পরিচ্ছেদঃ সূর্য ঢলে গেলে যোহরের নামাযের সময় হয়
৩২৯) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য ঢলে যাওয়ার পর (ঘর হতে) বের হলেন। তিনি যোহরের নামায আদায় করে মিম্বারের উপর উঠে দাঁড়ালেন। মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে তিনি কিয়ামত দিবস সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং কিয়ামত দিবসের বড় বড় কতিপয় ঘটনাও উল্লেখ করলেন। তারপর বললেনঃ তোমাদের কেউ যদি কোন প্রশ্ন করতে চায় তাহলে সে যেন প্রশ্ন করে। এখানে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় তোমরা যে প্রশ্নই আমাকে করবে আমি তার উত্তর দিব। এ কথা শুনে লোকেরা খুব কান্নাকাটি শুরু করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও খুব বলতে লাগলেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর। আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফা দাঁড়িয়ে বললঃ আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হল হুযাফা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবারও বলতে লাগলেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর। তখন উমার (রাঃ) হাঁটু গেড়ে বসে বলতে লাগলেনঃ
رَضِينا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًا
‘‘আমরা আল্লাহকে আমাদের প্রভু হিসেবে, ইসলামকে আমাদের দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের নবী হিসেবে মেনে নিয়েছি। উমার (রাঃ)এর কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শান্ত হয়ে গেলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমাকে একটু আগে এই দেয়ালের পার্শ্বে জান্নাত এবং জাহান্নাম দেখানো হয়েছে। আমি জান্নাতের মত উত্তম জিনিষ এবং দোযখের মত নিকৃষ্ট জিনিষ আর কখনও দেখিনি।
এ হাদীছটির কিছু অংশ আবু মূসা আশআরী (রাঃ)এর বর্ণনায় ইল্ম পর্বে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু এখানে অতিরিক্ত ও ভিন্ন শব্দ রয়েছে।
باب وَقْتِ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ
৩২৯ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ خَرَجَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّى الظُّهْرَ، فَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَذَكَرَ السَّاعَةَ، فَذَكَرَ أَنَّ فِيهَا أُمُورًا عِظَامًا، ثمَّ قَالَ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ، فَلا تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلا أَخْبَرْتُكُمْ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا. فَأَكْثرَ النَّاسُ فِي الْبُكَاءِ، وَأَكْثرَ أَنْ يَقُولَ سَلُونِي. فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ فَقَالَ: مَنْ أَبِي؟ قَالَ أَبُوكَ حُذَافَةُ. ثمَّ أَكْثرَ أَنْ يَقُولَ سَلُونِي. فَبَرَكَ عُمَرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، فَسَكَتَ. ثمَّ قَالَ عُرِضَتْ عَلَيَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا، فِي عُرْضِ هَذَا الْحَائِطِ، فَلَمْ أَرَ كَالْخَيْرِ وَالشَّرِّ. (بخارى:৫৪০)
The time of Zuhr prayer is when the sun declines (just after mid-day)
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Messenger (ﷺ) came out as the sun declined at midday and offered the Zuhr prayer. He then stood on the pulpit and spoke about the Hour (Day of Judgment) and said that in it there would be tremendous things. He then said, "Whoever likes to ask me about anything he can do so and I shall reply as long as I am at this place of mine. Most of the people wept and the Prophet (ﷺ) said repeatedly, "Ask me." `Abdullah bin Hudhafa As-Sahmi stood up and said, "Who is my father?" The Prophet (ﷺ) said, "Your father is Hudhafa." The Prophet (ﷺ) repeatedly said, "Ask me." Then `Umar knelt before him and said, "We are pleased with Allah as our Lord, Islam as our religion, and Muhammad as our Prophet." The Prophet then became quiet and said, "Paradise and Hell-fire were displayed in front of me on this wall just now and I have never seen a better thing (than the former) and a worse thing (than the latter).
পরিচ্ছেদঃ সূর্য ঢলে গেলে যোহরের নামাযের সময় হয়
৩৩০) আবু বারযা আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সময় ফজরের নামায আদায় করতেন যখন আমাদের কেউ তার পার্শ্বের সাথীকে চিনতে পারত। তাতে তিনি ষাট থেকে একশ আয়াত পাঠ করতেন। সূর্য (পশ্চিম আকাশে) ঢলে পড়লে তিনি যোহরের নামায পড়তেন। আসরের নামায এমন সময় আদায় করতেন যে, মসজিদে নববীতে নামায শেষ করে আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে গিয়ে সূর্যের রং পরিবর্তন হওয়ার পূর্বেই পুনরায় ফেরত আসতে পারতেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ মাগরিবের ব্যাপারে আবু বারযা কি বলেছেন, তা আমি ভুলে গেছি। ইশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করে আদায় করতে মোটেও দ্বিধাবোধ করতেন না। আবু বারযা (রাঃ) পুনরায় বলেনঃ অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে আদায় করতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
باب وَقْتِ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ
৩৩০ـ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ قَالَ:كَانَ النَّبِيُّ يُصَلِّي الصُّبْحَ وَأَحَدُنَا يَعْرِفُ جَلِيسَهُ، وَيَقْرَأُ فِيهَا مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ، وَيُصَلِّي الظُّهْرَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ، وَالْعَصْرَ وَأَحَدُنَا يَذْهَبُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ فيرَجَعَ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ، وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي الْمَغْرِبِ، وَلا يُبَالِي بِتَأْخِيرِ الْعِشَاءِ إِلَى ثلُث اللَّيْلِ، ثمَّ قَالَ: إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ
The time of Zuhr prayer is when the sun declines (just after mid-day)
Narrated Abu Al-Minhal:
Abu Barza said, "The Prophet (ﷺ) used to offer the Fajr (prayer) when one could recognize the person sitting by him (after the prayer) and he used to recite between 60 to 100 Ayat (verses) of the Qur'an. He used to offer the Zuhr prayer as soon as the sun declined (at noon) and the `Asr at a time when a man might go and return from the farthest place in Medina and find the sun still hot. (The sub-narrator forgot what was said about the Maghrib). He did not mind delaying the `Isha prayer to one third of the night or the middle of the night."