পরিচ্ছেদঃ
১১১। হারিস বিন মুয়াবিয়া আল-কিন্দী তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার জন্য উমার (রাঃ) এর নিকট রওনা করলেন। তিনি মদীনায় এসে পৌছলে উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেন এসেছ? আল-কিন্দী বললেনঃ আপনার নিকট তিনটি প্রশ্ন করার জন্য। উমার (রাঃ) বললেনঃ সেগুলি কী? তিনি বললেনঃ কখনো কখনো আমি ও আমার স্ত্রী একটি সংকীর্ণ ভবনে অবস্থান করি। সেখানে আমি ও সে যদি নামায পড়ি তাহলে সে আমার পাশে থাকে। আর যদি সে পেছনে থাকতে চায় তাহলে তাকে ভবন থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমার ও তার মধ্যে একটা কাপড় দিয়ে আড়াল করে নিও, তারপর সে তোমার পাশে দাঁড়িয়ে নামায পড়বে— যদি তুমি চাও।
দ্বিতীয় প্রশ্ন আছরের পর দু’রাকআত নফল নামায পড়া নিয়ে। উমার (রাঃ) বললেনঃ এটা পড়তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিষেধ করেছেন। তৃতীয় প্রশ্ন গল্প-গুজব করা নিয়ে। উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমার যেমন ইচ্ছা। মনে হচ্ছিল যেন তিনি তাকে নিষেধ করা অপছন্দ করছিলেন। আল-কিন্দী বললেন, আমি চাই, আপনি যা বলবেন, অবিকল তাই করবো। উমার (রাঃ) বললেনঃ আমার আশঙ্কা হয়, তুমি জনগণকে গল্প শুনাতে শুনাতে নিজেকে তাদের চেয়ে বড় মনে করবে। এরপর আরো গল্প শুনাবে, তাতে নিজেকে এত বড় মনে করতে থাকবে যে, এক সময় ভাববে, তুমি তাদের ওপরে নক্ষত্রপুঞ্জে পৌছে গেছ। ফলে আল্লাহ তোমাকে কিয়ামতের দিন সেই পরিমাণেই তাদের পায়ের নিচে ফেলবেন।
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْكِنْدِيِّ، أَنَّهُ رَكِبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَسْأَلُهُ عَنْ ثَلاثِ خِلالٍ، قَالَ: فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَسَأَلَهُ عُمَرُ: مَا أَقْدَمَكَ؟ قَالَ: لِأَسْأَلَكَ عَنْ ثَلاثِ خِلالٍ، قَالَ: وَمَا هُنَّ؟ قَالَ: رُبَّمَا كُنْتُ أَنَا وَالْمَرْأَةُ فِي بِنَاءٍ ضَيِّقٍ، فَتَحْضُرُ الصَّلاةُ، فَإِنْ صَلَّيْتُ أَنَا وَهِيَ، كَانَتْ بِحِذَائِي، وَإِنْ صَلَّتْ خَلْفِي، خَرَجَتْ مِنَ الْبِنَاءِ، فَقَالَ عُمَرُ: تَسْتُرُ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بِثَوْبٍ، ثُمَّ تُصَلِّي بِحِذَائِكَ إِنْ شِئْتَ وَعَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَقَالَ: نَهَانِي عَنْهُمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَعَنِ الْقَصَصِ، فَإِنَّهُمْ أَرَادُونِي عَلَى الْقَصَصِ، فَقَالَ: مَا شِئْتَ، كَأَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يَمْنَعَهُ، قَالَ: إِنَّمَا أَرَدْتُ أَنْ أَنْتَهِيَ إِلَى قَوْلِكَ، قَالَ: أَخْشَى عَلَيْكَ أَنْ تَقُصَّ فَتَرْتَفِعَ عَلَيْهِمْ فِي نَفْسِكَ، ثُمَّ تَقُصَّ فَتَرْتَفِعَ، حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْكَ أَنَّكَ فَوْقَهُمْ بِمَنْزِلَةِ الثُّرَيَّا، فَيَضَعَكَ اللهُ تَحْتَ أَقْدَامِهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَدْرِ ذَلِكَ إسناده حسن، رجاله ثقات رجال [الشيخين] غير الحارث بن معاوية الكندي، فقد روى عنه اثنان، وذكره ابن حبان في ثقات التابعين، وذكره بعضهم في الصحابة، وقال الحافظ ابن حجر في " تعجيل المنفعة " (162) : والذي يظهر أنه من المخضرمين، والله أعلم