পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৪৮. ইয়াকূব ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... মালিক ইবনু স’স’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন যে, আমি কা’বার নিকট তন্দ্রাচ্ছন্নাবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম যে, তিনজনের একটি দলের মধ্যবর্তী লোকটি এগিয়ে এলো। আমার নিকট হিকমাত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হলো। তারপর ঐ ব্যক্তি আমার সিনার অগ্রভাগ হতে নাভী পর্যন্ত বিদীর্ণ করল। যমযমের পানি দ্বারা ’কলব’ (হৃদপিণ্ড) ধুয়ে নিল। এরপর হিকমাত ও ঈমান দ্বারা তা ভরে দেয়া হলো। পরে আমার নিকট আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড় এমন একটি জন্তু আনা হলো।
আমি জিবরীল ’আলায়হিস সালাম -এর সাথে চলতে থাকি। পরে আমরা দুনিয়ার (নিকটবর্তী) আকাশ পর্যন্ত পৌছাই। তখন বলা হলো, কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, (আমি) জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? জিবরীল আলায়হিস্ বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। বলা হলো, তাঁকে নিয়ে আসার জন্যে কি দূত পাঠানো হয়েছে? তার আগমনে খোশ আমদেদ, তাঁর আগমন কতই না কল্যাণময়। এরপর আমি আদম ’আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম, তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) পুত্র ও নবী।
এর পরে আমরা দ্বিতীয় আসমানে এলাম। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, (আমি) জিবরীল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। পূর্ববৎ তাকে খোশ আমদেদ জানানো হলো। এরপর আমি ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁদের উভয়কে সালাম দিলাম। তারা বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে এলাম। এখানেও প্রশ্ন করা হলো, কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। পূর্ববৎ তাকে অভিবাদন জানানো হলো। এখানে আমি ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনিও বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে এলাম। এখানেও পূর্ববৎ প্রশ্নোত্তর হলো ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। পরে আমি হারূন আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌছলাম। এখানেও প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। আমি যখন তাকে অতিক্রম করে যাই তখন তিনি কাঁদতে থাকলেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে আমার রব! এ যুবক যাকে আপনি আমার পরে নবীরূপে প্রেরণ করেছেন। আমার উম্মত হতে যত সংখ্যক লোক জান্নাতে যাবে তাঁর উম্মত হতে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তারা মর্যাদায় হবেন শ্রেষ্ঠতর।
তারপর আমরা সপ্তম আসমানে এলাম। এখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি ইব্রাহীম আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা করলাম। তাকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, খোশ আমদেদ, (হে) পুত্র ও নবী। তারপর আমার সামনে বায়তুল মা’মূর উপস্থিত করা হলো। আমি জিবরীল আলায়হিস সালাম-কে প্রশ্ন করলাম, এটি কোন্ স্থান। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মা’মূর। এখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) সালাত আদায় করে। একদিন যারা এখানে সালাত আদায় করেন, তারা এখানে কোনদিন ফিরবেন না। এ একবারই তাদের জন্যে চূড়ান্ত (সুযোগ)। তারপর আমার সামনে সিদরাতুল মুনতাহা হাজির করা হলো। তার (সিদরাতুল মুনতাহা’র) গাছের ফল আকারে হাজার নামক (স্থানের) কলসীর মতো এবং পাতাগুলো হাতীর কানের মতো এবং দেখলাম যে, তার মূল হতে চারটি নহর প্রবাহমান। দু’টি অপ্রকাশ্য ও দু’টি প্রকাশ্য। আমি জিবরীল আলায়হিস সালাম-কে এগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দু’টি জান্নাতে প্রবাহমান। আর প্রকাশ্য নহর দুটির একটি ফুরাত ও অন্যটি নীল। তারপর আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হলো।
ফেরার পথে আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট আসালাম। তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনি কি করে আসলেন? বললাম, আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে আপনার চেয়ে বেশি জানি। আমি বানী ইসরাঈলকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। এ কথা নিশ্চিত যে, আপনার উম্মত এগুলো আদায় করতে পারবে না। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং এই নির্দেশ সহজ করে নিয়ে আসুন। আমি আমার রবের নিকট পুনরায় গেলাম এবং এ বিধান সহজ করবার আবেদন করলাম। এতে তিনি তা চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা আলায়হিস্-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি করলে? আমি বললাম, তা চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন। তিনি এবারও আমাকে পূর্বের ন্যায় বললেন, আমি আমার মহান রবের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি এবার ত্রিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে জানালাম। তিনি আমাকে পূর্বের মতো বললেন, আমি আবার প্রতিপালকের নিকট হাজির হলাম। তিনি বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর দশ ওয়াক্ত এবং তারপর পাঁচ ওয়াক্ত করে দিলেন।
এরপর আমি মূসা আলায়হিস সালাম এর কাছে এলাম। তিনি পূর্বের মতো একই কথা বললেন, আমি বললাম, আমি আবার আল্লাহর কাছে যেতে লজ্জাবোধ করছি। তারপর আল্লাহর পক্ষ হতে ঘোষণা দেয়া হলো, আমি আমার বিধান চূড়ান্ত করে দিয়েছি এবং আমার বান্দাদের জন্যে সহজ করে দিয়েছি। আর আমি একটি নেক কাজের পরিবর্তে দশটি প্রতিদান প্রদান করবো।
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قال: حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، قال: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ، إِذْ أَقْبَلَ أَحَدُ الثَّلَاثَةِ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ، فَأُتِيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مَلْآنَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا فَشَقَّ مِنَ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ الْبَطْنِ فَغَسَلَ الْقَلْبَ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ، ثُمَّ انْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَام فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، فَقِيلَ: مَنْ هَذَا ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ، مَرْحَبًا بِهِ وَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ، قِيلَ: مَنْ هَذَا ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى يَحْيَى، وَعِيسَى فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِمَا، فَقَالَا: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّالِثَةَ، قِيلَ: مَنْ هَذَا ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِدْرِيسَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى هَارُونَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّادِسَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، ثُمَّ أَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَلَمَّا جَاوَزْتُهُ بَكَى، قِيلَ: مَا يُبْكِيكَ ؟ قَالَ: يَا رَبِّ، هَذَا الْغُلَامُ الَّذِي بَعَثْتَهُ بَعْدِي يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِهِ الْجَنَّةَ أَكْثَرُ وَأَفْضَلُ مِمَّا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّابِعَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَام، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ رُفِعَ لِي الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ، فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: هَذَا الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ يُصَلِّي فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ فَإِذَا خَرَجُوا مِنْهُ لَمْ يَعُودُوا فِيهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، ثُمَّ رُفِعَتْ لِي سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبْقُهَا مِثْلُ قِلَالِ هَجَرٍ وَإِذَا وَرَقُهَا مِثْلُ آذَانِ الْفِيَلَةِ وَإِذَا فِي أَصْلِهَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ، فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَفِي الْجَنَّةِ وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالْفُرَاتُ وَالنَّيْل، ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلَاةً فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ: مَا صَنَعْتَ ؟ قُلْتُ: فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلَاةً، قَالَ: إِنِّي أَعْلَمُ بِالنَّاسِ مِنْكَ، إِنِّي عَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ وَإِنَّ أُمَّتَكَ لَنْ يُطِيقُوا ذَلِكَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنْكَ، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَسَأَلْتُهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنِّي فَجَعَلَهَا أَرْبَعِينَ، ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: مَا صَنَعْتَ ؟ قُلْتُ: جَعَلَهَا أَرْبَعِينَ، فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَجَعَلَهَا ثَلَاثِينَ، فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَجَعَلَهَا عِشْرِينَ ثُمَّ عَشْرَةً ثُمَّ خَمْسَةً، فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، فَقُلْتُ: إِنِّي أَسْتَحِي مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ أَرْجِعَ إِلَيْهِ، فَنُودِيَ أَنْ قَدْ أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي وَأَجْزِي بِالْحَسَنَةِ عَشْرَ أَمْثَالِهَا .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/بدء الخلق ۶ (۳۲۰۷)، أحادیث الأنبیاء ۲۲ (۳۳۹۳)، ۴۲ (۳۴۳۰)، مناقب الأنصار ۴۲ (۳۸۸۷)، صحیح مسلم/الإیمان ۷۴ (۱۶۴)، سنن الترمذی/تفسیر سورة الم نشرح (۳۳۴۶) (مختصراً، وقال: في الحدیث قصة طویلة)، (تحفة الأشراف: ۱۱۲۰۲)، مسند احمد ۲/۲۰۷، ۲۰۸، ۲۱۰ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 449 - صحيح
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
It was narrated from Anas bin Malik, from Malik bin Sa'sa'ah, that the Prophet (ﷺ) said: While I was at the Ka'bah, in a state between sleep and wakefulness, three men came, and one of them who was in the middle came toward me. I was brought a basin of gold, filled with wisdom and faith, and he slit open from the throat to the lower abdomen, and washed the heart with Zamzam water, then - it was filled with wisdom and faith. Then I was brought a riding-beast, smaller than a mule and bigger than a donkey. I set off with Jibril, peace be upon him, and we came to the lowest heaven. It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' It was said: 'Has (revelation) been sent to him? Welcome to him, what an excellent visit his is.' I came to Adam, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then we came to the second heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' [1] It was said: 'Who is with you?' he said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yahya and 'Eisa, peace be upon them both, and greeted them, and they said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the third heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yusuf, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fourth heaven and the same exchange took place. I came to Idris, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fifth heaven and the same exchange took place. I came to Harun, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the sixth heaven and the same exchange took place. I came to Musa, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' What I passed him, he wept, and it was said: 'Why are you weeping?' He said: 'O Lord, this young man whom You have sent after me, more of his Ummah will enter Paradise than from my nation, and they will be more virtuous than them.' Then we came to the seventh heaven and a similar exchange took place. I came to Ibrahim, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then I was taken up to the Oft-Frequented House (Al-Bait al-Ma'mur) and I asked Jibra'il about it, and he said: 'This is Al-Bait al-Ma'mur in which seventy thousand angels pray everyday, and when they leave it they never come back.' Then I was taken up to Sidrah Al-Muntaha (the Lote-Tree of the Utmost Boundary). Its fruits were like Qilal [2] of Hajar and its leaves were like the ears of elephants. At its base were four rivers: Two hidden rivers and two manifest rivers. I asked Jibril (About them) and he said: 'The two hidden ones are in paradise, and the two manifest ones are the Euphrates and the Nile.' Then fifty prayers were enjoined upon me. I came to Musa and he said: 'What happened?' I said: 'Fifty prayers have been enjoined upon me.' He said: 'I know more about the people than you. I tried hard with the Children of Israel. Your Ummah will never be able to bear that. Go back to your Lord and ask Him to reduce it for you.' So I went back to my Lord and asked Him to reduce it, and He made it forty. Then I went back to Musa, peace be upon him, and he said: 'What happened?' I said: 'He made it forty.' He said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and He made it thirty. I came to Musa, peace be upon him, and told him, and he said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and he made it twenty, then ten, then five. I came to Musa, peace be upon him, and he said to me something like he had said the first time, but I said: 'I feel too shy before my Lord to go back to Him.' Then it was called out: 'I have decreed (the reward for) My obligation, and I have reduced the burden for My slaves and I will give a ten-fold reward for each good deed.' [1] It is like this here, while it is Jibra'il the first time it appears in this narration, and Jibra'il is often used in the Hadith literature. [2] Plural of Qullah
পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৪৯. ইউনুস ইবনু আব্দুল আ’লা (রহ.)… আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এবং ইবনু হাযম (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মতের ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করলেন। আমি ঐ পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত নিয়ে মূসা ’আলায়হিস সালাম-এর নিকট ফিরে এলাম। তখন মূসা আলায়হিস সালাম আমাকে প্রশ্ন করলেন যে, আপনার প্রতিপালক আপনার উম্মতের ওপর কি ফরয করেছেন? তখন আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। মূসা আলায়হিস্ আমাকে বললেন যে, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের নিকট যান। কারণ, আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে পারবে না। তারপর আমি আমার প্রতিপালকের নিকট গেলাম। আল্লাহ তা’আলা পঞ্চাশ ওয়াক্ত হতে কিছু কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এসে তাঁকে এ বিষয়ে জানালাম। তিনি বললেন, আপনি আবার যান। কেননা আপনার উম্মত তা আদায় করতে পারবে না। পরে আমি আবার আমার প্রতিপালকের নিকট গেলাম। তখন আল্লাহ তা’আলা বললেন, সালাত পাঁচ ওয়াক্ত (গণনা হিসেবে)। কিন্তু এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতই পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান (প্রতিদান হিসেবে)। এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, আমার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয় না। তারপর আমি মূসা আলায়হিস্-এর কাছে ফিরে যাই। মূসা আলায়হিস সালাম বললেন, আবার আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। তখন আমি বললাম, আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট এ বিষয় নিয়ে আবার উপস্থিত হতে লজ্জাবোধ করছি।
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قال: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قال: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قال أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَابْنُ حَزْمٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلَاةً فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى أَمُرَّ بِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: مَا فَرَضَ رَبُّكَ عَلَى أُمَّتِكَ ؟ قُلْتُ: فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسِينَ صَلَاةً، قَالَ لِي مُوسَى: فَرَاجِعْ رَبَّكَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ لَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ، فَقُلْتُ: قَدِ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الصلا ة۱/۳۴۹ وأحادیث الأنبیاء ۵ (۳۳۴۲)، صحیح مسلم/الإیمان ۷۴ (۱۶۳)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۱۹۴ (۱۳۹۹)، (تحفة الأشراف: ۱۵۵۶) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 450 - صحيح
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
Anas bin Malik and Ibn Hazm said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Allah, the Mighty and Sublime, enjoined fifty prayers upon my Ummah, and I came back with that until I passed by Musa, peace be upon him, who said: 'What has your Lord enjoined upon your Ummah?' I said: 'He has enjoined fifty prayers on them.' Musa said to me: 'Go back to your Lord, the Mighty and Sublime, for your Ummah will not be able to do that.' So I went back to my Lord, the Mighty and Sublime, and He reduced a portion of it. Then I came back to Musa and told him, and he said: 'Go back to you Lord, for your Ummah will not be able to do that.' So I went back to my Lord, the Mighty and Sublime, and He said: 'They are five (prayers) but they are fifty (in reward), and the Word that comes from Me cannot be changed.' [1] I came back to Musa and he said: 'Go back to your Lord.' I said: 'I feel too shy before my Lord, the Mighty and Sublime.' [1]See Surah Qaf 50:29.
পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৫০. ’আমর ইবনু হিশাম (রহ.) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার সামনে এমন একটি পশু নিয়ে আসা হলো যা আকারে গাধা হতে বড় এবং খচ্চর হতে ছোট এবং যার কদম রাখার দূরত্ব ছিল দৃষ্টিশক্তির শেষ সীমা পর্যন্ত। আমি তার উপর আরোহণ করলাম। জিবরীল আলায়হিস সালাম আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা সফর করলাম (মদীনাহ্ পর্যন্ত)। জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি নেমে সালাত আদায় করুন। আমি সালাত আদায় করলাম। জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন তা কি জানেন? আপনি মদীনায় সালাত আদায় করেছেন। এ শহরেই আপনি হিজরত করবেন।
আবার জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি নেমে সালাত আদায় করুন। আমি তখন নেমে সালাত আদায় করলাম। জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি কি জানেন কোন্ জায়গায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ’তূরি সায়না’ নামক জায়গায় সালাত আদায় করেছেন। যে পাহাড়ে আল্লাহ তা’আলা মূসা ’আলায়হিস সালাম-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপর আবার এক জায়গায় গিয়ে জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, অবতরণ করে সালাত আদায় করুন। আমি তাই করলাম। জিবরীল আলায়হিস্ বললেন, আপনি কি জানেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ’বায়তি লাহম’ নামক স্থানে সালাত আদায় করেছেন। যেখানে ঈসা আলায়হিস সালাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তারপর আমি “বায়তুল মাক্বদিস”-এ প্রবেশ করলাম এবং সমস্ত নবীকে আমার নিকট একত্রিত করা হলো এবং জিবরীল আলায়হিস সালাম আমাকে সামনে এগিয়ে দিলেন আমি সকলের ইমামিত করলাম। তারপর আমাকে নিয়ে প্রথম আসমানে উঠলেন। সেখানে আদম ’আলায়হিস সালাম-এর সাক্ষাৎ লাভ করলাম। এরপর আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। সেখানে পরপর দুই খালাত ভাই ’ঈসা আলায়হিস সালাম ও ইয়াহইয়া আলায়হিস সালাম-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো। তারপর আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানে উঠলেন, সেখানে ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা হলো। এরপর আমাকে নিয়ে চতুর্থ আসমানে উঠলেন এবং সেখানে হারূন আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা হলো। তারপর আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানে উঠলেন সেখানে ইদ্রীস ’আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা হলো। এরপর আমাকে ষষ্ঠ আকাশে উঠালেন, সেখানে মূসা আলায়হিস সালাম আসমানে সাথে দেখা হলো। তারপর আমাকে সপ্তম আসমানে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে ইবরাহীম ’আলায়হিস সালাম-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো।
এরপর আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানের উপরে উঠলেন। তখন আমরা সিদরাতুল মুনতাহায় পৌছলাম। সেখানে এক খণ্ড মেঘ আমাকে পরিবেষ্টন করে ফেলল- তাই আমি সাজদায় অবনত হলাম। তখন আমাকে বলা হলো- যেদিন আমি এ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি সেদিন আপনার ওপর ও আপনার উম্মতের ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। আপনি এবং আপনার উম্মত এ সালাত কায়িম করুন। তখন আমি ইবরাহীম আলায়হিস সালাম-এর নিকট প্রত্যাবর্তন করলাম। তিনি আমাকে কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। পরে মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আপনার এবং আপনার উম্মতের ওপর আল্লাহ কি ফরয করেছেন? আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তখন মূসা আলায়হিস বললেন, নিশ্চয় আপনি এবং আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত যথাযথ আদায় করতে পারবেন না। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং কমানোর জন্যে নিবেদন করুন। আমি প্রতিপালকের নিকট গেলাম। তিনি সালাত দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর আবার মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম। তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন আমি আবার রবের নিকট ফিরে গেলাম। তখন তিনি আরো দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর মূসা আলায়হিস সালাম এর নিকট ফিরে আসার পর তিনি আমাকে পুনরায় যেতে বললেন, আমি আবার গেলাম। তিনি দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর সর্বশেষ সালাতকে পাঁচ ওয়াক্তে পরিণত করা হলো। মূসা আলায়হিস্ সালাম বললেন, আপনি পুনরায় প্রতিপালকের নিকট যান এবং সালাত আরো কমানোর আবেদন উপস্থাপন করুন। কেননা আল্লাহ বানী ইসরাঈল-এর ওপর শুধু দুই ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছিলেন। তারা এ দুই ওয়াক্তও আদায় করেনি। তখন আমি আবার আল্লাহর নিকট ফিরে গিয়ে সালাত কমিয়ে দেয়ার জন্যে আরয করলাম। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি যেদিন এ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি সেদিন আপনার এবং আপনার উম্মতের ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। আর এ পাঁচ ওয়াক্তই পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান বলে গণ্য হবে। আপনি ও আপনার উম্মত তা আদায় করুন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে অবশ্য পালনীয়। এরপর আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর কাছে ফিরে এলাম। এবারো তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম যে, পাঁচ ওয়াক্ত আল্লাহর পক্ষ হতে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তাই আমি আর আল্লাহর কাছে পুনরায় যাইনি।
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ هِشَامٍ، قال: حَدَّثَنَا مَخْلَدٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قال: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَالِكٍ، قال: حَدَّثَنَاأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أُتِيتُ بِدَابَّةٍ فَوْقَ الْحِمَارِ وَدُونَ الْبَغْلِ خَطْوُهَا عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهَا فَرَكِبْتُ وَمَعِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَام فَسِرْتُ، فَقَالَ: انْزِلْ فَصَلِّ، فَفَعَلْتُ، فَقَالَ: أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ، صَلَّيْتَ بِطَيْبَةَ وَإِلَيْهَا الْمُهَاجَرُ، ثُمَّ قَالَ: انْزِلْ فَصَلِّ فَصَلَّيْتُ، فَقَالَ: أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ، صَلَّيْتَ بِطُورِ سَيْنَاءَ حَيْثُ كَلَّمَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ قَالَ: انْزِلْ فَصَلِّ فَنَزَلْتُ فَصَلَّيْتُ، فَقَالَ: أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ، صَلَّيْتَ بِبَيْتِ لَحْمٍ حَيْثُ وُلِدَ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ دَخَلْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَجُمِعَ لِي الْأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَام، فَقَدَّمَنِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَمَمْتُهُمْ، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَإِذَا فِيهَا آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ فَإِذَا فِيهَا ابْنَا الْخَالَةِ عِيسَى 56، وَيَحْيَى عَلَيْهِمَا السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ فَإِذَا فِيهَا يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ فَإِذَا فِيهَا هَارُونُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الْخَامِسَةِ فَإِذَا فِيهَا إِدْرِيسُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ فَإِذَا فِيهَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ السَّابِعَةِ فَإِذَا فِيهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي فَوْقَ سَبْعِ سَمَوَاتٍ فَأَتَيْنَا سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى فَغَشِيَتْنِي ضَبَابَةٌ فَخَرَرْتُ سَاجِدًا، فَقِيلَ لِي: إِنِّي يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ فَرَضْتُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ خَمْسِينَ صَلَاةً فَقُمْ بِهَا أَنْتَ وَأُمَّتُكَ، فَرَجَعْتُ إِلَى إِبْرَاهِيمَ فَلَمْ يَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ، ثُمَّ أَتَيْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ: كَمْ فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ ؟ قُلْتُ: خَمْسِينَ صَلَاةً، قَالَ: فَإِنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ أَنْ تَقُومَ بِهَا أَنْتَ وَلَا أُمَّتُكَ، فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَخَفَّفَ عَنِّي عَشْرًا، ثُمَّ أَتَيْتُ مُوسَى فَأَمَرَنِي بِالرُّجُوعِ، فَرَجَعْتُ فَخَفَّفَ عَنِّي عَشْرًا، ثُمَّ رُدَّتْ إِلَى خَمْسِ صَلَوَاتٍ، قَالَ: فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ فَإِنَّهُ فَرَضَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ صَلَاتَيْنِ فَمَا قَامُوا بِهِمَا، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَسَأَلْتُهُ التَّخْفِيفَ، فَقَالَ: إِنِّي يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ فَرَضْتُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ خَمْسِينَ صَلَاةً فَخَمْسٌ بِخَمْسِينَ فَقُمْ بِهَا أَنْتَ وَأُمَّتُكَ، فَعَرَفْتُ أَنَّهَا مِنَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى صِرَّى، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: ارْجِعْ، فَعَرَفْتُ أَنَّهَا مِنَ اللَّهِ صِرَّى أَيْ حَتْمٌ فَلَمْ أَرْجِعْ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف ۱۷۰۱) (منکر) (فریضئہ صلاة پانچ وقت ہو جانے کے بعد پھر اللہ سے رجوع، اور اس کے جواب سے متعلق ٹکڑا صحیح نہیں ہے، صحیح یہی ہے کہ پانچ ہو جانے کے بعد آپ نے شرم سے رجوع ہی نہیں کیا)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 451 - منكر
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
Anas bin Malik narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: I was brought an animal that was larger than a donkey and smaller than a mule, whose stride could reach as far as it could see. I mounted it, and Jibril was with me, and I set off. Then he said: 'Dismount and pray,' so I did that. He said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Taibah, which will be the place of the emigration.' Then he said: 'Dismount and pray,' so I prayed. He said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Mount Sinai, where Allah, the Mighty and Sublime, spoke to Musa, peace be upon him.' So I dismounted and prayed, and he said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Bethlehem, where 'Eisa, peace be upon him, was born.' Then I entered Bait Al-Maqdis (Jerusalem) where the Prophets, peace be upon them, were assembled for me, and Jibril brought me forward to lead them in prayer. Then I was taken up to the first heaven, where I saw Adam, peace be upon him. Then I was taken up to the second heaven where I saw the maternal cousins 'Eisa and Yahya, peace be upon them. Then I was taken up to the third heaven where I saw Yusuf, peace be upon him. Then I was taken up to the fourth heaven where I saw Harun, peace be upon him. Then I was taken up to the fifth heaven where I saw Idris, peace be upon him. Then I was taken up to the sixth heaven where I saw Musa, peace be upon him. Then I was taken up to the seventh heaven where I saw Ibrahim, peace be upon him. Then I was taken up above seven heavens and we came to Sidrah Al-Muntaha and I was covered with fog. I fell down prostrate and it was said to me: '(Indeed) The day I created the heavens and the Earth, I enjoined upon you and your Ummah fifty prayers, so establish them, you and your Ummah.' I came back to Ibrahim and he did not ask me about anything, then I came to Musa and he said: 'How much did your Lord enjoin upon you and your Ummah?' I said: 'Fifty prayers.' He said: 'You will not be able to establish them, neither you nor your Ummah. Go back to your Lord and ask Him to reduce it.' So I went back to my Lord and He reduced it by ten. Then I came to Musa and he told me to go back, so I went back and He reduced it by ten. Then I came to Musa and he told me to go back, so I went back and He reduced it by ten. Then it was reduced it by ten. Then it was reduced to five prayers. He (Musa) said: 'Go back to you Lord and ask Him to reduce it, for two prayers were enjoined upon the Children of Israel but they did not establish them.' So I went back to my Lord and asked Him to reduce it, but He said: 'The day I created the heavens and the Earth, I enjoined fifty prayers upon you and your Ummah. Five is for fifty, so establish them, you and your Ummah.' I knew that this was what Allah, the Mighty and Sublime, had determined so I went back to Musa, peace be upon him, and he said: 'Go back.' But I knew that it was what Allah had determined, so I did not go back.
পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৫১. আহমাদ ইবনু সুলায়মান (রহ.) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে যখন মিরাজের রাতে ভ্রমণ করানো হয়েছিল তখন তাঁকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিদরাতুল মুনতাহা ষষ্ঠ আকাশে অবস্থিত। তার নীচ হতে যেসব জিনিস (নেক ’আমল, আত্মা ইত্যাদি) উর্ধে উঠানো হয় এবং তার ওপর হতে আল্লাহর যে সব নির্দেশাবলী নাযিল হয় সব কিছুই এখানে পৌছে থেমে যায়। তারপর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) এগুলো নির্দেশ অনুযায়ী যথাস্থানে নিয়ে যান। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’উদ এ আয়াতটি পাঠ করেন, “যখন বৃক্ষটি, যার দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার তার দ্বারা আচ্ছাদিত।” (সূরা আন নাজম ৫৩: ১৬)।
’আবদুল্লাহ বলেন, আচ্ছাদিত’ এর অর্থ হলো স্বর্ণের পঙ্গপাল দ্বারা আচ্ছাদিত। মিরাজের রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে তিনটি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। (১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, (২) সূরা বাক্বারার শেষ কয়েকটি আয়াত এবং (৩) তার উম্মতের যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকে অংশী না করে মৃত্যুবরণ করবে তার। গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।”
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قال: حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قال: لَمَّا أُسْرِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتُهِيَ بِهِ إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَهِيَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا عُرِجَ بِهِ مِنْ تَحْتِهَا وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا أُهْبِطَ بِهِ مِنْ فَوْقِهَا حَتَّى يُقْبَضَ مِنْهَا، قَالَ: إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى سورة النجم آية 16، قَالَ: فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ، فَأُعْطِيَ ثَلَاثًا: الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَخَوَاتِيمُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَيُغْفَرُ لِمَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِهِ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا الْمُقْحِمَاتُ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/الإیمان ۷۶ (۱۷۳)، سنن الترمذی/تفسیر سورة النجم (۳۲۷۶)، (تحفة الأشراف ۹۵۴۸)، مسند احمد ۱/۳۸۷، ۴۲۲) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 452 - صحيح
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
It was narrated that 'Abdullah said: When the Messenger of Allah (ﷺ) was taken on the Night Journey, he came to Sidrah Al-Muntaha, which is in the sixth heaven. That is where everything that comes up from below ends, and where everything that comes down from above, until it is taken from it. Allah says: When what covered the lote-tree did cover it! [1] He said: It was moths of gold. And I was given three things: The five daily prayers, the last verses of Surah Al-Baqarah, and whoever of my Ummah dies without associating anything with Allah will be forgiven for Al-Muqhimat. [2]
[1] An-Najm 53:16.
[2] The sins of the worst magnitude that drag one into the Fire. (An-Nihayah)