনু ’উবায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক লোকের মৃত্যুর সাথে সাথে তার ’আমলের সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু যে লোক আল্লাহর পথে (কোনো কাজে) নিয়োজিত থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার ’আমল নিঃশেষ হয় না, কিয়ামত পর্যন্ত তার ’আমল বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সে কবরের কঠিন ’আযাব হতে নিরাপত্তা লাভ করবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَن فَضالَةَ بنِ عُبيدٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ مَيِّتٍ يُخْتَمُ عَلَى عَمَلِهِ إِلَّا الَّذِي مَاتَ مُرَابِطًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَإِنَّهُ يُنَمَّى لَهُ عَمَلُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَيَأْمَنُ فتْنَة الْقَبْر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসটি থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহর রাস্তায় শত্রুবাহিনীর কবল থেকে মুসলিমদের রক্ষা করার জন্য পাহাড়ারত মুজাহিদ মারা গেলে তার ‘আমল স্বাভাবিকভাবে মৃত ব্যক্তির ‘আমলের মতো বন্ধ হয়ে যায় না; বরং তার ‘আমল জারী থাকে এবং কিয়ামত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। শুধু তাই নয়, কবরের শাস্তি থেকেও সে নিরাপদ থাকে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, (كُلُّ مَيِّتٍ يُخْتَمُ عَلٰى عَمَلِه) অর্থাৎ- প্রত্যেক ব্যক্তির ‘আমলনামা তার মৃত্যুর সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায় এবং আর লেখা হয় না। কিন্তু মুসলিমদের পাহাড়াদানের কাজে নিয়োজিত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তার ব্যাপারটি আলাদা। তার নেকী মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৪৯৭)
(فَإِنَّه يُنْمٰى لَه عَمَلُه إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ) অর্থাৎ- তার ‘আমল কিয়ামত পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। প্রত্যেক সময়ে তার সাথে নতুন করে ‘আমল মিলিত হবে। আর এ নেকী বৃদ্ধির সময় কিয়ামত পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করার কারণ হলো ঐ ব্যক্তি নিজেকে এমন কাজে উৎসর্গ করেছে, যার ফল মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে ভোগ করছে। সে তাদের শত্রু মুশরিকদেরকে প্রতিহত করে দীনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াস চালিয়েছিল।
(وَيَأْمَنُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ) অর্থাৎ সে কবরের ফিতনাহ্ থেকে নিরাপদ থাকবে। বলা হয়েছে যে, এ ব্যক্তি ঐ সকল লোকেদের থেকে ভিন্ন, যাদের কথা সহীহ মুসলিমে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন কোনো মানুষ মারা যায় তখন তার ‘আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি বিষয় ব্যতীত। ১. সদাকায়ে জারিয়াহ্, ২. উপকারী ‘ইলম ও ৩. সৎ সন্তান- যে তার পিতা-মাতার জন্য দু‘আ করে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)