হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৪০

পরিচ্ছেদঃ

৩৪০। হাদীস নং ২৮৫ দ্রষ্টব্য।


২৮৫। আবুল আজফা আস-সুলামী বলেন, আমি উমার (রাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ মহিলাদের মোহরানায় বাড়াবাড়ি করো না। বাড়াবাড়ি করাটা যদি পৃথিবীতে সম্মানের ব্যাপার হতো অথবা আল্লাহর নিকট তাকওয়া বলে গণ্য হতো, তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে অগ্রণী হতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন স্ত্রীকে কখনো এত মোহরানা দেননি এবং তাঁর কোন মেয়েকেও এত মোহরানা দেয়া হয়নি, যা বারো উকিয়ার বেশি হয়। মানুষ তার স্ত্রীর মোহরানা নিয়ে এতটা পরীক্ষায় পতিত হয়, (আরেকবার বলেছেন, এতটা বাড়াবাড়ি করে) যে, তা এক সময় তার অন্তরে স্ত্রীর প্রতি শত্রুতায় পর্যবসিত হয় এবং স্বামী স্ত্রীকে (বিরক্ত হয়ে) বলে, মশকের গলার মত তোমার সাথে আটকে গিয়েছি।

আবুল আজফা বলেন, আমি এমন একজন আরব যুবক ছিলাম, যার পিতামাতার একজন আরব ও অপরজন অনারব। তাই আমি মশকের গলার মত আটকে যাওয়ার অর্থ বুঝিনি। উমার (রাঃ) আরো বলেন, আর একটা কথা যা তোমরা তোমাদের যুদ্ধ বিগ্রহে নিহত হওয়া বা মারা যাওয়া ব্যক্তিকে বলে থাক যে, অমুক শহীদ হয়ে নিহত হয়েছে বা মারা গেছে। অথচ সে হয়তো ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে তার বাহক জন্তুর সামনের অংশ বা পেছনের অংশকে সোনা বা রূপা দিয়ে বোঝাই করেছে। তোমরা এরূপ বলো না, বরং তেমনি বলো যেমন নবী মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে মারা যায় বা নিহত হয়, সে জান্নাতবাসী।