পরিচ্ছেদঃ তাওবা (অনুশোচনা হলো তাওবা এই মর্মে হাদীস)
৬১০. আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের পূর্বযুগে এক ব্যক্তি নিরানব্বই জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। অতঃপর সে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, এবং তাকে একজন দরবেশকে দেখানো হয়। ফলে সে তার কাছে আসেন এবং তাকে বলেন যে, সে নিরানব্বই জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে তার কি তাওবার কোন সুযোগ আছে?” দরবেশ জবাবে বলেন: “না (তাওবার কোন সুযোগ নেই)।” ফলে সে তাকেও হত্যা করে একশত হত্যা পূর্ণ করে! অতঃপর সে আবার পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, এবং তাকে এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়। ফলে সে তার কাছে আসেন এবং তাকে বলেন যে, সে একশত জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে, তার কি তাওবার কোন সুযোগ আছে?” সেই ব্যক্তি জবাবে বলেন: “হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। তোমার মাঝে আর তাওবার কাছে কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে? তুমি ওমুক ওমুক জায়গায় যাও, কেননা সেখানে আল্লাহর ইবাদতগুজার কিছু মানুষ আছেন। অতএব তুমিও সেখানে আল্লাহর ইবাদত করবে, তোমার এলাকায় আর ফিরে যাবে না। কেননা সেটি মন্দ এলাকা।” অতঃপর সে ব্যক্তি রওনা দেয় এমনকি যখন সে অর্ধেক রাস্তায় আসে, তখন তার মৃত্যু হয়। ফলে তার ব্যাপারে রহমতের ফেরেস্তা ও আযাবের ফেরেস্তা বাদানুবাদে লিপ্ত হয়; রহমতের ফেরেস্তাগণ বলেন: “সে আমাদের কাছে তাওবা করে, আল্লাহ অভিমূখী হয়ে এসেছে।” আযাবের ফেরেস্তাগণ বলেন: “সে তো কখনই কোন ভাল কাজ করেনি!” এমন সময় একজন ফেরেস্তা মানুষের আকৃতিতে সেখানে আসেন ফলে তারা তাকে তাদের বিবাদের ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারী বানায়। তিনি বলেন: “তোমরা উভয় দিকের জমি পরিমাপ করো। সে যেদিকে অধিক নিকটবর্তী, সেটা তারই বলে গণ্য হবে। ফলে তারা তা পরিমাপ করে এবং তারা তাকে তার উদ্দিষ্ট জমিনের অধিক নিকটবর্তী পায়, ফলে তাকে রহমতের ফেরেস্তাগণ গ্রহণ করেন।”[1]
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ৪/৭৭।)
باب التوبة (ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ النَّدَمَ تَوْبَةٌ)
610 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قال: (كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ رَجُلٌ قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فدُلَّ عَلَى رَاهِبٍ فَأَتَاهُ فقَالَ: إِنَّهُ قَتَلَ تسعة وتسعين نفساً فهل له منْ توبة؟ قال: لا فقتله وكمَّل به مئة ثُمَّ سَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فقَالَ: أَنَّهُ قَتَلَ مِئَةً فَهَلْ له من تَوْبَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ مَنْ يَحُولُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ التَّوْبَةِ؟ ائْتِ أَرْضَ كَذَا وَكَذَا فَإِنَّ بِهَا نَاسًا يَعْبُدُونَ اللَّهَ فَاعْبُدِ اللَّهَ وَلَا تَرْجِعْ إِلَى أَرْضِكَ فَإِنَّهَا أَرْضُ سُوءٍ فَانْطَلَقَ حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ الطَّرِيقَ أَتَاهُ الْمَوْتُ فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ فَقَالَتْ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ: جَاءَنَا تَائِبًا مُقْبِلًا بِقَلْبِهِ إِلَى اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا وَقَالَتْ مَلَائِكَةُ الْعَذَابِ: إِنَّهُ لَمْ يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ فَأَتَاهُ مَلَكٌ فِي صُورَةِ آدَمِيٍّ فَجَعَلُوهُ بَيْنَهُمْ فقَالَ: قِيسُوا مَا بَيْنَ الْأَرْضَيْنِ: أَيُّهُمَا كَانَ أَقْرَبَ فَهِيَ لَهُ فَقَاسُوهُ فَوَجَدُوهُ أَدْنَى إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي أَرَادَ فَقَبَضَتْهُ بِهَا ملائكة الرحمة.)
الراوي : أَبو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 610 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.