পরিচ্ছেদঃ ৫০৬. যে সব জন্তু হারাম হওয়ার কথা কুরআন--হাদীছে নেই।
৩৮১২. মুহাম্মদ ইবন দাঊদ (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জাহিলী যুগের লোকেরা কোন কোন বস্তু খেত এবং কোন কোন বস্তুকে খারাপ মনে করে পরিহার করতো। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবীকে প্রেরণ করেন এবং তাঁর কিতাব নাযিল করেন, আর তাঁর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম নির্ধারণ করে দেন। ফলে তিনি যা হালাল করেন তা হালাল এবং যা হারাম করেন তা হারাম। আর তিনি যে সম্পর্কে চুপ থাকেন, তা ক্ষমার যোগ্য। এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ (অর্থ) আপনি বলুন! আমার প্রতি যে প্রত্যাদেশ হয়েছে তাতে, লোকে যা আহার করে, তার মধ্যে আমি কিছুই নিষিদ্ধ পাই না। মরা, বহমান রক্ত ও শূকরের মাংস ব্যতীত। কেননা, এ অবশ্যই অপবিত্র অথবা যা অবৈধ, আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গের কারণে; তবে কেউ অবাধ্য না হয়ে এবং সীমালংঘন না করে তা গ্রহণে নিরুপায় হলে, (সে আলাদা ব্যাপার)। নিশ্চয় তোমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ صُبَيْحٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ شَرِيكٍ الْمَكِّيَّ - عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَأْكُلُونَ أَشْيَاءَ وَيَتْرُكُونَ أَشْيَاءَ تَقَذُّرًا فَبَعَثَ اللَّهُ تَعَالَى نَبِيَّهُ وَأَنْزَلَ كِتَابَهُ وَأَحَلَّ حَلاَلَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ فَمَا أَحَلَّ فَهُوَ حَلاَلٌ وَمَا حَرَّمَ فَهُوَ حَرَامٌ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ عَفْوٌ وَتَلاَ ( قُلْ لاَ أَجِدُ فِيمَا أُوحِيَ إِلَىَّ مُحَرَّمًا ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The people of pre-Islamic times used to eat some things and leave others alone, considering them unclean. Then Allah sent His Prophet (ﷺ) and sent down His Book, marking some things lawful and others unlawful; so what He made lawful is lawful, what he made unlawful is unlawful, and what he said nothing about is allowable. And he recited: "Say: I find not in the message received by me by inspiration any (meat) forbidden to be eaten by one who wishes to eat it...." up to the end of the verse.
পরিচ্ছেদঃ ৫০৬. যে সব জন্তু হারাম হওয়ার কথা কুরআন--হাদীছে নেই।
৩৮১৩. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ....... খারিজা ইবন সালত তামীমী (রহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর নিকট হতে ফেরার সময় পথিমধ্যে এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট যান, যাদের মধ্যে শিকল পরা একজন পাগল লোক ছিল। তখন পাগলের অভিভাবকরা বলেঃ আমরা শুনেছি, তোমাদের সাথী (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তম ও কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। তোমার কাছে এমন কোন জিনিস আছে কি, যা দিয়ে তুমি এ পাগলের চিকিৎসা করতে পার?
(রাবী বলেনঃ) তখন আমি সূরা ফাতিহা পড়ে ফুঁক দেই, যার ফলে সে ভাল হয়ে যায়। তখন তারা আমাকে একশত বকরী প্রদান করে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ফিরে এসে তাঁকে সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করি। তিনি বলেনঃ তুমি সূরা ফাতিহা ছাড়া আর কিছু পাঠ করনি তো?
রাবী মুসাদ্দাদ (রহঃ) অন্য বর্ণনায় বলেছেনঃ তুমি এছাড়া আর কিছু পড়েছিলে নাকি? আমি বলিঃ না। তখন তিনি বলেনঃ তুমি এগুলো নিয়ে নাও। আমার জীবনের শপথ! লোকেরা তো জাদু-টোনা করে খায়, যা বাতিল। তুমি তো একটি হক এবং সত্য জিনিস পড়ে ফুঁক দিয়েছ।
-
পরিচ্ছেদঃ ৫০৬. যে সব জন্তু হারাম হওয়ার কথা কুরআন--হাদীছে নেই।
৩৮১৪. উবায়দুল্লাহ (রহঃ) ..... খারিজা ইবন সালত (রহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তিনি তাকে তিন দিন পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যা সূরা ফাতিহা পড়ে ফুঁক দেন। পড়া শেষে মুখে থুথু জমা করে থুক দিতেন। ফলে সে এমন রোগমুক্ত হয়ে যায় যেন সে রশির বন্ধন থেকে মুক্ত হয়। তখন তারা তাকে বকরী প্রদান করে। এরপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসেন। পরে তিনি মুসাদ্দাদ (রহঃ)-এর হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
-