পরিচ্ছেদঃ
৫৫২। যায়িদ বিন আসলামের পিতা বলেন, উসমান (রাঃ) যেদিন অবরুদ্ধ হলেন, সেদিন আমি জানাযার স্থানে বসে তাঁকে দেখেছিলাম। যদি একটি পাথরও নিক্ষিপ্ত হতো, তবে তা কোন না কোন মানুষের মাথার ওপর পড়তো। (অর্থাৎ বিপুল জনসমাগম হয়েছিল) দেখলাম, উসমান জিবরীলের দাঁড়ানোর জায়গার পার্শ্বে অবস্থিত একটি ছোট দরজায় দাঁড়িয়ে বলছেন, হে জনতা, তোমাদের মধ্যে কি তালহা আছে? সবাই নীরবতা অবলম্বন করলো। তিনি আবার বললেন, হে জনতা, তোমাদের মধ্যে কি তালহা আছে? এবারও কেউ জবাব দিল না। (পুনরায় তিনি বললেন, হে জনতা, তোমাদের মধ্যে কি তালহা আছে? এবারও কেউ জবাব দিলনা।) পুনরায় তিনি বললেন, হে জনতা, তোমাদের মধ্যে কি তালহা আছে? তখন তালহা বিন উবায়দুল্লাহ উঠে দাঁড়ালেন। তখন উসমান (রাঃ) তাকে বললেনঃ আমি তোমাকে এখানে দেখছি না কেন?
আমি কখনো ভাবিনি যে, তুমি একটি দলের মধ্যে আমার ডাক শুনবে এবং তিনবার শুনেও জবাব দেবেনা। হে তালহা, তোমাকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, তোমার কি মনে পড়ে অমুক জায়গায় একদিন আমি আর তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম? আমাদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্য থেকে আমি আর তুমি ব্যতীত আর কেউ ছিল না? তালহা বললেনঃ হ্যাঁ। উসমান (রাঃ) বললেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে বললেনঃ হে তালহা, আল্লাহর নবী মাত্রেরই সাহাবীদের মধ্য থেকে এমন একজন লোক জান্নাতে তাঁর সঙ্গী হয়, যে তাঁর উম্মাতের মধ্য থেকে একজন বিশিষ্ট বন্ধু। আর উসমান বিন আফফান জান্নাতে আমার সঙ্গী। তিনি আমার কথাই বলেছিলেন। তালহা বললেনঃ আল্লাহর কসম, হ্যাঁ। অতঃপর তালহা চলে গেলেন।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَوْسٍ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عُبَادَةَ الزُّرَقِيُّ الْأَنْصَارِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: شَهِدْتُ عُثْمَانَ يَوْمَ حُوصِرَ فِي مَوْضِعِ الْجَنَائِزِ، وَلَوْ أُلْقِيَ حَجَرٌ لَمْ يَقَعْ إِلا عَلَى رَأْسِ رَجُلٍ، فَرَأَيْتُ عُثْمَانَ أَشْرَفَ مِنَ الْخَوْخَةِ الَّتِي تَلِي مَقَامَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلامُ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَسَكَتُوا، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَسَكَتُوا، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَسَكَتُوا (2) ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَفِيكُمْ طَلْحَةُ؟ فَقَامَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: أَلَا أَرَاكَ هَاهُنَا؟ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّكَ تَكُونُ فِي جَمَاعَةٍ تَسْمَعُ نِدَائِي آخِرَ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ ثُمَّ لَا تُجِيبُنِي، أَنْشُدُكَ اللهَ (3) يَا طَلْحَةُ، تَذْكُرُ يَوْمَ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَوْضِعِ كَذَا وَكَذَا، لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ مِنْ [أَصْحَابِهِ] غَيْرِي وَغَيْرُكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ لَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا طَلْحَةُ، إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَمَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ رَفِيقٌ مِنْ أُمَّتِهِ مَعَهُ (4) فِي الْجَنَّةِ، وَإِنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ هَذَا - يَعْنِينِي - رَفِيقِي مَعِي فِي الْجَنَّةِ ". قَالَ طَلْحَةُ: اللهُمَّ نَعَمْ. ثُمَّ انْصَرَفَ إسناده ضعيف، القاسم بن حكم الأنصاري قال البخاري: سمع أبا عبادة ولم يصح حديث أبي عبادة، وقال أبو حاتم: مجهول، وليّنه الحافظ في " التقريب "، وأبو عبادة الزرقي - واسمه عيسى بن عبد الرحمن بن فروة - ضعفه البخاري والنسائي وابن حبان والعقيلي وغيرهم، وقال أبو حاتم: منكر الحديث، ضعيف الحديث، شبيه بالمتروك وأخرجه ابن الجوزي في " العلل المتناهية " (323) من طريق عبد الله بن أحمد، بهذا الإسناد، وقال: هذا حديث لا يصح وأخرجه البزار (374) ، وابن أبي عاصم (1288) من طريق محمد بن المثنى، والحاكم 3 / 97 - 98 من طريق عمرو بن ميسرة، كلاهما عن القاسم بن الحكم، به. وقد وقع في المطبوع من كتاب السنة لابن أبي عاصم: القاسم بن القاسم. قال الحاكم: صحيح الإسناد وتعقبه الذهبي بأن القاسم بن الحكم قال عنه البخاري: لا يصح حديثه، وأن أبا حاتم جهله ولم يتكلم على أبي عبادة الزرقي مع أنه العلة الرئيسة للحديث وهو أشد ضعفاً من القاسم بن الحكم