পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬-[১৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জ্ঞানের কথা মু’মিনের হারানো ধন। সুতরাং মু’মিন যেখানেই তা পাবে সে-ই হবে তার অধিকারী। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
ইমাম তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি গরীব। তাছাড়াও এর অপর বর্ণনাকারী ইব্রাহীম ইবনু ফাযলকে দুর্বল (য’ঈফ) বলা হয়েছে।
اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْكَلِمَةُ الْحِكْمَةُ ضَالَّةُ الْحَكِيمِ فَحَيْثُ وَجَدَهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ الْفَضْلِ الرَّاوِي يضعف فِي الحَدِيث
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত কথাটিকে রসূলের দিকে সম্বন্ধ না করে এভাবে বলা যেতে পারে যা কোন কুরআন ও সুন্নাহর বিরোধী হবে না। অর্থাৎ- প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি হিকমাতপূর্ণ কথা অনুসন্ধান করে চলে, অতঃপর যখনই সে হিকমাতপূর্ণ কথা পেয়ে যায় তখনই সাধারণত ঐ হিকমাতপূর্ণ কথার অনুসরণ করে ও সে অনুপাতে কাজ করে। অথবা, উদ্দেশ্য বুঝার ক্ষেত্রে, অতএব কুরআন-সুন্নাহর সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বুঝার ক্ষেত্রে যার বুঝ শক্তির ঘাটতি রয়েছে তার উচিত হবে আল্লাহ যাকে সূক্ষ্ম বিষয় বুঝার ক্ষমতা দান করেছেন তার জ্ঞানকে অস্বীকার না করে বরং স্বীকৃতি দেয়া এবং তার সাথে মতানৈক্যে লিপ্ত না হওয়া। যেমন হারানো বস্ত্তর মালিক তার বস্ত্ত ফিরে পাওয়ার পর তার সাথে কেউ মতানৈক্যে লিপ্ত হয় না। অথবা হারানো বস্ত্তকে যে ব্যক্তি পায় তার কাছ থেকে হারানো বস্ত্তর মালিক হারানো বস্ত্ত নিয়ে যাওয়ার সময় হারানো বস্ত্ত পাওয়া ব্যক্তি হতে মালিককে নিষেধ করা যেমন হালাল হয় না, তেমন একজন ‘আলিম ব্যক্তি যখন প্রশ্নকারীর বুঝার আগ্রহ দেখতে পাবে তখন ‘আলিম ব্যক্তির জন্য ঐ প্রশ্নকারীকে উত্তর প্রদান না করে জানার বিষয় থেকে বঞ্চিত করা হালাল হবে না। অথবা এটাও বলা যেতে পারে যে, অনেক সময় এমন ব্যক্তির সাথে হিকমাতপূর্ণ কথা এমন ব্যক্তির কাছে পৌঁছায় যে ঐ কথার উপযুক্ত; যে হিকমাতপূর্ণ কথা তুচ্ছ মনে করে না। যেমন কোন ব্যক্তি তার কোন কিছু হারিয়ে ফেলার পর যখন তা কারো কাছে পেয়ে যায় তখন ঐ পাওয়া বস্ত্তকে তার কাছ থেকে গ্রহণ করা তুচ্ছ মনে করে না যদিও হয়ত ঐ বস্ত্ত তুচ্ছ।