পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৪-[৫৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের ইন্তিকালের পরও তার যেসব নেক ’আমল ও নেক কাজের সাওয়াব তার নিকট সব সময় পৌঁছতে থাকবে, তার মধ্যে- (১) ’ইলম বা জ্ঞান- যা সে শিখেছে এবং প্রচার করেছে; (২) নেক সন্তান- যাকে সে দুনিয়ায় রেখে গেছে; (৩) কুরআন- যা উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেছে; (৪) মাসজিদ যা সে নির্মাণ করে গেছে; (৫) মুসাফিরখানা- যা সে পথিক-মুসাফিরদের জন্য নির্মাণ করে গেছে; (৬) কূপ বা ঝর্ণা- যা সে খনন করে গেছে মানুষের পানি ব্যবহার করার জন্য এবং (৭) দান-খয়রাত- যা সুস্থ ও জীবিতবস্থায় তার ধন-সম্পদ থেকে দান করে গেছে। মৃত্যুর পর এসব নেক কাজের সাওয়াব তার নিকট পৌঁছতে থাকবে। (ইবনু মাজাহ ও বায়হাক্বী-এর শু’আবুল ঈমান)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِهِ وَحَسَنَاتِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ عِلْمًا علمه ونشره وَولدا صَالحا تَركه ومصحفا وَرَّثَهُ أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لِابْنِ السَّبِيلِ بَنَاهُ أَوْ نَهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أخرجهَا من مَاله فِي صِحَّته وحياته يلْحقهُ من بعد مَوته» . رَوَاهُ بن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
ব্যাখ্যা: হাদীসের শেষের দিকে বলা হয়েছে ব্যক্তি তার জীবিত ও সুস্থাবস্থায় তার সম্পদ হতে যা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হিসেবে দিয়ে থাকে তার সাওয়াব তার মৃত্যুর পর তার ‘আমলনামাতে লিপিবদ্ধ হয়। উল্লিখিত হাদীসাংশ দ্বারা সুস্থাবস্থায় দান করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে যাতে তার এ সদাক্বাটি তার জীবনের সর্বোত্তম সদাক্বাতে পরিণত হতে পারে। যেমন অপর এক হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো পুণ্যের দিক থেকে সর্বাধিক বড় সদাক্বাহ্ (সাদাকা) কোনটি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন- সুস্থ ও মন কার্পণ্যপূর্ণ অবস্থায় সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করা।