পরিচ্ছেদঃ
৩৬২) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যতক্ষণ তোমরা নামাযের অপেক্ষা করতে থাকবে ততক্ষণ তোমরা নামাযরত আছ বলেই গণ্য হবে।
৩৬২ـ عن أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رسول الله لَمْ تَزَالُوا فِي صَلاةٍ مَا انْتَظَرْتُمُ الصَّلاةَ
পরিচ্ছেদঃ
৩৬৩) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত শতাব্দীর সমাপ্তি সম্পর্কে এই হাদীছটি পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে। এখানে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আজ যারা জীবিত আছে (একশত বছর পূর্তির মাথায়) তাদের কেউ জীবিত থাকবেনা। অর্থাৎ তাঁর কথার অর্থ হল এ শতাব্দী শেষ হয়ে গেলে।
টিকাঃ যারা বিশ্বাস করেন যে, খিযির (আঃ) এবং ইলিয়াস (আঃ) বেঁচে আছেন এবং তাদের একজন জলভাগের আর অপর জন স্থলভাগের দায়িত্ব পালন করছেন, উক্ত হাদীছ তাদের প্রতিবাদ করছে।
৩৬৩ـ حديثه على رأس مائة سنة تقدم وفي رواية هنا عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ لا يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَحَدٌ. يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنَّهَا تَخْرِمُ ذَلِكَ الْقَرْنَ
পরিচ্ছেদঃ
৪২৪) আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত সূর্য গ্রহণের হাদীছটি পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে। এখানে তিনি এতটুকু বাড়িয়ে বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাত আমার নিকটবর্তী হয়েছিল। আমি ইচ্ছা করলে জান্নাতের ফলসমূহ থেকে এক ছড়া ফল তোমাদের কাছে নিয়ে আসতে পারতাম। এমনিভাবে জাহান্নামও আমার নিকটবর্তী হয়েছিল। আমি বললামঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকেও কি তাদের সাথে রাখা হবে? হঠাৎ আমি সেখানে একটি মহিলা দেখতে পেলাম। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমার ধারণা তিনি বলেছেনঃ একটি বিড়াল মহিলাকে নখ দিয়ে খামচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করছিল। আমি বললামঃ এই মহিলাটির অবস্থা এমন কেন? তাঁরা বললেনঃ মহিলা বিড়ালটিকে অনাহারে মৃত্যু পর্যন্ত বেঁধে রেখেছিল। সে বিড়ালটিকে খেতে দেয়নি এবং যমীন থেকে পোকা-মাকড় ধরে খাওয়ার জন্য ছেড়েও দেয়নি।
৪২৪ـ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبي بَكْرٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: حديث الكسوف وقد تقدم، وفي هذه الرواية: قَالَتْ: قَالَ قَدْ دَنَتْ مِنِّي الْجَنَّةُ حَتَّى لَوِ اجْتَرَأْتُ عَلَيْهَا لَجِئْتُكُمْ بِقِطَافٍ مِنْ قِطَافِهَا، وَدَنَتْ مِنِّي النَّارُ حَتَّى قُلْتُ: أَيْ رَبِّ وَأَنَا مَعَهُمْ؟ فَإِذَا امْرَأَةٌ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: تَخْدِشُهَا هِرَّةٌ قُلْتُ مَا شَأْنُ هَذِهِ؟ قَالُوا: حَبَسَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا، لا أَطْعَمَتْهَا وَلا أَرْسَلَتْهَا تَأْكُلُ ـ قَالَ: حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ مِنْ خَشِيشِ أَوْ خَشَاشِ الأَرْضِ
Narrated Asma' bint Abi Bakr:
On completion of the prayer, he said, "Paradise became near to me that if I had dared, I would have plucked one of its bunches for you and Hell became so near to me that said, 'O my Lord will I be among those people?' Then suddenly I saw a woman and a cat was lacerating her with it claws. On inquiring, it was said that the woman had imprisoned the cat till it died of starvation and she neither fed it no freed it so that it could feed itself."
পরিচ্ছেদঃ
৪৫১) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ন্যায় নামায আদায় করে থাকি। আবু হুরায়রা (রাঃ) যোহর, ইশা এবং ফজরের নামাযের শেষ রাকআতে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলার পর দু’আয়ে কুনূত পাঠ করতেন। তাতে তিনি মুমিনদের জন্য দু’আ করতেন এবং কাফেরদের উপর লা’নত করতেন।
৪৫১- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ لأُقَرِّبَنَّ صَلاَةَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ رضى الله عنه يَقْنُتُ فِى الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِنْ صَلاَةِ الظُّهْرِ وَصَلاَةِ الْعِشَاءِ وَصَلاَةِ الصُّبْحِ بَعْدَ مَا يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَيَدْعُو لِلْمُؤْمِنِينَ وَيَلْعَنُ الْكُفَّارَ
Narrated Abu Hurairah:
He said, "No doubt, my Salat is similar to that of the Prophet (ﷺ)." Abu Hurairah used to recite Qunut after saying Sami' Allahu liman hamida in the last Rak'a of the Zuhr, Isha and Fajr Prayers. He would ask Allah's Forgiveness for the true believers and curse the disbelievers.
পরিচ্ছেদঃ
৪৫২) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ দু’আয়ে কুনূত মাগরিব ও ফজরের নামাযে পড়া হত।
৪৫২-عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ الْقُنُوْتُ فِي الْمَغْرِبِ وَالْفَجْرِ. (بخارى:৭৯৮)
Narrated Anas:
The qunut [supplication before going down for prostration] used to be recited in the Maghrib and the Fajr prayers.
পরিচ্ছেদঃ
৫৩০) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে (আমার ঘরের সামনে দন্ডায়মান) দেখতে পেলাম। তখন হাবশীগণ মসজিদে খেলা করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে আপন চাদর দিয়ে পর্দা করে রাখছিলেন আর আমি তাদের খেলা অবলোকন করছিলাম। উমার (রাঃ) তাঁদেরকে ধমকালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তাদেরকে খেলতে দাও। হে বনী আরফেদা (হাবশীদের উপাধী) তোমরা নিরাপদে ও আরামের সাথে খেলতে থাক।
৫৩০- قَالَتْ عَائِشَةُ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ يَسْتُرُنِي وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ، فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ، فَقَالَ النَّبِيُّ دَعْهُمْ، أَمْنًا بَنِي أَرْفِدَةَ
Narrated `Aisha:
"Once the Prophet (ﷺ) was screening me and I was watching the display of black slaves in the Mosque and (`Umar) scolded them. The Prophet (ﷺ) said, 'Leave them. O Bani Arfida! (carry on), you are safe (protected)'."