পরিচ্ছেদঃ ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
(৪০৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন কেরানী আবূ রিবয়ী হানযালাহ বিন রাবী’ উসাইয়িদী (রাঃ) বলেন, একদা আবূ বকর (রাঃ) আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, হে হানযালাহ! তুমি কেমন আছ? আমি বললাম, হানযালাহ মুনাফিক হয়ে গেছে!’ তিনি (আশ্চর্য হয়ে) বললেন, ’সুবহানাল্লাহ! এ কী কথা বলছ?’ আমি বললাম, ’(কথা এই যে, যখন) আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে থাকি, তিনি আমাদের সামনে এমন ভঙ্গিমায় জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা করেন, যেন আমরা তা স্বচক্ষে দেখছি। অতঃপর যখন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে বের হয়ে আসি, তখন স্ত্রী সন্তান-সন্ততি ও অন্যান্য (পার্থিব) কারবারে ব্যস্ত হয়ে অনেক কিছু ভুলে যাই। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদেরও তো এই অবস্থা হয়। সুতরাং আমি ও আবূ বকর গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাজির হলাম।
অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! হানযালাহ মুনাফিক হয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে কী কথা? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা যখন আপনার নিকটে থাকি, তখন আপনি আমাদেরকে জান্নাত-জাহান্নামের কথা এমনভাবে শুনান; যেমন নাকি আমরা তা প্রত্যক্ষভাবে দেখছি। অতঃপর আমরা যখন আপনার নিকট থেকে বের হয়ে যাই এবং স্ত্রী সন্তান-সন্ততিও কারবারে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখন অনেক কথা ভুলে যাই। (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ আছে! যদি তোমরা সর্বদা এই অবস্থায় থাকতে, যে অবস্থাতে তোমরা আমার নিকটে থাক এবং সর্বদা আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকতে, তাহলে ফিরিশতাগণ তোমাদের বিছানায় ও তোমাদের পথে তোমাদের সঙ্গে মুসাফাহা করতেন। কিন্তু ওহে হানযালাহ! (সর্বদা মানুষের এক অবস্থা থাকে না।) কিছু সময় (ইবাদতের জন্য) ও কিছু সময় (সাংসারিক কাজের জন্য)। তিনি এ কথা তিনবার বললেন।
وعَنْ أَبيْ رِبعِي حَنظَلَةَ بنِ الربيعِ الأُسَيِّدِيِّ الكَاتِب أَحَدِ كُتَّابِ رَسُولِ الله ﷺ قَالَ : لَقِيَنِي أَبُو بَكر فَقَالَ : كَيْفَ أنْتَ يَا حنْظَلَةُ ؟ قُلْتُ : نَافَقَ حَنْظَلَةُ قَالَ : سُبْحَانَ الله مَا تَقُولُ قُلْتُ: نَكُونُ عَندَ رَسُولِ الله ﷺ يُذَكِّرُنَا بِالجَنَّةِ وَالنَّارِ كأنَّا رَأيَ عَيْنٍ فإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عَندِ رَسُول الله ﷺ عَافَسْنَا الأَزْواجَ وَالأَوْلاَدَ وَالضَّيْعَاتِ نَسينَا كَثِيراً قَالَ أَبُو بكر فَوَالله إنَّا لَنَلْقَى مِثْلَ هَذَا فانْطَلَقْتُ أَنَا وأبُو بَكْر حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى رَسُول الله ﷺ فقُلْتُ : نَافَقَ حَنْظَلَةُ يَا رَسُول اللهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَمَا ذَاكَ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُول اللهِ نَكُونُ عَندَكَ تُذَكِّرُنَا بِالنَّارِ والجَنَّةِ كأنَّا رَأيَ العَيْن فإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عَندِكَ عَافَسْنَا الأَزْواجَ وَالأَوْلاَدَ وَالضَّيْعَاتِ نَسينَا كَثِيراً فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَالَّذِي نَفْسي بِيَدِهِ لَوْ تَدُومُونَ عَلَى مَا تَكُونونَ عَندِي وَفي الذِّكْر لصَافَحَتْكُمُ الملائِكَةُ عَلَى فُرُشِكُمْ وَفي طُرُقِكُمْ لَكِنْ يَا حَنْظَلَةُ سَاعَةً وسَاعَةً ثَلاَثَ مَرَات رواه مسلم