পরিচ্ছেদঃ সালাতে কোন ব্যক্তির ‘আমীন’ বলা ফেরেস্তাদের ‘আমীন’ বলার সাথে মিলে গেলে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ করা হয়
১৮০১. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ইমাম যখন বলেন, غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট), তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে, কেননা ফেরেস্তাগণ ‘আমীন’ বলেন, ইমামও ‘আমীন’ বলেন। কাজেই যার ‘আমীন’ বলা ফেরেস্তাদের ‘আমীন’ বলার সাথে মিলে যাবে, তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” [1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস “যার ‘আমীন’ বলা ফেরেস্তাদের ‘আমীন’ বলার সাথে মিলে যাবে” এর মর্মার্থ হলো ফেরেস্তাগণ আমীন বলেন, তাঁদের আমীন বলায় আত্নগরিমা, লৌকিকতা প্রদর্শন, খ্যাতি লাভের মতো কোন রকম ত্রুটি থাকে না, বরং তাঁদের আমীন বলা সম্পূর্ণরুপে আল্লাহর জন্য খালেস হয়ে থাকে। কাজেই কোন পাঠক যখন আত্নগরিমা, লৌকিকতা প্রদর্শন, খ্যাতি লাভের মতো কোন রকম ত্রুটি ছাড়া তাঁদের মতো আমীন বলবে, তার আমীন বলাটা ইখলাসের ক্ষেত্রে তাঁদের মতই হবে, তখন তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ : ৮৬৫)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَ الْمَرْءِ فِي صَلَاتِهِ: آمِينَ يَغْفِرُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ إِذَا وَافَقَ ذَلِكَ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ
1801 - أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: (إِذَا قَالَ الْإِمَامُ {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] فَقُولُوا: آمِينَ فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَقُولُ: آمِين وَالْإِمَامَ يَقُولُ: آمِينَ فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ له ما تقدم من ذنبه)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1801 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (865)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مَعْنَى قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ) أَنَّ الْمَلَائِكَةَ تَقُولُ: آمِينَ مِنْ غَيْرِ عِلَّةٍ: مِنْ رِيَاءٍ وَسُمْعَةٍ أَوْ إِعْجَابٍ بَلْ تَأْمِينُهَا يَكُونُ خَالِصًا لِلَّهِ فَإِذَا أمَّنَ الْقَارِئُ لِلَّهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ فِيهِ عِلَّةٌ: مِنْ إِعْجَابٍ أَوْ رِيَاءٍ أَوْ سُمْعَةٍ كَانَ مُوَافِقًا تَأْمِينُهُ فِي الْإِخْلَاصِ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غُفر لَهُ حِينَئِذٍ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذنبه.