পরিচ্ছেদঃ ২৪. ইয়াহূদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯০. আবদুল্লাহ ইবন মাসলামা (রহঃ) .... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলেঃ তাদের মধ্যেকার একজন পুরুষ ও একজন নারী যিনা করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা যিনা সম্পর্কে তাওরাতে কি নির্দেশ পাও? তারা বলেঃ আমরা তো ব্যভিচারীদের অসম্মানিত করি এবং বেত্রাদণ্ড দেই। তখন আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) বলেনঃ তোমরা মিথ্যা বলছো। তাওরাতে রজমের হুকুম আছে। তখন তারা তাওরাত এনে, তা পড়তে শুরু করলে, এক ব্যক্তি রজমের আয়াতের উপর তার হাত রাখে এবং এর সামনের ও পেছনের আয়াত পড়তে থাকে।
তখন আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) তাকে বলেনঃ তুমি তোমার হতে উঠাও। সে তার হাত উঠালে, সেখানে রজমের আয়াত দেখা যায়। তখন তারা বলেঃ হে মুহাম্মদ! আপনি সত্য বলেছেন। এতে রজমের আয়াত আছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ইয়াহূদী নর-নারীকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিলে, তা কার্যকর করা হয়। রাবী আবদুল্লাহ ইবন উমার (রাঃ) বলেনঃ সে সময় আমি দেখেছি, পুরুষ লোকটি মহিলাকে পাথরের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে আড়াল করে দাঁড়াচ্ছিল।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ الْيَهُودَ جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا لَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنْهُمْ وَامْرَأَةً زَنَيَا فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ فِي شَأْنِ الزِّنَا " . فَقَالُوا نَفْضَحُهُمْ وَيُجْلَدُونَ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ كَذَبْتُمْ إِنَّ فِيهَا الرَّجْمَ . فَأَتَوْا بِالتَّوْرَاةِ فَنَشَرُوهَا فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ مَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ارْفَعْ يَدَكَ . فَرَفَعَهَا فَإِذَا فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ فَقَالُوا صَدَقَ يَا مُحَمَّدُ فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ . فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَا . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَحْنِي عَلَى الْمَرْأَةِ يَقِيهَا الْحِجَارَةَ .
Ibn ‘Umar said:
some jews came to the Messenger of Allah (ﷺ) and mentioned to him that a man and a women of their number had committed fornication. The Messenger of Allah (ﷺ) asked them: What do you find in the Torah about stoning? They replied: We disgrace them and they should be flogged. ‘Abd Allah b. Salam said: You lie; it contains (instruction for) stoning. So they brought the Torah and spread it out, and one of them put his hand over the verse of stoning and read what preceded it and what followed it. ‘Abd Allah b. Salam said to him: Lift your hand. When he did so, the verse of stoning was seen to be in it. They then said: He has spoken the truth, Muhammad, the verse of stoning is in it. The Messenger of Allah (ﷺ) then gave command regarding them, and they were stoned to death. ‘Abd Allah b. ‘Umar said: I saw the man leaning on the woman protecting her from the stones.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ইয়াহূদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯১. মুহাম্মদ ইবন আলা (রহঃ) ..... বারা ইবন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে দিয়ে একজন ইয়াহূদী যাচ্ছিল, যার মুখে কাল দাগ দেয়া হয়েছিল। তখন তিনি তাদের ডেকে বলেনঃ তোমরা কি যিনাকারীর শাস্তি তাওরাত এরূপ পেয়েছ? তারা বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের একজন আলিমকে ডাকেন এবং বলেনঃ আমি তোমাকে আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি মূসার উপর তাওরাত নাযিল করেন। তোমরা কি তোমাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে যিনার শাস্তি এরূপ পেয়েছ? তখন সে ব্যক্তি বলেঃ না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনি আমাকে এরূপ কঠিন শপথ প্রদান না করতেন, তবে তা আমি আপনার কাছে প্রকাশ করতাম না।
আমরা আমাদের ধর্মগ্রন্থে যিনার শাস্তি রজম পাই। কিন্তু যখন আমাদের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যিনার প্রচলন অধিক হয়ে যায়, তখন কোন শরীফ লোক এজন্য দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে ছেড়ে দেই এবং কোন দুর্বল লোক যিনা করলে তার উপর শরীআতের নির্দেশিত শাস্তি প্রদান করি। আমরা সর্ব সম্মতভাবে এরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে, আমরা নিজেরাই এমন একটি হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে নেই, যা শরীফ ও দুর্বল ব্যক্তিদের উপর একইভাবে প্রয়োগ করা যায়। তখন আমরা মুখে কাল দাগ ও বেত্রাদণ্ডের ব্যবস্থা নির্ধারণ করি এবং রজমের ব্যবস্থা পরিহার করি।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! তারা যখন তোমার নির্দেশ পরিত্যাগ করেছে, তখন সর্ব প্রথম আমিই তা জারী করব। তিনি তখন সে ব্যক্তির উপর রজমের হুকুম জারী করলে তা কার্যকরী করা হয়। তখন আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ হে রাসূল! তারা যেন আপনাকে কষ্ট না দেয়, যারা কাফির হওয়ার কারণে জলদি করে .... যারা আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে না, তারা কাফির। এ নির্দেশ ইয়াহূদীদের সম্পর্কে। এরপর আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহ্র কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারা জালিম। এ আয়াতও ইয়াহূদীদের সম্পর্কে নাযিল হয়। তারপর আল্লাহ্র এ বাণীঃ যারা আল্লাহ্র কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারা ফাসিক। এ আয়াত সব ধরনের কাফিরদের সম্পর্কে নাযিল হয়।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ مُرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَهُودِيٍّ مُحَمَّمٍ مَجْلُودٍ فَدَعَاهُمْ فَقَالَ " هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي " . فَقَالُوا نَعَمْ . فَدَعَا رَجُلاً مِنْ عُلَمَائِهِمْ قَالَ لَهُ " نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ " . فَقَالَ اللَّهُمَّ لاَ وَلَوْلاَ أَنَّكَ نَشَدْتَنِي بِهَذَا لَمْ أُخْبِرْكَ نَجِدُ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِنَا الرَّجْمَ وَلَكِنَّهُ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا فَكُنَّا إِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الشَّرِيفَ تَرَكْنَاهُ وَإِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الضَّعِيفَ أَقَمْنَا عَلَيْهِ الْحَدَّ فَقُلْنَا تَعَالَوْا فَنَجْتَمِعَ عَلَى شَىْءٍ نُقِيمُهُ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ فَاجْتَمَعْنَا عَلَى التَّحْمِيمِ وَالْجَلْدِ وَتَرَكْنَا الرَّجْمَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ " . فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لاَ يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ ) إِلَى قَوْلِهِ ( يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ وَإِنْ لَمْ تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوا ) إِلَى قَوْلِهِ ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ ) فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ ) فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ ) قَالَ هِيَ فِي الْكُفَّارِ كُلُّهَا يَعْنِي هَذِهِ الآيَةَ .
Narrated Al-Bara' ibn Azib:
The people passed by the Messenger of Allah (ﷺ) with a Jew who was blackened with charcoal and who was being flogged.
He called them and said: Is this the prescribed punishment for a fornicator?
They said: Yes. He then called on a learned man among them and asked him: I adjure you by Allah Who revealed the Torah to Moses, do you find this prescribed punishment for a fornicator in your divine Book?
He said: By Allah, no. If you had not adjured me about this, I should not have informed you. We find stoning to be prescribed punishment for a fornicator in our Divine Book. But it (fornication) became frequent in our people of rank; so when we seized a person of rank, we left him alone, and when we seized a weak person, we inflicted the prescribed punishment on him. So we said: Come, let us agree on something which may be enforced equally on people of higher and lower rank. So we agreed to blacken the face of a criminal with charcoal, and flog him, and we abandoned stoning.
The Messenger of Allah (ﷺ) then said: O Allah, I am the first to give life to Thy command which they have killed. So he commanded regarding him (the Jew) and he was stoned to death.
Allah Most High then sent down: "O Apostle, let not those who race one another into unbelief, make thee grieve..." up to "They say: If you are given this, take it, but if not, beware!...." up to "And if any do fail to judge by (the light of) what Allah hath revealed, they are (no better than) unbelievers," about Jews, up to "And if any do fail to judge by (the right of) what Allah hath revealed, they are no better than) wrong-doers" about Jews: and revealed the verses up to "And if any do fail to judge by (the light of) what Allah hath revealed, they are (no better than) those who rebel." About this he said: This whole verse was revealed about the infidels.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ইয়াহূদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯২. আহমদ ইবন সাঈদ (রহঃ) .... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইয়াহূদীদের একটি দল এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’কুফ’ নামক স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি তাদের সাথে সেখানকার এক মাদ্রাসায় গেলে তারা বলেঃ হে আবুল কাসিম! আমাদের এক ব্যক্তি একজন মহিলার সাথে যিনা করেছে, আপনি সে সম্পর্কে তাদের মাঝে ফায়সাল দেন। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য একটি বালিশ রেখে দেয়, তিনি তাঁর উপর বসে বলেনঃ তোমরা আমার কাছে তাওরাত নিয়ে এসো। তাঁর কাছে তাওরাত আনা হলে, তিনি বালিশ নিয়ে তার উপর তাওরাত রাখেন। এরপর তিনি বলেনঃ আমি তোমার উপর এবং তোমার নাযিলকারীর উপর ঈমান রাখি। তারপর তিনি বলেনঃ তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি সব চাইতে জ্ঞানী, তাকে ডাক। তখন একজন যুবক আলিম (আবদুল্লাহ ইবন সুরিয়া) কে ডাকা হয়। পরে রজম সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে; যেরূপ রাবী মলিক-নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَتَى نَفَرٌ مِنْ يَهُودَ فَدَعَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْقُفِّ فَأَتَاهُمْ فِي بَيْتِ الْمِدْرَاسِ فَقَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ رَجُلاً مِنَّا زَنَى بِامْرَأَةٍ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ فَوَضَعُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وِسَادَةً فَجَلَسَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ " ائْتُونِي بِالتَّوْرَاةِ " . فَأُتِيَ بِهَا فَنَزَعَ الْوِسَادَةَ مِنْ تَحْتِهِ فَوَضَعَ التَّوْرَاةَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ " آمَنْتُ بِكِ وَبِمَنْ أَنْزَلَكِ " . ثُمَّ قَالَ " ائْتُونِي بِأَعْلَمِكُمْ " . فَأُتِيَ بِفَتًى شَابٍّ ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الرَّجْمِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ .
Narrated Abdullah Ibn Umar:
A group of Jews came and invited the Messenger of Allah (ﷺ) to Quff. So he visited them in their school.
They said: AbulQasim, one of our men has committed fornication with a woman; so pronounce judgment upon them. They placed a cushion for the Messenger of Allah (ﷺ) who sat on it and said: Bring the Torah. It was then brought. He then withdrew the cushion from beneath him and placed the Torah on it saying: I believed in thee and in Him Who revealed thee.
He then said: Bring me one who is learned among you. Then a young man was brought. The transmitter then mentioned the rest of the tradition of stoning similar to the one transmitted by Malik from Nafi
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ইয়াহূদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৩. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়াহূদীদের থেকে একজন পুরুষ ও একজন নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। তখন তারা একজন অপর জনকে বলেঃ চল আমরা এদের নিয়ে এই নবীর কাছে যাই; কেননা, তাকে শরীআতের হালকা নির্দেশসহ পাঠানো হয়েছে। কাজেই, তিনি যদি আমাদের ব্যাপারে রজমের চাইতে নীচু পর্যায়ের কোন নির্দেশ দেন, তবে আমরা তা মেনে নেব। আর এটি আমাদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নিকট একটি উজ্জ্বল নিদর্শনস্বরূপ হবে যে, আমরা তাক (আল্লাহ্কে) বলবোঃ এতো তোমার নবীদের মধ্য হতে এক নবীর নির্দেশ।
রাবী বলেনঃ তখন তারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসে এবং তিনি তাঁর সাহাবীদের সাথে তখন মসজিদে বসেছিলেন। তারা বলেঃ হে আবুল কাসিম! যে সমস্ত নারী-পুরুষ যিনা করে এদের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? তিনি তাদের সাথে কোন কথা না বলে, তাদের এক মাদ্রাসায় গমন করেন এবং এর দরজায় দাঁড়িয়ে বলেনঃ আমি তোমাদের আল্লাহ্র নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি মূসার উপর তাওরাত নাযিল করেছেন; তোমরা যিনা সম্পর্কে তাকে কিরূপ নির্দেশ দেখতে পাও, যদি সে ব্যক্তি বিবাহিত হয়? তখন তারা বলেঃ আমাদের নিকট তার শাস্তি হলোঃ তার মুখে কাল দাগ দেওয়া, অসম্মানিত করা এবং বেত্রাঘাত করা। আর এভাবে অপমান করা যে, যিনাকারীদের গাধার পিঠে, তার পিছনের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসিয়ে দিয়ে, লোকদের মাঝে ঘুরানো।
রাবী বলেনঃ এ সময় ইয়াহূদীদের এক যুবক চুপ করে বসে থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চুপ থাকতে দেখে, তাকে আল্লাহর নামের শপথ দিতে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তখন সে যুবক বলেঃ ইয়া আল্লাহ্! আপনি যখন আমাকে আল্লাহ্র নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন, তখন আমি বলতে বাধ্য যে, তাওরাতের মধ্যে যিনার শাস্তি হলো রজম। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করে, কিরূপে তা পরিবর্তন করলে? তখন সে বলেঃ আমাদের জনৈক বাদশাহ তার একজন নিকটাত্মীয় যিনা করায়, তিনি তাকে রজম করেন নি।
এরপর একজন সাধারণ লোক যিনা করলে, বাদশাহ তাকে রজম করার ইচ্ছা করেন। তখন সে লোকের সম্প্রদায়ের লোকেরা উপস্থিত হয়ে এরূপ দাবী করে যে, যতক্ষণ না বাদশাহ তার নিকটাত্মীয়কে এনে আমাদের সামনে পাথর মেরে হত্যা করবে; ততক্ষণ আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের লোককে রজম করতে দেব না। যখন তারা এরূপ শাস্তিদানে (মুখে কাল দাগ ইত্যাদি) একমত হয়ে সমস্যার সমাধান করে। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি তোমাদের ব্যাপারে তাওরাতের হুকুম অনুযায়ী ফায়সালা দিচ্ছি। তিনি সে দু’জনের ব্যাপারে রজমের হুকুম দিলে, তা কার্যকর করা হয়।
রাবী যুহরী (রহঃ) বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, এ আয়াত তাদের সম্পর্কে নাযিল হয়ঃ আমি তাওরাত নাযিল করেছি, যাতে হিদায়াত ও নূর আছে। আর ঐ সব নবীরা তাওরাতের নির্দেশ মত ফায়সালা করে থাকে, যারা আল্লাহ্র অনুগত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ঐ সমস্ত নবীদের অন্যতম ছিলেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا رَجُلٌ، مِنْ مُزَيْنَةَ ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ سَمِعْتُ رَجُلاً، مِنْ مُزَيْنَةَ مِمَّنْ يَتَّبِعُ الْعِلْمَ وَيَعِيهِ - ثُمَّ اتَّفَقَا - وَنَحْنُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَحَدَّثَنَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - وَهَذَا حَدِيثُ مَعْمَرٍ وَهُوَ أَتَمُّ - قَالَ زَنَى رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ وَامْرَأَةٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ اذْهَبُوا بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ فَإِنَّهُ نَبِيٌّ بُعِثَ بِالتَّخْفِيفِ فَإِنْ أَفْتَانَا بِفُتْيَا دُونَ الرَّجْمِ قَبِلْنَاهَا وَاحْتَجَجْنَا بِهَا عِنْدَ اللَّهِ قُلْنَا فُتْيَا نَبِيٍّ مِنْ أَنْبِيَائِكَ - قَالَ - فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي أَصْحَابِهِ فَقَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ مَا تَرَى فِي رَجُلٍ وَامْرَأَةٍ زَنَيَا فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى أَتَى بَيْتَ مِدْرَاسِهِمْ فَقَامَ عَلَى الْبَابِ فَقَالَ " أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصِنَ " . قَالُوا يُحَمَّمُ وَيُجَبَّهُ وَيُجْلَدُ - وَالتَّجْبِيَةُ أَنْ يُحْمَلَ الزَّانِيَانِ عَلَى حِمَارٍ وَتُقَابَلَ أَقْفِيَتُهُمَا وَيُطَافَ بِهِمَا - قَالَ وَسَكَتَ شَابٌّ مِنْهُمْ فَلَمَّا رَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَكَتَ أَلَظَّ بِهِ النِّشْدَةَ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّا نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " فَمَا أَوَّلُ مَا ارْتَخَصْتُمْ أَمْرَ اللَّهِ " . قَالَ زَنَى ذُو قَرَابَةٍ مَعَ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِنَا فَأَخَّرَ عَنْهُ الرَّجْمَ ثُمَّ زَنَى رَجُلٌ فِي أُسْرَةٍ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ رَجْمَهُ فَحَالَ قَوْمُهُ دُونَهُ وَقَالُوا لاَ يُرْجَمُ صَاحِبُنَا حَتَّى تَجِيءَ بِصَاحِبِكَ فَتَرْجُمَهُ فَاصْطَلَحُوا عَلَى هَذِهِ الْعُقُوبَةِ بَيْنَهُمْ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " فَإِنِّي أَحْكُمُ بِمَا فِي التَّوْرَاةِ " . فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَبَلَغَنَا أَنَّ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِيهِمْ ( إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا ) كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ .
Narrated AbuHurayrah:
(This is Ma'mar's version which is more accurate.) A man and a woman of the Jews committed fornication.
Some of them said to the others: Let us go to this Prophet, for he has been sent with an easy law. If he gives a judgment lighter than stoning, we shall accept it, and argue about it with Allah, saying: It is a judgment of one of your prophets. So they came to the Prophet (ﷺ) who was sitting in the mosque among his companions.
They said: AbulQasim, what do you think about a man and a woman who committed fornication? He did not speak to them a word till he went to their school.
He stood at the gate and said: I adjure you by Allah Who revealed the Torah to Moses, what (punishment) do you find in the Torah for a person who commits fornication, if he is married?
They said: He shall be blackened with charcoal, taken round a donkey among the people, and flogged. A young man among them kept silent.
When the Prophet (ﷺ) emphatically adjured him, he said: By Allah, since you have adjured us (we inform you that) we find stoning in the Torah (is the punishment for fornication).
The Prophet (ﷺ) said: So when did you lessen the severity of Allah's command? He said:
A relative of one of our kings had committed fornication, but his stoning was suspended. Then a man of a family of common people committed fornication. He was to have been stoned, but his people intervened and said: Our man shall not be stoned until you bring your man and stone him. So they made a compromise on this punishment between them.
The Prophet (ﷺ) said: So I decide in accordance with what the Torah says. He then commanded regarding them and they were stoned to death.
Az-Zuhri said: We have been informed that this verse was revealed about them: "It was We Who revealed the Law (to Moses): therein was guidance and light. By its standard have been judged the Jews, by the Prophet who bowed (as in Islam) to Allah's will.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ইয়াহূদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৪. আবদুল আযীয ইবন ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়াহূদীদের একজন নারী ও একজন পুরুষ যিনা করে, আর তারা ছিল বিবাহিত। এর ঘটনা তখনকার, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবেমাত্র হিজরত করে মদীনায় আসেন এবং তাওরাতের ও ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের শাস্তির বিধান ছিল পাথর মেরে হত্যা করা। কিন্তু তারা এ নির্দেশ অমান্য করে, যিনাকারীদের জন্য শাস্তি স্বরূপ একশত বেত্রাঘাত এবং গাধার পিঠে উল্টোমুখী বসিয়ে নগর পরিক্রমার মাধ্যমে অপমান করাকে নির্দিষ্ট করে নেয়।
ইয়াহূদীদের কিছু সংখ্যক আলিম একত্র হয়ে, একদল লোককে এ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পাঠায়। এরপর পূর্ববর্তী হাদীছ অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে রাবী বলেনঃ যেহেতু ইয়াহূদীরা তাঁর অনুসারী ছিল না, এ জন্য আল্লাহ্ তাঁকে এমন ইখতিয়ার দেন যে, যদি তারা আপনার কাছে কোন ব্যাপারে ফায়সালার জন্য আসে, তবে আপনি সে ব্যাপারে ফায়সালা দিতে পারেন এবং না-ও দিতে পারেন। যদি আপনি তাদের ব্যাপারে কোন ফায়সালা দেন, তবে তা যেন ইনসাফ-ভিওিক হয়। কেননা, আল্লাহ্ ইনসাফকারীদের ভালবাসেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، مِنْ مُزَيْنَةَ يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ زَنَى رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ مِنَ الْيَهُودِ وَقَدْ أُحْصِنَا حِينَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَقَدْ كَانَ الرَّجْمُ مَكْتُوبًا عَلَيْهِمْ فِي التَّوْرَاةِ فَتَرَكُوهُ وَأَخَذُوا بِالتَّجْبِيَةِ يُضْرَبُ مِائَةً بِحَبْلٍ مَطْلِيٍّ بِقَارٍ وَيُحْمَلُ عَلَى حِمَارٍ وَجْهُهُ مِمَّا يَلِي دُبُرَ الْحِمَارِ فَاجْتَمَعَ أَحْبَارٌ مِنْ أَحْبَارِهِمْ فَبَعَثُوا قَوْمًا آخَرِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا سَلُوهُ عَنْ حَدِّ الزَّانِي . وَسَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ فِيهِ قَالَ وَلَمْ يَكُونُوا مِنْ أَهْلِ دِينِهِ فَيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ فَخُيِّرَ فِي ذَلِكَ قَالَ ( فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ ) .
Abu Hurairah said:
A man and a woman of the Jews who were married committed fornication at the time when the Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina. Stoning was a prescribed punishment for them in accordance with the Torah, but they abandoned it and followed tajbiyyah, meaning, the man was beaten a hundred times with a rope painted with tar and was seated on a donkey with his face towards the tail of the donkey. Their rabbis then assembled and sent some people to the Messenger of Allah (ﷺ). They said to them: Ask him about the prescribed punishment for fornication. The transmitter then mentioned the rest of the tradition. They version adds: They were not the followers of his religion, and he (the prophet) was to pronounce judgment between them. So he was given a choice in this verse:”If they do come to thee, either judge between them, or decline to interfere.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ইয়াহূদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৫. ইয়াহ্ইয়া ইবন মূসা (রহঃ) .... জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইয়াহূদীরা দু’জন যিনাকার নারী-পুরষকে (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট) নিয়ে আসে। তখন তিনি তাদের বলেনঃ তোমরা তোমাদের দু’জন আলিমকে আনো। তখন তারা বিখ্যাত ইয়াহূদী আলিম সুরিয়ার দু’পুত্রকে নিয়ে আসে। তখন তিনি তাদেরকে আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা দু’জন এ দুই ব্যক্তি সম্পর্কে তাওরাতে কিরূপ নির্দেশ পেয়েছে? তারা বলেঃ আমরা তাওরাতে এরূপ নির্দেশ পেয়েছি যে, যখন চার ব্যক্তি এরূপ সাক্ষ্য দিবে আমরা পুরুষের পুরুষাংগটি স্ত্রীলোকের যোনীতে এরূপ প্রবেশ করতে দেখেছি, যেরূপ যেরূপ সুরমাদানীর মধ্যে এর শলাকা প্রবেশ করে। এরূপ সাক্ষ্য পাওয়ার পর তাদের রজম করা হয়।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এমতাবস্থায় কিসে তোমাদের এ দু’ব্যক্তিকে পাথর মেরে হত্যা করতে বাঁধা দিচ্ছে? তারা দু’জন বলেঃ আমাদের বাদশাহী চলে গেছে, কাজেই আমরা এরূপ নির্দেশ পালন করতে পসন্দ করি না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাক্ষী আনার জন্য নির্দেশ দিলে, তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে আসে। আর তারা এরূপ সাক্ষ্য দেয় যে, তারা পুরুষ লোকটির লিঙ্গ স্ত্রীলোকটির যোনীতে এভাবে প্রবেশ করতে দেখেছে, যেভাবে সুরমাদানীর মধ্যে এর শলাকা প্রবেশ করে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ প্রদান করেন।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ مُجَالِدٌ أَخْبَرَنَا عَنْ عَامِرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَتِ الْيَهُودُ بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ مِنْهُمْ زَنَيَا فَقَالَ ائْتُونِي بِأَعْلَمِ رَجُلَيْنِ مِنْكُمْ فَأَتَوْهُ بِابْنَىْ صُورِيَا فَنَشَدَهُمَا " كَيْفَ تَجِدَانِ أَمْرَ هَذَيْنِ فِي التَّوْرَاةِ " . قَالاَ نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ إِذَا شَهِدَ أَرْبَعَةٌ أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ رُجِمَا . قَالَ " فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تَرْجُمُوهُمَا " . قَالاَ ذَهَبَ سُلْطَانُنَا فَكَرِهْنَا الْقَتْلَ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالشُّهُودِ فَجَاءُوا بِأَرْبَعَةٍ فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرَجْمِهِمَا .
Jabir b. ‘Abd Allah said:
The Jews brought a man and a woman of them who had committed fornication. He said: Bring me two learned men or yours. So they brought the two sons of Suriya. He adjured them and said: How do you think about the matter if these two persons bear witness to the effect that they have seen his sexual organ in her female organ (penetrated) like a collyrium stick when enclosed in its case, they will be stoned to death. He asked: What is there which prevents you from stoning them: They replied : Our rule has gone, so we disapproved of killing. The Messenger of Allah (ﷺ) then called four witnesses. They brought four witnesses. Who testified that they had seen his sexual organ (penetrated) in her female organ like a collyrium stick when enclosed in its case. The Prophet (ﷺ) then gave orders for stoning them.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ইয়াহূদী নারী-পুরুষের রজম সম্পর্কে।
৪৩৯৬. ওয়াহাব ইবন বাকীয়া (রহঃ) .... ইবরাহীম ও শা’বী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তবে সেখানে এর উল্লেখ নেই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ডাকলে- তারা সাক্ষ্য প্রদান করে।
باب فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، وَالشَّعْبِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرْ فَدَعَا بِالشُّهُودِ فَشَهِدُوا .
A similar tradition has also been transmitted by Ibrahim and al-Sha’bi from the Prophet (ﷺ) through a different chain of narrators. But this version does not mention the words:
He called the witnesses who testified.