পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুরতাদ এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীকে হত্যা করা প্রসঙ্গে
৩৫৪২-[১০] ’আব্দুর রহমান ইবনু ’আব্দুল্লাহ তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এক সফরে ছিলাম। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইস্তিঞ্জায় গেলেন। আর এ সময় আমরা দু’টি বাচ্চাসহ একটি ’হুম্মারাহ্’ (লাল ঠোঁট বিশিষ্ট ছোট পাখি) দেখতে পেয়ে তার বাচ্চা দু’টি ধরে আনলাম। অতঃপর হুম্মারাহ্ পাখিটি এসে তার দুই ডানা মাটির উপর চাপড়াতে লাগল। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে এরূপ অবস্থাদৃষ্টে জিজ্ঞেস করলেন, এর বাচ্চাগুলো এনে কে ব্যথিত করেছে? তার বাচ্চাগুলো তাকে ফেরত দিয়ে দাও। অতঃপর আমরা পিঁপড়ার একটি বসতি জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এটি কে জ্বালিয়েছে? বললাম, আমরা। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, অগ্নির মালিক ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তির অধিকার কারো নেই। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ فَرَأَيْنَا حُمْرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ فَأَخَذْنَا فَرْخَيْهَا فَجَاءَتِ الْحُمْرَةُ فَجَعَلَتْ تَفْرُشُ فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا؟ رُدُّوا وَلَدَهَا إِلَيْهَا» . وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا قَالَ: «مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ؟» فَقُلْنَا: نَحْنُ قَالَ: «إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلاَّ ربُّ النَّار» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা : حُمَّرَةٌ ‘হা’ বর্ণে পেশ যোগে ‘মীম’ বর্ণে তাশদীদ অথবা সুকুন যোগে এর অর্থ طائر صغير অর্থাৎ চড়ুয়ের মতো ছোট পাখি।
تَفْرُشُ শব্দের অর্থ পাখা ঝাপটানো পাখিটির দু’টি বাচ্চাকে সাহাবীগণ নিয়ে আসলে বাচ্চাদের মা পাখিটা উভয়ের উপরে পাখা ঝাপটিয়ে উড়তে থাকে। ছায়া দান করতে থাকে।
খত্ত্বাবী বলেনঃ এ হাদীসে ভীমরুল বা বোলতার ঘরকে পোড়ানো মাকরূহ-এর প্রমাণ রয়েছে।
আর পিপড়ার ক্ষেত্রে অজুহাত আরো কম। কারণ পোড়ানো ছাড়া এর ক্ষতি থেকে কখনো রক্ষা পাওয়া যায়। পিপড়া দুই প্রকার : (১) ক্ষতিকারী কষ্টদায়ক পিপড়া। দুর্ব্যবহারকারী পিপড়াকে প্রতিরোধ করা জায়িয। (২) যেই পিপড়াতে কোনো ক্ষতি নেই অর্থাৎ ক্ষতিকর কষ্টদায়ক পিপড়া নয়, এগুলোর পা লম্বা লম্বা হয়। এগুলো হত্যা করা বৈধ নয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৭২)