পরিচ্ছেদঃ যেসব বৈশিষ্টসমূহ একজন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত আবশ্যক করে দেয়
৩৭৪. আবু কাসীর আস সুহাইমী রহিমাহুল্লাহ তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেন, তাঁর বাবা বলেন, “আমি আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহুকে প্রশ্ন করলাম; আমি তাকে বললাম: “আমাকে এমন আমলের সন্ধান দিন যা কোন বান্দা আমল করলে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।” জবাবে তিনি বলেন, “আমি এই ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জবাবে তিনি বলেছিলেন: “তুমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।” তিনি বলেন, “আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ঈমানের সাথে কি আমলও আছে?” তিনি বলেন: “আল্লাহ তাকে যে রিযিক দিয়েছেন, তা হতে কিছু দান করবে।” আমি বললাম: “যদি সে ব্যক্তি নিঃস্ব হয়, তার কিছুই না থাকে?” তিনি বলেন: “জবান দিয়ে ভালো কথা বলবে।” তিনি বলেন, “আমি বললাম: “যদি সে এমন অক্ষম হন যে, যে জবান দিয়ে সে পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে?” তিনি বলেন: “ তাহলে কোন পরাভূত ব্যক্তিকে সাহায্য করবে।” আমি বললাম: “যদি সে এমন দুর্বল হয় যে, তার সে ক্ষমতা নেই?” তিনি বলেন: “তাহলে কোন নির্বোধ লোকের জন্য কাজ করবে।” আমি বললাম: “যদি সে নিজেই নির্বোধ হয়?” রাবী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার দিকে ফিরে তাকান এবং বলেন: “তুমি যখন তোমার সঙ্গীর মাঝে কোন ভালোত্বই রাখতে চাচ্ছো না, তবে সে যেন মানুষকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকে।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এটা তো খুবই সহজ কথা!” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “ঐ সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে যা আছে তা প্রাপ্তির জন্য এর কোন একটি বৈশিষ্ট্য আমল করে, তবে তা কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবে।”[1]
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: أَبُو كَثِيرٍ السُّحَيْمِيُّ: اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أُذَيْنَةَ مِنْ ثِقَاتِ أَهْلِ الْيَمَامَةِ.
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আবু কাসীর আস সুহাইমী, তাঁর নাম ইয়াযিদ বিন আব্দুর রহমান বিন উযাইনাহ। তিনি ইয়ামামার একজন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি।”
হাদীসটির সানাদের ব্যাপারে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ লিগাইরিহী বলেছেন। (আস সহীহা: ২৬৬৮)
ذِكْرُ الْخِصَالِ الَّتِي يَسْتَوْجِبُ الْمَرْءُ بِهَا الْجِنَانَ مِنْ بَارِئِهِ جَلَّ وَعَلَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي أَبُو كَثِيرٍ السُّحَيْمِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ قُلْتُ: دُلَّني عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلَ الْعَبْدُ بِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ قَالَ: سَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقَالَ: (يُؤْمِنُ بِاللَّهِ) قَالَ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ مَعَ الْإِيمَانِ عَمَلًا؟ قَالَ: (يَرْضَخُ مِمَّا رَزَقَهُ اللَّهُ) قُلْتُ: وَإِنْ كَانَ مُعدماً لَا شَيْءَ لَهُ؟ قَالَ: (يَقُولُ مَعْرُوفًا بِلِسَانِهِ) قَالَ: قُلْتُ: فَإِنْ كَانَ عَيِيَاً لَا يُبلغ عَنْهُ لِسَانُهُ؟ قَالَ: (فيُعِينُ مَغْلُوبًا) قُلْتُ: فَإِنْ كَانَ ضَعِيفًا لَا قُدْرَةَ لَهُ؟ قَالَ: (فَلْيَصْنَعْ لِأَخْرَقَ) قُلْتُ: وَإِنْ كان أخرق؟ قال: فالتفت إلي وقال: (مَا تُرِيدُ أَنْ تَدَعَ فِي صَاحِبِكَ شَيْئًا مِنَ الْخَيْرِ فَلْيَدَعِ النَّاسَ مِنْ أَذَاهُ) فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ كَلِمَةُ تَيْسِيرٍ؟ فقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ عَبْدٍ يَعْمَلُ بِخَصْلَةٍ مِنْهَا يُرِيدُ بِهَا مَا عِنْدَ اللَّهِ إِلَّا أخذتْ بيده يوم القيامة حتى تدخله الجنة.)
الراوي : مُعَاذ بْن جَبَلٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 374 | خلاصة حكم المحدث: صحيح لغيره.