পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
৯৩-[১৫] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কাফির-মুশরিকদের শিশু-সন্তানদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল (মৃত্যুর পর তাদের স্থান কোথায় জান্নাতে, না জাহান্নামে)? জবাবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন, তারা (জীবিত থাকলে) কি ’আমল করত। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْإِيْمَانِ بِالْقَدْرِ
وَعَنْهُ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَرَّارِيِّ الْمُشْرِكِينَ قَالَ: «اللَّهُ أعلم بِمَا كَانُوا عاملين»
Chapter: Belief in the Divine Decree - Section 1
He [Abu Huraira] also reported that when God’s messenger was questioned about the offspring of polytheists he said, “God knows best about what they were doing.”
(Bukhari and Muslim.)
ব্যাখ্যা: (اللّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوْا عَامِلِيْنَ) অর্থাৎ- তারা জীবিত থাকলে কি করতো তা আল্লাহই ভালো জানেন। অতএব তাদের সম্পর্কে কোন মন্তব্য করবে না। এ হাদীস মুশরিকদের সন্তান সম্পর্কে মন্তব্য করা হতে বিরত থাকার সুস্পষ্ট নির্দেশ। যারা বলেন, মুশরিকদের সন্তানদের বিষয় আল্লাহর ইচ্ছাধীন; এ হাদীস তাদের পক্ষে দলীল।
বিরত থাকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আবার মতভেদ রয়েছে। বলা হয়ে থাকে এর উদ্দেশ্য হলো ব্যাপারটা আমাদের অজানা অথবা এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা। আবার কেউ বলেন, এর উদ্দেশ্য হলো সকলের ব্যাপারে একই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা। অতএব তাদের কেউ মুক্তি পাবে আবার কেউ ধ্বংস হবে।
আমার (মুবারকপূরী) দৃষ্টিতে সঠিক হলো মুশরিকদের সকল নাবালেগ সন্তানই জান্নাতে যাবে। এর স্বপক্ষে যে সকল প্রমাণাদি রয়েছে তন্মধ্যে প্রণিধানযোগ্য প্রমাণ বা দলীল ইমাম আহমাদ কর্তৃক খনসা বিনতু মু‘আবিয়াহ্ ইবনু মারইয়াম সূত্রে তার ফুফু হতে বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, ‘‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কারা জান্নাতে যাবে? তিনি বললেন, নাবীগণ জান্নাতে যাবে, শাহীদগণ জান্নাতে যাবে আর সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুগণও জান্নাতে যাবে।’’