পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৮. জনগণের নেতৃত্ব পাওয়ার পর তাদের কল্যাণ কামনা করা।
৭১৫০. হাসান বাসরী (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ’উবাইদুল্লাহ্ ইবনু যিয়াদ (রহ.) মাকিল ইবনু ইয়াসারের মৃত্যুশয্যায় তাকে দেখতে গেলেন। তখন মাকিল (রাঃ) তাকে বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করছি যা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি যে, কোন বান্দাকে যদি আল্লাহ্ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন, আর সে কল্যাণ কামনার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তাহলে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।[1] [মুসলিম ১/৬৩, হাঃ ১৪২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৫)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটি ভয়ানক সতর্কবার্তা বহন করে ওই সমস্ত কর্মকর্তার জন্য যারা লোকজনের কাজে তাদেরকে প্রতারিত করে এবং তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। সেই সমস্ত কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের হোক কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ের হোক অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিষয়ের হোক। সকলের জন্য এই হাদীসে রয়েছে সতর্ক বাণী। সুতরাং যে সমস্ত কর্মকর্তা বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সে সমস্ত কর্মকর্তার জন্য পরম সুখময় স্থান জান্নাত হারাম হয়ে যাবে। এবং তাদের জন্য অতি কষ্টদায়ক স্থান আগুনের জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে যাবে।
২। এই হাদীসটি ভয়ানক সতর্ক বাণী বহন করে প্রতারণাকারী ও বিশ্বাসভঙ্গকারী কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের জন্য। কেননা এতে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ রয়েছে। আর প্রকৃত ইসলামের একটি বিধান হলো এই যে, জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদসমূহ জান্নাত লাভের সুসংবাদসমূহের সাথে যুক্ত করা অপরিহার্য। যেহেতু জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদসমূহ কার্যকর হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কেননা মহান আল্লাহ জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদগুলিকে কার্যকর না করার কতকগুলি উপাদান নির্ধারণ করে রেখেছেন। উক্ত উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে: মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ, ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী পাপ মোচনকারী সৎকর্ম এবং যারা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে নি, তাদের জন্য সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর ইচ্ছানুসারে ক্ষমা প্রদান। এই কারণে জান্নাত লাভের সুসংবাদ ও জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদসমূহকে আরবী ভাষায় বলা হয়:
اَلْوَعْدُ وَالْوَعِيْدُ
অর্থ: জান্নাত লাভের সুসংবাদ ও জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ।
৩। ইসলাম হলো সকল আমানতকারীদের আমানত সঠিকভাবে ফেরত দেওয়ার ধর্ম। অনুরূপভাবে ইসলাম হলো ব্যক্তি, দল ও সম্প্রদায়ের সমস্ত অধিকার সংরক্ষণের ধর্ম।
بَاب مَنْ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً فَلَمْ يَنْصَحْ
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ زِيَادٍ عَادَ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا مِنْ عَبْدٍ اسْتَرْعَاهُ اللهُ رَعِيَّةً فَلَمْ يَحُطْهَا بِنَصِيحَةٍ إِلاَّ لَمْ يَجِدْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ.
Narrated Ma'qil:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Any man whom Allah has given the authority of ruling some people and he does not look after them in an honest manner, will never feel even the smell of Paradise."