পরিচ্ছেদঃ যে ফরযকে আল্লাহ তা‘আলা নফল হিসেবে নির্ধারণ করেন, হতে পারে সেটাকে তিনি দ্বিতীয় বার ফরয করে দিবেন, ফলে যে কাজটি প্রথমে ফরয ছিল, সেটা শেষাবধি আবার ফরয হিসেবে গণ্য হবে
১৪১. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রমযানের একরাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (স্বীয় হুজরা থেকে মাসজিদের উদ্দেশ্যে) বের হলেন। অতঃপর মাসজিদে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন। এসময় কিছু সাহাবী তাঁর সালাতের ইকতিদা করে তার পেছনে সালাত আদায় করেন।পরদিন সকালে এই বিষয় নিয়ে লোকদের মাঝে আলোচনা হয়। ফলে এদিন আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক মাসজিদে জমায়েত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বিতীয় রাতেও মাসজিদে আসলেন এবং সাহাবাগণ তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। পরদিন সকালে আবারো এই বিষয় নিয়ে লোকদের মাঝে আলোচনা হয়। ফলে তৃতীয় রাতে মাসজিদে প্রচুর লোক জমায়েত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তৃতীয় রাতেও মাসজিদে আসলেন এবং সাহাবাগণ তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। এভাবে চতুর্থ রাতে এতো বিপুল সংখ্যক জমায়েত হলো যে, মাসজিদে জায়গা সংকুলান হচ্ছিল না। এ রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের সালাত আদায়ের উদ্দেশ্য ছাড়া আর মাসজিদে আসেননি। ফজরের সালাত শেষ হলে তিনি মানুষের সামনে আগমন করেন এবং খুতবা পাঠ করে বলেন: “অতঃপর, তোমাদের অবস্থান আমার কাছে গোপন ছিল না। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছিল এটা তোমাদের উপর ফরয করে দেওয়া হবে আর তখন তোমরা তা পালন করতে পারবে না।”
আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ব্যাপারে বিধানগত কোন ফায়সালা না দিয়ে মানুষকে এই সালাত আদায় করার জন্য উৎসাহিত করতেন।তিনি বলতেন: “যে ব্যক্তি রমাযানে রাতে ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করবে, তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। ”অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়া থেকে চলে যান, এই ব্যাপারটি এমনি থাকে। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফত কালে এবং উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতের প্রথম দিকেও ব্যাপারটি এমনি ছিল।[1] (অতঃপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতের কিছুকাল পর তারাবীহর সালাত জামা’আতে পড়ার প্রচলন শুরু হয়।)
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সালাতুত তারাবীহ)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْفَرْضَ الَّذِي جَعَلَهُ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا نَفْلًا جَائِزٌ أَنْ يُفْرَضَ ثَانِيًا فَيَكُونُ ذَلِكَ الْفِعْلُ الَّذِي كَانَ فَرَضًا فِي الْبِدَايَةِ فَرْضًا ثَانِيًا فِي النِّهَايَةِ
أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ الطَّائِيُّ بِمَنْبَجَ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ حَفْصٍ النُّفَيْلِيُّ قَالَ قَرَأْنَا عَلَى مَعْقِلِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى رِجَالٌ وَرَاءَهُ بِصَلَاتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا بِذَلِكَ فَاجْتَمَعَ أَكْثَرَهُمْ مِنْهُمْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّانِيَةَ فَصَلَّوْا بِصَلَاتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا بِذَلِكَ فَاجْتَمَعَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ لَيْلَةَ الثَّالِثَةِ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّوْا بِصَلَاتِهِ فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الرَّابِعَةُ عَجَزَ الْمَسْجِدُ عَنْ أَهْلِهِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إلَا لِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَلَمَّا قُضِيَتْ صَلَاةُ الْفَجْرِ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَتَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ: "أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ لَمْ يَخْفَ عَلَيَّ مَكَانُكُمْ وَلَكِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ فَتَقْعُدُوا عَنْهَا".
وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرَغِّبُهُمْ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِقَضَاءِ أَمْرٍ فِيهِ يَقُولُ: "مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذنبه" فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ وَصَدْرًا مِنْ خلافة عمر رضوان الله عليهم أجمعين.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 141 | خلاصة حكم المحدث: إسناده حسن