হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৮৮৪

পরিচ্ছেদঃ জান্নাতের বিবরণ

(৩৮৮৪) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সবার শেষে জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তি পুল-সিরাতে উঠে-পড়ে চলতে থাকবে। জাহান্নামের আগুন তাকে ঝলসে দেবে। অতঃপর পুল পার হয়ে গেলে জাহান্নামকে সে সম্বোধন ক’রে বলবে, ’বরকতময় সেই সত্তা, যিনি আমাকে তোমার কবল থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং এমন কিছু দান করেছেন, যা পূর্বাপর কাউকেই দান করেননি। ইতিমধ্যে তাকে একটি গাছ দেখানো হবে। তখন সে বলবে, ’হে প্রভু! আমাকে ঐ গাছের নিকটবর্তী ক’রে দাও। আমি ওর ছায়া গ্রহণ করব এবং ওর (নিকটবর্তী) পানি পান করব।’

আল্লাহ বলবেন, ’হে আদম-সন্তান! আমি তোমাকে তা দান করলে সম্ভবতঃ আবার অন্য কিছু চেয়ে বসবে।’ সে বলবে, ’না, হে আমার প্রতিপালক! (আমি অন্য কিছু চাইব না।)’ সুতরাং সে তাঁর কাছে অঙ্গীকার করবে যে, সে আর অন্য কিছু চাইবে না। আর তার প্রতিপালক ওযর পেশ করবেন। কারণ তিনি জানেন যে, তার পরেও সে যা দেখবে, তা না চেয়ে ধৈর্য ধরতে পারবে না। সুতরাং তিনি তাকে সেই গাছের নিকটে পৌঁছে দেবেন। সে তার ছায়া গ্রহণ করবে এবং তার পানি পান করবে।

অতঃপর তাকে আরো একটি গাছ দেখানো হবে, যা আগের চাইতে অনেক সুন্দর। তখন সে বলবে, ’হে প্রভু! আমাকে ঐ গাছের নিকটবর্তী ক’রে দাও। আমি ওর ছায়া গ্রহণ করব এবং ওর (নিকটবর্তী) পানি পান করব। আর তোমার কাছে অন্য কিছু চাইব না।’ আল্লাহ বলবেন, ’হে আদম-সন্তান! তুমি কি আমার নিকট এই অঙ্গীকার করনি যে, তুমি অন্য কিছু চাইবে না?’ সে বলবে, ’অবশ্যই। তবে হে প্রভু! আমাকে ঐ গাছের নিকটবর্তী ক’রে দাও। আমি আর অন্য কিছু চাইব না।’ আল্লাহ বলবেন, ’আমি তোমাকে ওর নিকটে পৌঁছে দিলে সম্ভবতঃ আবার অন্য কিছু চেয়ে বসবে।’

সুতরাং সে তাঁর কাছে অঙ্গীকার করবে যে, সে আর অন্য কিছু চাইবে না। আর তার প্রতিপালক আপত্তি পেশ করবেন। কারণ তিনি জানেন যে, তার পরেও সে যা দেখবে, তা না চেয়ে ধৈর্য ধরতে পারবে না। সুতরাং তিনি তাকে সেই গাছের নিকটে পৌঁছে দেবেন। সে তার ছায়া গ্রহণ করবে এবং তার পানি পান করবে।

অতঃপর তাকে আরো একটি গাছ দেখানো হবে, যা আগের দুই গাছের চাইতে বেশি সুন্দর। তখন সে বলবে, ’হে প্রভু! আমাকে ঐ গাছের নিকটবর্তী ক’রে দাও। আমি ওর ছায়া গ্রহণ করব এবং ওর (নিকটবর্তী) পানি পান করব। আর তোমার কাছে অন্য কিছু চাইব না।’ আল্লাহ বলবেন, ’হে আদম-সন্তান! তুমি কি আমার নিকট এই অঙ্গীকার করনি যে, তুমি অন্য কিছু চাইবে না?’ সে বলবে, ’অবশ্যই। তবে হে প্রভু! আমাকে ঐ গাছের নিকটবর্তী ক’রে দাও। আমি আর অন্য কিছু চাইব না।’ আর তার প্রতিপালক আপত্তি পেশ করবেন।

কারণ তিনি জানেন যে, তার পরেও সে যা দেখবে, তা না চেয়ে ধৈর্য ধরতে পারবে না। সুতরাং তিনি তাকে সেই গাছের নিকটে পৌঁছে দেবেন। সেখানে সে জান্নাতীদের কথাবার্তার শব্দ শুনতে পাবে। তখন সে বলবে, ’হে প্রভু! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও!’ আল্লাহ বলবেন, ’হে আদম-সন্তান! কিসে তোমার চাহিদা পূরণ করবে? তুমি কি এতে খুশি হবে যে, আমি তোমাকে দুনিয়া ও তার সাথে তার সমপরিমাণ জায়গা দেব?’ সে বলবে, ’হে প্রভু! তুমি সারা জাহানের প্রতিপালক হয়ে আমার সাথে ঠাট্টা করছ?’ আল্লাহ বলবেন, ’আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করিনি। বরং আমি যা চাই, তাতে ক্ষমতাবান।’

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ آخِرُ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ رَجُلٌ فَهُوَ يَمْشِى مَرَّةً وَيَكْبُو مَرَّةً وَتَسْفَعُهُ النَّارُ مَرَّةً فَإِذَا مَا جَاوَزَهَا الْتَفَتَ إِلَيْهَا فَقَالَ تَبَارَكَ الَّذِى نَجَّانِى مِنْكِ لَقَدْ أَعْطَانِىَ اللهُ شَيْئًا مَا أَعْطَاهُ أَحَدًا مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فَتُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِى مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا وَأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا ابْنَ آدَمَ لَعَلِّى إِنْ أَعْطَيْتُكَهَا سَأَلْتَنِى غَيْرَهَا فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ وَيُعَاهِدُهُ أَنْ لاَ يَسْأَلَهُ غَيْرَهَا وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهِ فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَيَسْتَظِلُّ بِظِلِّهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَائِهَا ثُمَّ تُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ هِىَ أَحْسَنُ مِنَ الأُولَى فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِى مِنْ هَذِهِ لأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا وَأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ أَلَمْ تُعَاهِدْنِى أَنْ لاَ تَسْأَلَنِى غَيْرَهَا فَيَقُولُ لَعَلِّى إِنْ أَدْنَيْتُكَ مِنْهَا تَسْأَلُنِى غَيْرَهَا فَيُعَاهِدُهُ أَنْ لاَ يَسْأَلَهُ غَيْرَهَا وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهِ فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَيَسْتَظِلُّ بِظِلِّهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَائِهَا ثُمَّ تُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ عِنْدَ بَابِ الْجَنَّةِ هِىَ أَحْسَنُ مِنَ الأُولَيَيْنِ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِى مِنْ هَذِهِ لأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا وَأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ أَلَمْ تُعَاهِدْنِى أَنْ لاَ تَسْأَلَنِى غَيْرَهَا قَالَ بَلَى يَا رَبِّ هَذِهِ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهَا فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَإِذَا أَدْنَاهُ مِنْهَا فَيَسْمَعُ أَصْوَاتَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْخِلْنِيهَا فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِى مِنْكَ أَيُرْضِيكَ أَنْ أُعْطِيَكَ الدُّنْيَا وَمِثْلَهَا مَعَهَا قَالَ يَا رَبِّ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّى وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَضَحِكَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ أَلاَ تَسْأَلُونِّى مِمَّ أَضْحَكُ فَقَالُوا مِمَّ تَضْحَكُ قَالَ هٰكَذَا ضَحِكَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقَالُوا مِمَّ تَضْحَكُ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ مِنْ ضِحْكِ رَبِّ الْعَالَمِينَ حِينَ قَالَ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّى وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ إِنِّى لاَ أَسْتَهْزِئُ مِنْكَ وَلَكِنِّى عَلَى مَا أَشَاءُ قَادِرٌ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ