পরিচ্ছেদঃ
১২০১। আলী (রাঃ) বলেছেন, বদরের যুদ্ধের গনিমত হিসাবে আমি একটা বৃদ্ধা উটনী পেয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আরো একটা উটনী দিয়েছিলেন। এই দুটি উটনীকে একদিন জনৈক আনসারীর দরজার উপর থামালাম। আমার ইচ্ছা ছিল ঐ উটনীদ্বয়ের উপর ইজখির বহন করে নিয়ে বিক্রি করার। বনু কাইনুকার জনৈক স্বর্ণকার আমার সাথে ছিল, যাতে ফাতিমার ওয়ালীমায় তার সাহায্য নিতে পারি। আনসারীর সেই বাড়ীতে তখন হামযা মদ্যপান করছিল। সহসা হামযা উটনী দুটির দিকে তরবারী নিয়ে তেড়ে এল এবং উভয়ের কুঁজ কেটে ফেললো ও কোমর চিরে ফেললো। তারপর উভয়ের কলিজা তুলে নিল।
বৰ্ণনাকারী বলেন, কুঁজ দুটো কেটে নিয়ে হামযা চলে গেল। তখন আমি একটা বিভৎস দৃশ্য দেখলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এলাম। তখন তার কাছে যায়িদ বিন হারিসাও ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমস্ত ঘটনা আদ্যোপান্ত জানালাম। তিনি তৎক্ষণাত যায়িদ সহকারে হামযার কাছে গেলেন এবং তার উপর প্রচণ্ড ক্রোধ প্রকাশ করলেন। তখন হামযা তার চোখ তুলে তাকালো এবং বললো, তোমরা সবাই আমার পিতার ক্রীতদাস ছাড়া আর কিছু নও। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছু হটলেন এবং স্থান ত্যাগ করলেন। এ ঘটনা মদ হারাম হওয়ার পূর্বে ঘটেছিল।
[বুখারী-২৩৭৫, ১৯৭৯, ইবনু হিব্বান-৪৫৩৬]
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ : قَالَ عَلِيٌّ: " أَصَبْتُ شَارِفًا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَأَعْطَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَارِفًا أُخْرَى "، فَأَنَخْتُهُمَا يَوْمًا عِنْدَ بَابِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَحْمِلَ عَلَيْهِمَا إِذْخِرًا لِأَبِيعَهُ، وَمَعِي صَائِغٌ مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ، لِأَسْتَعِينَ بِهِ عَلَى وَلِيمَةِ فَاطِمَةَ، وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، يَشْرَبُ فِي ذَلِكَ الْبَيْتِ، فَثَارَ إِلَيْهِمَا حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ، فَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا، ثُمَّ أَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا - قُلْتُ لِابْنِ شِهَابٍ: وَمِنَ السَّنَامِ؟ قَالَ: جَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا - فَذَهَبَ بِهَا قَالَ: فَنَظَرْتُ إِلَى مَنْظَرٍ أَفْظَعَنِي، فَأَتَيْتُ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ، فَخَرَجَ وَمَعَهُ زَيْدٌ، فَانْطَلَقَ مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى حَمْزَةَ فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ، فَرَفَعَ حَمْزَةُ بَصَرَهُ، فَقَالَ: هَلْ أَنْتُمْ إِلَّا عَبِيدٌ لِأَبِي، فَرَجَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَهْقِرُ حَتَّى خَرَجَ عَنْهُمْ وَذَلِكَ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْخَمْرِ - إسناده صحيح على شرط الشيخين وأخرجه مسلم (1979) (1) من طريق عبد الرزاق، بهذا الإسناد وأخرجه البخاري (2375) ، ومسلم (1979) (1) ، والبزار (502) ، وأبو يعلى (547) ، وابن حبان (4536) من طرق عن ابن جريح، به وأخرجه البخاري (2089) و (3091) و (4003) و (5793) ، ومسلم (1979) (2) ، وأبو داود (2986) ، والبيهقي 6/153 و341-342 من طريق يونس بن يزيد الأيلي، عن الزهري، به والشارف: الناقة المسنة وجب أسنمتهما: قطعهما، والجَمت الاستئصال في القطع