হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৬২

পরিচ্ছেদঃ

৩৬২। শু’বা বলেন, জুয়াইরিয়া ইবনে কুদামার উদ্ধৃতি দিয়ে আবু জামরা আয-যুবাইকে বলতে শুনেছি, ইবনে কুদামা বলেনঃ যে বছর উমার (রাঃ) আহত হলেন, সে বছর আমি হজ্জ করার পর মদীনায় এলাম। উমার (রাঃ) ভাষণ দিলেন। বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন একটা মোরগ আমাকে একটা বা দুইটা ঠোকর মারলো। (সংশয় প্রকাশ করেছেন শুবা) অতঃপর ঘটনা ছিল এই যে, তিনি ছুরিকাহত হলেন। এরপর তার কাছে আসতে সকলকে অনুমতি দেয়া হলো। সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ তার কক্ষে প্রবেশ করলো। তারপর মদীনাবাসী, তারপর সিরিয়াবাসী, তারপর ইরাকবাসীকে অনুমতি দেয়া হলো। এই সময়ে আমি অন্যান্য প্রবেশকারীর সাথে প্রবেশ করলাম। যারাই তার নিকট আসছিল, তার প্রশংসা ও বিলাপ করছিল। আমরা যখন তার নিকট গেলাম, তখন তার পেট একটা কালো পাগড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং রক্ত বয়ে যাচ্ছিল। আমরা বললাম, আমাদেরকে ওয়াসিয়াত করুন। বস্তুত আমরা ছাড়া তার কাছে আর কেউ ওয়াসিয়াতের অনুরোধ করেনি। উমার (রাঃ) ওয়াসিয়াত করলেনঃ তোমরা আল্লাহর কিতাবকে আঁকড়ে ধর। কারণ যতক্ষণ তোমরা আল্লাহর কিতাবের অনুসরণ করবে, ততক্ষণ বিপথগামী হবে না।

আমরা আবার বললাম, আমাদেরকে ওয়াসিয়াত করুন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে মুহাজিরদের প্রতি যত্নবান হবার ওয়াসিয়াত করছি। কেননা অন্যান্য মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে, আর মুহাজিরদের সংখ্যা ক্রমশ কমবে। আর আনসারদের ব্যাপারেও তোমাদেরকে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা হলো ইসলামের সেই সুরক্ষিত গিরিগুহা, যার নিকট ইসলাম আশ্রয় নিয়েছিল। আর মরুবাসীদের সম্পর্কে তোমাদেরকে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের মূল ও উৎস। আর তোমরা যাদের জিম্মাদার হয়েছ, (অমুসলিম নাগরিক) তাদের সম্পর্কে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের নবীর অঙ্গীকারের পাত্র এবং তোমাদের পরিবার পরিজনের জীবিকার যোগানদাতা। এবার তোমরা আমার কাছ থেকে চলে যাও। এ কথাগুলোর পর তিনি আমাদেরকে আর কিছু বলেননি। শু’বা বলেনঃ অতঃপর আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি মরুবাসী সম্পর্কে বললেনঃ আমি তোমাদেরকে মরুবাসী সম্পর্কে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের ভাই এবং তোমাদের শত্রুদের শত্রু।

[বুখারী-৩১৬২]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ الضُّبَعِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ جُوَيْرِيَةَ بْنِ قُدَامَةَ، قَالَ: حَجَجْتُ فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ الْعَامَ الَّذِي أُصِيبَ فِيهِ عُمَرُ، قَالَ: فَخَطَبَ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا أَحْمَرَ نَقَرَنِي نَقْرَةً أَوْ نَقْرَتَيْنِ - شُعْبَةُ الشَّاكُّ -. فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ أَنَّهُ طُعِنَ، فَأُذِنَ لِلنَّاسِ عَلَيْهِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ أَهْلُ الشَّامِ، ثُمَّ أُذِنَ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ، فَدَخَلْتُ فِيمَنْ دَخَلَ، قَالَ: فَكَانَ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهِ قَوْمٌ أَثْنَوْا عَلَيْهِ وَبَكَوْا. قَالَ: فَلَمَّا دَخَلْنَا عَلَيْهِ، قَالَ: وَقَدْ عَصَبَ بَطْنَهُ بِعِمَامَةٍ سَوْدَاءَ، وَالدَّمُ يَسِيلُ، قَالَ: فَقُلْنَا: أَوْصِنَا، قَالَ: وَمَا سَأَلَهُ الْوَصِيَّةَ أَحَدٌ غَيْرُنَا، فَقَالَ: عَلَيْكُمْ بِكِتَابِ اللهِ، فَإِنَّكُمْ لَنْ تَضِلُّوا مَا اتَّبَعْتُمُوهُ. فَقُلْنَا: أَوْصِنَا، فَقَالَ: أُوصِيكُمْ بِالْمُهَاجِرِينَ، فَإِنَّ النَّاسَ سَيَكْثُرُونَ وَيَقِلُّونَ، وَأُوصِيكُمْ بِالْأَنْصَارِ، فَإِنَّهُمْ شَعْبُ الْإِسْلامِ الَّذِي لَجِأَ إِلَيْهِ، وَأُوصِيكُمْ بِالْأَعْرَابِ، فَإِنَّهُمْ أَصْلُكُمْ وَمَادَّتُكُمْ، وَأُوصِيكُمْ بِأَهْلِ ذِمَّتِكُمْ، فَإِنَّهُمْ عَهْدُ نَبِيِّكُمْ، وَرِزْقُ عِيَالِكُمْ، قُومُوا عَنِّي. قَالَ: فَمَا زَادَنَا عَلَى هَؤُلاءِ الْكَلِمَات قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ: قَالَ شُعْبَةُ: ثُمَّ سَأَلْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ فِي الْأَعْرَابِ: وَأُوصِيكُمْ بِالْأَعْرَابِ فَإِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ، وَعَدُوُّ عَدُوِّكُمْ إسناده صحيح على شرط البخاري، رجاله ثقات رجال الشيخين غير جويرية بن قدامة، فمن رجال البخاري. أبو جمرة الضبعي: هو نصر بن عِمران وأخرجه الطيالسي (66) ، وابن أبي شيبة 14 / 581، وابن سعد 3 / 336 - 337، والبخاري (3162) ، وابن شبة في " تاريخ المدينة " 3 / 936 - 937 من طرق عن شعبة، بهذا الإسناد. وانظر ما بعده وروى عمرو بن ميمون نحو هذا عن عمر، انظر تخريج حديثه في " صحيح ابن حبان " (6917)