পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই
৩৫২০-[১১] ইবনু ’উমার ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (বুখারী)[1]
আর ইমাম মুসলিম (রহঃ) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, আর যে ব্যক্তি (পণ্য বিক্রয়ে) আমাদের সাথে প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
بَابُ مَا يُضْمَنُ مِنَ الْجِنَايَاتِ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا» . رَوَاهُ البُخَارِيّ وزادَ مُسلم: «ومنْ غشَّنا فليسَ منَّا»
ব্যাখ্যা: হাদীসের মর্মার্থ হলো অন্যায়ভাবে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধের জন্য অস্ত্র ধারণ করা তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য অথবা তাদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করার জন্য। الحمل শব্দ দ্বারা যুদ্ধের প্রতি পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইবনু দাকীকুল ‘ঈদ বলেছেনঃ হাদীসে উল্লেখিত حمل শব্দ উল্লেখের দ্বারা কয়েকটি অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন (১) الحمل [উত্তোলন করা] এটি الوضع [নামিয়ে রাখা] এর বিপরীত। এটা যুদ্ধের ইঙ্গিতবাহক।
(২) যুদ্ধ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করা। যা (عَلَيْنَا) শব্দ উল্লেখ করার মাধ্যমে বুঝা যায়।
(৩) প্রহার করার জন্য তরবারি ধারণ করা। মোটকথা, প্রত্যেক ক্ষেত্রে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করা হারাম ও কঠোরতার ইঙ্গিত এই হাদীসে বিদ্যমান।
সুনানে নাসায়ীতে বর্ণিত আছেঃ যে ব্যক্তি তরবারি উত্তোলন করলো এবং তা দ্বারা মানুষকে আঘাত করলো, অতঃপর তাকে হত্যা করলে কোনো দিয়াত নেই এবং কোনো কিসাস নেই।
(فَلَيْسَ مِنَّا) এর অর্থ ليس على طريقتنا অথবা ليس متبعًا لطريقتنا অর্থাৎ সে আমাদের রীতির বহির্ভূত। অথবা সে আমাদের পথ-পদ্ধতির অনুসারী নয়। কেননা এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের হক হলো তাকে সাহায্য করা অথবা তার পক্ষে যুদ্ধ করা। সে তাকে ভয় দেখানোর জন্য অথবা তাকে হত্যা করার জন্য অথবা তার সাথে যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র ধারণ করতে পারে না।
উপরোক্ত শাস্তি এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় যে, অত্যাচারীকে হত্যা করে অথবা তার সাথে যুদ্ধ করার জন্য হামলা করে। বরং তা অন্যায়কারী বা অন্যায়ভাবে যুদ্ধ করার সূচনাকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। (ফাতহুল বারী ১৩ খন্ড, হাঃ ৭০৭০)