পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৩. হাসান ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন ফারিয মা’না (রহঃ) .... মালিক ইবন হাদাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার (রাঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও।
আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবন আফফান (রাঃ), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ), যুবায়র ইবন আওয়াম (রাঃ) এবং সা’দ ইবন আবী ওয়াককাস (রাঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।
তখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করে। পরে ইয়ারফা উপস্থিত হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। তখন তিনি [উমার (রাঃ)] বললেনঃ তাদের আসতে দাও। পরে এ দু’জনও তাঁর নিকট হাযির হন। আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি আমার ও এর মধ্যকার ব্যাপারটি ফয়সালা করে দিন। তখন উপস্থিত লোকদের থেকে জনৈক ব্যক্তি বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! এদের ব্যাপারটি মীমাংসা করে দিন এবং এদের উপর রহম করুন।(১)
মালিক ইবন আওস (রাঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি উছমান (রাঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।
অতঃপর আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ)-কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সে আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞানা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ বলেছেনঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তারা উভয়ে বলেনঃ হ্যাঁ। তিনি [উমার (রাঃ)] বলেনঃ আল্লাহ তা’আল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন কিছু খাস বৈশিষ্ট প্রদান করেন, যা অন্য আর কাউকে দেননি। যেমন, আল্লাহ বলেছেনঃ
وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
অর্থাৎ আর যা কিছু আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দিয়েছেন, তাদের নিকট হতে, তা লাভের জন্য তোমরা ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; বরং আল্লাহ্ তাঁর রাসূলদের বিজয়ী করেন যার উপর তিনি ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ্ হলেন সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
বস্তুত আল্লাহ্ তাঁর রাসূলকে বনূ নযীর গোত্রের মাল প্রদান করেছিলেন। আল্লাহ্র শপখ! তিনি এই মালের উপর তোমাদের একচেটিয়া প্রাধান্য প্রদান করেননি এবং তোমাদের বাদ দিয়ে অন্য কেউ তা গ্রহণ করেনি। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো এই মাল হতে তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণের নিমিত্ত এক বছরের খরচের পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতেন এবং অবশিষ্ট মাল অন্যান্য গনীমতের মালের অনুরূপ হতো। অতঃপর তিনি [উমার (রাঃ)] তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা (দু’জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর [আবূ বকর (রাঃ) যখন খলীফা নির্বাচিত হন], তখন আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খলীফা। তখন আপনি (হে আব্বাস) এবং এ ব্যক্তি [আলী (রাঃ)] আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন। এ সময় আপনি আপনার ভাতিজার পরিত্যক্ত সস্পদের উত্তরাধিকারিত্বের দাবি করছিলেন এবং ইনি তাঁর স্ত্রীর সম্মানিত পিতা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মীরাছ দাবি করছিলেন। তখন তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদকা। আর আল্লাহ্ জানেন, আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন সত্যবাদী, নেকবখত, সত্য পথের দিশারী এবং সত্যের অনুসারী। এরপর আবূ বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ)-এর ইনতিকালের পর, আমি খলীফা মনোনীত হওয়ার পর বলিঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ হতে এ মালের তত্ত্বাবধায়ক।
আর আমি মালের তত্ত্বাবধায়ক ততদিন থাকব, যতদিন আল্লাহ্ চান। এখন আপনারা দু’জন এসেছেন এবং আপনারা একই খেয়ালের অধিকারী। আপনারা আমার নিকট উক্ত মাল দাবী করছেন। আমার বক্তব্য এই যে, যদি আপনারা চান, তবে এ শর্তের উপর আমি এ মাল আপনাদের দেব যে, আপনারা আল্লাহ্র নামে শপথ করে বলবেন যে আপনারা এ মালের দেখাশুনা এরূপই করবেন, যেমনভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন।
আপনারা এ শর্তের উপর এ মাল আমার নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন। আর এখন আপনারা উভয়ে আমার নিকট এ জন্য হাযির হয়েছেন যে, আমি যেন এর বিপরীত কোন ফয়সালা করি।
আল্লাহ্র শপথ! আমি যে ফয়সালা দিয়েছি, তাছাড়া অন্য কোন ফয়সালা আমি কিয়ামত পর্যন্ত দেব না। অবশ্য আপনারা যদি এ সম্পদ যথাযথরূপে দেখাশুনা করতে অপারগ হন, তবে এর দেখাশুনার দায়িত্ব আবার আমার উপর ন্যস্ত করুন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেনঃ তাঁরা দু’জন তাঁর কাছে এ দরখাস্ত করেন যে, এর দেখাশুনার দায়িত্ব আমাদের মাঝে বণ্টন করে দেন। আর এরূপ নয় যে, তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদাকা’’, সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। বস্তুত তাঁরা উভয়ে তাদের প্রাপ্যের প্রত্যাশায় ছিলেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি এ সম্পদের উপর বণ্টনের নাম আসতে দেব না, বরং আমি একে এর প্রথম অবস্থার উপর ছেড়ে দেব।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الْمَعْنَى، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ حِينَ تَعَالَى النَّهَارُ فَجِئْتُهُ فَوَجَدْتُهُ جَالِسًا عَلَى سَرِيرٍ مُفْضِيًا إِلَى رِمَالِهِ فَقَالَ حِينَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ يَا مَالُ إِنَّهُ قَدْ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ وَإِنِّي قَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِشَىْءٍ فَاقْسِمْ فِيهِمْ . قُلْتُ لَوْ أَمَرْتَ غَيْرِي بِذَلِكَ . فَقَالَ خُذْهُ . فَجَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا ثُمَّ جَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا - يَعْنِي عَلِيًّا - فَقَالَ بَعْضُهُمْ أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا وَارْحَمْهُمَا . قَالَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ خُيِّلَ إِلَىَّ أَنَّهُمَا قَدَّمَا أُولَئِكَ النَّفَرَ لِذَلِكَ . فَقَالَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ اتَّئِدَا . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَالْعَبَّاسِ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَقَالاَ نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم بِخَاصَّةٍ لَمْ يَخُصَّ بِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى ( وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ) وَكَانَ اللَّهُ أَفَاءَ عَلَى رَسُولِهِ بَنِي النَّضِيرِ فَوَاللَّهِ مَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ وَلاَ أَخَذَهَا دُونَكُمْ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ مِنْهَا نَفَقَةَ سَنَةٍ أَوْ نَفَقَتَهُ وَنَفَقَةَ أَهْلِهِ سَنَةً وَيَجْعَلُ مَا بَقِيَ أُسْوَةَ الْمَالِ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ . فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا إِلَى أَبِي بَكْرٍ تَطْلُبُ أَنْتَ مِيرَاثَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ وَيَطْلُبُ هَذَا مِيرَاثَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوَلِيُّ أَبِي بَكْرٍ فَوَلِيتُهَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ أَلِيَهَا فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ فَسَأَلْتُمَانِيهَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ أَنْ تَلِيَاهَا بِالَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلِيهَا فَأَخَذْتُمَاهَا مِنِّي عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ جِئْتُمَانِي لأَقْضِيَ بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ وَاللَّهِ لاَ أَقْضِي بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَرُدَّاهَا إِلَىَّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِنَّمَا سَأَلاَهُ أَنْ يَكُونَ يُصَيِّرُهُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ لاَ أَنَّهُمَا جَهِلاَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَإِنَّهُمَا كَانَا لاَ يَطْلُبَانِ إِلاَّ الصَّوَابَ . فَقَالَ عُمَرُ لاَ أُوقِعُ عَلَيْهِ اسْمَ الْقَسْمِ أَدَعُهُ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ .
Narrated Malik b. Aws b. Al-Hadathan:
'Umar sent for me when the day rose high. I found him sitting on a couch without cover. When I entered upon him, he said: Malik, some people of you tribe gradually came here, and I have ordered to give them something, so distribute it among them. I said: If you assigned this (work) to some other person, (it would be better). He said: Take it. Then Yarfa' came to him and said: Commander of the Faithful, will you permit 'Uthman b. 'Affan, 'Abd al-Rahman b. 'Awf, al-Zubair b. al-'Awwam, and Sa'd b, Abi Waqqas (to enter) ? He said: Yes. So he permitted them and they entered. Yarfa' again came to him and said: Commander of the Faithful, would you permit al-'Abbas and 'Ali ? He said: Yes. He then permitted them and they entered. Al-'Abbas said: Commander of Faithful, decide between me and this, referring to 'Ali. Some of them said: Yes, Commander of the Faithful, decide between them and give them comfort. Malik b. Aws said: It occurred to me that both of them brought the other people for this. 'Umar said: Show patience (do not make haste). He then turned towards those people and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited whatever we leave is sadaqah (alms). They said: Yes. He then turned towards 'Ali and al-'Abbas and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited whatever we leave is sadaqah (alms). They said: Yes. He then said: Allah has appointed for the Messenger of Allah (ﷺ) a special portion (in the booty) which he did not do for anyone. Allah, Most High, said: What Allah has bestowed on His Apostle (and taken away) from them - for this ye made no expedition with either cavalry or camelry. But Allah gives power to His apostles over any He pleases ; and Allah has power over all things". Allah bestowed (the property of) Banu al-Nadir on His Apostle. I swear by Allah, he did not reserve it for himself, nor did he take it over and above you. The Messenger of Allah (ﷺ) used to his share for his maintenance annually, or used to take his contribution and give his family their annual contribution (from this property), then take what remained and deal with it as he did with Allah's property. He then turned towards those people and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that ? They said: Yes. He then turned towards 'Ali and al-'Abbas and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that ? They said: Yes. When the Messenger of Allah (ﷺ) died, Abu Bakr said: I am the protector of the Messenger of Allah (ﷺ). Then you and this ('Ali) came to Abu Bakr, demanding a share from the inheritance of your cousin, and this ('Ali) demanding the share of his wife from (the property of her) father. Abu Bakr then said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah. Allah knows that he (Abu Bakr) was true, faithful, rightly-guided, and the follower of Triuth. Abu Bakr then administered it (property of the Prophet). When Abu Bakr died, I said: I am the protector of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr. So I administered whatever Allah wished. Then you and this ('Ali) came. Both of you are at one, and your matter is the same. So they asked me for it (property), and I said: If you wish I give it to you on condition that you are bound by the covenant of Allah, meaning that you will administer it as the Messenger of Allah (ﷺ) used to administer. So you took it from me on that condition. Then again you have come to me so that I decide between you other than that. I swear by Allah, I shall not decide between you other than that till the Last Hour comes. If you helpless, return it to me.
Abu Dawud said: They asked him for making it half between them, and not that they were ignorant of the fact the Prophet (ﷺ) said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah (alms). They were also seeking the truth. 'Umar then said: I do not apply the name of division to it ; It leave it on its former condition.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৪. মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (রহঃ) ...... মালিক ইবন আওস (রাঃ) উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেনঃ তাঁরা উভয়ে অর্থাৎ আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) ঐ মালের ব্যাপারে পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত হন, যা আল্লাহ্ তাঁর রাসূলকে বনূ নযীর গোত্রের ধন-সম্পদ হতে প্রদান করেছিলেন।
আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ উমার (রাঃ)-এর উদ্দেশ্য ছিল যে, তাতে যেন বণ্টনের নাম না আসে। কেননা বণ্টনযোগ্য তো ঐ সম্পদ, যাতে মালিকানা বর্তায়। আর এ মালে মালিকনা বর্তায়নি।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ وَهُمَا - يَعْنِي عَلِيًّا وَالْعَبَّاسَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - يَخْتَصِمَانِ فِيمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَرَادَ أَنْ لاَ يُوقِعَ عَلَيْهِ اسْمَ قَسْمٍ .
Narrating this tradition Malik b. Aws said:
They i.e 'Ali and al-'Abbas (Allah be pleased with them), were quarrelling about what Allah bestowed on His Messenger of Allah (ﷺ), that is, the property of Banu al-Nadir.
Abu Dawud said: He ('Umar) intended that the name of division should not apply to it.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৫. উছমান ইবন আবী শায়বা ও আহমদ ইবন আবদা (রাঃ) .... উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বনূ নযীর গোত্রের মালামাল ঐ ধন-সস্পদের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা আল্লাহ্ তাঁর রাসূলকে প্রদান করেছিলেন এবং ঐ সম্পদ হাসিলের জন্য মুসলিমরা তাদের ঘোড়া ও উট পরিচালিত করেন নি (অর্থাৎ বিনাযুদ্ধে ঐ মাল হস্তগত হয়েছিল)। বস্তুত ঐ সমস্ত মালামাল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য খাস ছিল। তিনি ঐ সম্পদ নিজের পরিবার-পরিজনদের ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় করতেন।
রাবী ইবন আবদা বলেনঃ তিনি ঐ মাল হতে তার পরিবার-পরিজনদের জন্য এক বছরের খরচ নির্বাহ করতেন এবং অবশিষ্ট মাল আল্লাহ্র রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ঘোড়া, উট ইত্যাদি পশু ক্রয়ের জন্য ব্যয় করতেন।
রাবী ইবন আবদা আরো বলেনঃ তিনি অবশিষ্ট মাল দিয়ে যুদ্ধের নিমিত্ত উট, ঘোড়া ইত্যাদি এবং যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করতেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، - الْمَعْنَى - أَنَّ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَالِصًا يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ - قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ قُوتَ سَنَةٍ - فَمَا بَقِيَ جُعِلَ فِي الْكُرَاعِ وَعُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلاَحِ .
Narrated 'Umar:
The properties of Banu al-Nadir were part of what Allah bestowed on His Apostle from what the Muslims has not ridden on horses or camels to get; so they belonged specially to the Messenger of Allah (ﷺ) who gave his family their annual contribution.
Ibn 'Abdah said: His family (ahlihi) and not the members of his houses (ahl baitihi) ; then applied what remained for horses and weapons in Allah's path.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৬. মুসাদ্দাদ (রাঃ) .... যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমার (রাঃ) বলেছেন যে, আল্লাহ্র বানীঃ আর আল্লাহ্ যা কিছু তাঁর রাসূলকে প্রদান করেছেন, তাদের নিকট হতে তা লাভের জন্য তোমরা ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি।
যুহরী বলেন, উমার (রাঃ) বলেছেনঃ এই ধন-সম্পদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য খাস ছিল, যা হলো-উরায়না নামক গ্রাম, ফিদাক ইত্যাদি। আর দ্বিতীয় আয়াত-যার অর্থ হলোঃ "আল্লাহ তাঁর রাসূলকে গ্রামবাসীদের নিকট হতে যা কিছু প্রদান করেছেন, তা হলো-আল্লাহর, তাঁর রাসূলের, নিকটাত্মীয়দের, ইয়াতীমদের, মিসকীনদের এবং মুসাফিরদের জন্য। আর ঐ সমস্ত ফকীরের জন্য, যারা তাদের ঘরবাড়ী ও ধন-সস্পদ হতে বিতাড়িত হয়েছে এবং যারা তাদের পরে এসেছে (ইসলাম কবুলের পর, দারুল ইসলামে)।" উক্ত আয়াতের বর্ণিত হুকুম সমস্ত শ্রেণীর লোকেরা শামিল আছে এবং মালে গনীমতের হকদার কোন মুসলিম বাদ পড়েনি।
রাবী আইয়ূব অথবা যুহরী বলেনঃ এই গনীমতের মালে সকলের হক আছে, তবে তারা ব্যতীত, যে সব দাস-দাসীর তোমরা মালিক।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ ( وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ ) . قَالَ الزُّهْرِيُّ قَالَ عُمَرُ هَذِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً قُرَى عُرَيْنَةَ فَدَكَ وَكَذَا وَكَذَا ( مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ ) وَ لِلْفُقَرَاءِ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ . وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ فَاسْتَوْعَبَتْ هَذِهِ الآيَةُ النَّاسَ فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلاَّ لَهُ فِيهَا حَقٌّ . قَالَ أَيُّوبُ أَوْ قَالَ حَظٌّ إِلاَّ بَعْضَ مَنْ تَمْلِكُونَ مِنْ أَرِقَّائِكُمْ .
Narrated Al-Zuhri:
'Umar said explaining the verse: "What Allah has bestowed on His Apostle (and taken away) from them - for this ye made no expedition with either cavalry or camelry" this belonged specially to the Messenger of Allah (ﷺ): lands of 'Urainah, Fadak, and so-and-so. What Allah as bestowed on His Apostle (and taken away) from the people of the townships - belong to Allah - to the Apostle, and to kindred and orphans, the needy and the wayfarer, to the indigent emigrants, those who were expelled from their homes and their property, and to those who, before them, had homes (in Medina), and had adopted the faith, and to those who came after them. This verse completely covered all the people ; they remained no one from Muslims but he had his right in it, or share (according to Ayyub's version) except the slaves.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৭. হিশাম ইবন আম্মার (রাঃ) ..... মালিক ইবন আওস ইবন হাদাছান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমার (রাঃ)-এর দলীল হলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য তিন প্রকারের মালে গনীমত খাস ছিল-যা বনু নযীর, খায়বর ও ফিদাক নামে পরিচিত। সুতরাং যে মাল তিনি বনূ নযীর থেকে প্রাপ্ত হন, তা তাঁর প্রয়োজনের জন্য খাস ছিল। আর তিনি ফিদাক হতে যা লাভ করেছিলেন, তা ছিল মুসলিমদের প্রয়োজন মিটাবার জন্য এবং খায়বরে প্রাপ্ত ধন-সম্পদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ভাগে বিভক্ত করতেন, যার দু’অংশ সাধারণ মুসলিমদের কল্যাণে ব্যয় হতো এবং অপর ভাগ তাঁর পরিবার-পরিজনদের ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় হতো। আর তাঁর পরিবার-পরিজনদের ব্যয় নির্বাহের পর যে মাল বাকী থাকত, তা তিনি গরীব মুহাজিরদের মাঝে বণ্টন করে দিতেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ح وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، - وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِهِ - كُلُّهُمْ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ كَانَ فِيمَا احْتَجَّ بِهِ عُمَرُ رضى الله عنه أَنَّهُ قَالَ كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثُ صَفَايَا بَنُو النَّضِيرِ وَخَيْبَرُ وَفَدَكُ فَأَمَّا بَنُو النَّضِيرِ فَكَانَتْ حُبْسًا لِنَوَائِبِهِ وَأَمَّا فَدَكُ فَكَانَتْ حُبْسًا لأَبْنَاءِ السَّبِيلِ وَأَمَّا خَيْبَرُ فَجَزَّأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ جُزْءَيْنِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَجُزْءًا نَفَقَةً لأَهْلِهِ فَمَا فَضَلَ عَنْ نَفَقَةِ أَهْلِهِ جَعَلَهُ بَيْنَ فُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ .
Narrated Umar ibn al-Khattab:
Malik ibn Aws al-Hadthan said: One of the arguments put forward by Umar was that he said that the Messenger of Allah (ﷺ) received three things exclusively to himself: Banu an-Nadir, Khaybar and Fadak. The Banu an-Nadir property was kept wholly for his emergent needs, Fadak for travellers, and Khaybar was divided by the Messenger of Allah (ﷺ) into three sections: two for Muslims, and one as a contribution for his family. If anything remained after making the contribution of his family, he divided it among the poor Emigrants.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৮. ইয়াযীদ ইবনে খালিদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন মাওহাব হামদানী ..... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) কোন এক ব্যক্তিকে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাল হতে নিজের মীরাছ চাওয়ার জন্য প্রেরণ করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ্ মদীনাতে ও ফিদাকে যা প্রদান করেছিলেন এবং খায়বরে প্রাপ্ত মালের এক-পঞ্চমাংশ বাদে বাকী যে অংশ রেখে গিয়েছেন তা থেকে প্রাপ্ত আমার অংশ যেন আবূ বকর (রাঃ) আমাকে দিয়ে দেন।
তখন আবূ বকর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রাখি না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার-পরিজন এ মাল হতে খেতে পারবে। কিন্তু আল্লাহ্র শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাদকা হতে কোন কিছুই পরিবর্তন করতে পারব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে যেরূপ ছিল, সেরুপই থাকবে। এ ব্যাপারে আমি শুধু এতটুকু করতে পারি, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন। এভাবে আবূ বকর (রাঃ) ঐ মাল হতে ফাতিমা (রাঃ)-কে কোন কিছু দিতে অস্বীকার করেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رضى الله عنه تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْمَدِينَةِ وَفَدَكَ وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ مِنْ هَذَا الْمَالِ " . وَإِنِّي وَاللَّهِ لاَ أُغَيِّرُ شَيئًا مِنْ صَدَقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ حَالِهَا الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلأَعْمَلَنَّ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه أَنْ يَدْفَعَ إِلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ مِنْهَا شَيْئًا .
Narrated 'Aishah, wife of Prophet (ﷺ):
Fatimah daughter of Messenger of Allah (ﷺ) sent a messenger to Abu Bakr demanding from him in inheritance of the Messenger of Allah (ﷺ) from what Allah bestowed on him at Medina and Fadak, and what remained of the fifth of Khaibar. Abu Bakr said: The Messenger of Allah (ﷺ) has said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah. The family of Muhammad will eat from this property. I swear by Allah I shall not change it from the former condition of its being sadaqah as it was in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). I shall deal with it as the Messenger of Allah dealt with it. Abu Bakr, therefore, refused to give anything to Fatimah from it.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৫৯. আমর ইবন উছমান হিমসী (রাঃ) .... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদীনা ও ফিদাকের সাদকা এবং খায়বরের সম্পওির এক-পঞ্চমাংশের পর বাকী অংশ দাবী করেন, আইশা (রাঃ) বলেনঃ তখন আবূ বকর (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। অবশ্য মুহাম্মদ এর পরিবারবর্গ এ মাল হতে ভক্ষণ করতে পারবে, অর্থাৎ আল্লাহ্র মাল হিসাবে। আর তারা খাদ্যদ্রব্য ছাড়া কিছুই পাবে না।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ وَفَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلاَمُ حِينَئِذٍ تَطْلُبُ صَدَقَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّتِي بِالْمَدِينَةِ وَفَدَكَ وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ . قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ وَإِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِي هَذَا الْمَالِ " . يَعْنِي مَالَ اللَّهِ لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَزِيدُوا عَلَى الْمَأْكَلِ .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Fatimah was demanding (the property of) sadaqah of the Messenger of Allah (ﷺ) at Medina and Fadak, and what remained from the fifth of Khaybar. Aisha quoted AbuBakr as saying: The Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited; whatever we leave is sadaqah. The family of Muhammad will eat from this property, that is, from the property of Allah. They will not take more then their sustenance.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬০. হাজ্জাজ ইবন আবী ইয়াকূব (রহঃ) ..... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আইশা (রাঃ) এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, যখন ফাতিমা (রাঃ) তাঁর মীরাছ দাবী করেন, তখন আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে মীরাছ দিতে অস্বীকার করেন এবং বলেনঃ যে কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন, আমি কখনো তা পরিত্যাগ করব না। কেননা আমার ভয় হয়, যদি আমি তার কিছু পরিত্যাগ করি, তবে হয়তো গুমরাহ হয়ে যাব। (আবূ বকর (রাঃ)-এর ইন্তিকালের পর) উমার (রাঃ) তাঁর মদীনার সাদকার মাল আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ)-এর নিকট সোপর্দ করেন, যার উপর আলী (রাঃ) দখল নিয়েছিলেন।
আর ফিদাক ও খায়বরের মাল উমার (রাঃ) নিজের কতৃত্বে রেখে দেন এবং বলেনঃ এ দু’প্রকারের মালামাল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাদকা, যা তাঁর বিভিন্ন প্রয়োজনে খরচ হতো। একই ভাবে এ দু’প্রকারের মাল খরচ করার ইখতিয়ার তাঁকে দেওয়া হয়, যিনি রাষ্ট্রের কর্ণধার হবেন। বস্তুত এ সময় হতে খিলাফতের শেষ সময় পর্যন্ত ফিদাক ও খায়বরের মাল এভাবে খরচ হতে থাকে, যেভাবে তিনি তা খরচের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَخْبَرَتْهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ، قَالَ فِيهِ فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه عَلَيْهَا ذَلِكَ وَقَالَ لَسْتُ تَارِكًا شَيْئًا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْمَلُ بِهِ إِلاَّ عَمِلْتُ بِهِ إِنِّي أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ أَنْ أَزِيغَ فَأَمَّا صَدَقَتُهُ بِالْمَدِينَةِ فَدَفَعَهَا عُمَرُ إِلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ رضى الله عنهم فَغَلَبَهُ عَلِيٌّ عَلَيْهَا وَأَمَّا خَيْبَرُ وَفَدَكُ فَأَمْسَكَهُمَا عُمَرُ وَقَالَ هُمَا صَدَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتَا لِحُقُوقِهِ الَّتِي تَعْرُوهُ وَنَوَائِبِهِ وَأَمْرُهُمَا إِلَى مَنْ وَلِيَ الأَمْرَ . قَالَ فَهُمَا عَلَى ذَلِكَ إِلَى الْيَوْمِ .
Narrating the above tradition, 'Aishah added:
Abu Bakr refused that to her. Her said: I am not going to leave anything the Messenger of Allah (ﷺ) used to do but I shall carry it out. I fear if I depart a little from his practice, I shall diverge (from the right path). As regards his sadaqah (property) at Medina, 'Umar had given it to 'Ali ad 'Abbas (Allah be pleased with them), and 'Ali dominated it. As for Khaibar and Fadak, 'Umar retained them. He said: They were the sadaqah (property) of the Messenger of Allah (ﷺ), exclusively reserved for his purposes that happened, and for his emergent needs. Their management was assigned to the one who was in authority. He said: They are in that condition to the present day.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬১. মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (রহঃ) ....... যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র বাণীঃ তোমরা যারা তার জন্য ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; (বরং আল্লাহ্ স্বীয় অনুগ্রহে তা তাঁকে প্রদান করেন)। এ আয়াত সম্পর্কে রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিদাক এবং গ্রামবাসীদের সাথে তখন সন্ধি করেন, যখন তিনি অপর একটা সম্প্রদায়কে অবরোধ করেছিলেন। তখন সেখানকার লোকেরা সন্ধির উদ্দেশ্যে তাঁর কাছে প্রস্তাব পেশ করে। এ ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেনঃ তোমরা ঐ মাল হাসিল করার জন্য ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; বরং বিনাযুদ্ধে তোমরা তা লাভ করেছিলে।
যুহরী (রহঃ) বলেনঃ বনূ নযীর গোত্র থেকে প্রাপ্ত মাল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য খাস ছিল। কেননা তা যুদ্ধের দ্বারা হাসিল হয়নি; বরং সন্ধির দ্বারা হয়েছিল। বস্তুত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সম্পদ মুহাজিরদের মাঝে বণ্টন করে দেন এবং আনসারদের অভাবী দু’ব্যক্তি ছাড়া তিনি আর কাউকে কিছুই প্রদান করেননি।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فِي قَوْلِهِ ( فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ ) قَالَ صَالَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ فَدَكَ وَقُرًى قَدْ سَمَّاهَا لاَ أَحْفَظُهَا وَهُوَ مُحَاصِرٌ قَوْمًا آخَرِينَ فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ بِالصُّلْحِ قَالَ ( فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ ) يَقُولُ بِغَيْرِ قِتَالٍ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَكَانَتْ بَنُو النَّضِيرِ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَالِصًا لَمْ يَفْتَحُوهَا عَنْوَةً افْتَتَحُوهَا عَلَى صُلْحٍ فَقَسَمَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ لَمْ يُعْطِ الأَنْصَارَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ رَجُلَيْنِ كَانَتْ بِهِمَا حَاجَةٌ .
Al-Zuhri, explaining the verse "For this you made no expedition with either cavalry or camelry" said:
The Prophet (ﷺ) concluded the treaty of peace with the people of Fadak and townships which he named which I could not remember ; he blockaded some other people who sent a message to him for capitulation. He said: "For this you made no expedition with either cavalry or camelry" means without fighting. Al-Zuhri said: The Banu al-Nadir property was exclusively kept for the Prophet (ﷺ) ; they did not conquer it by fighting, but conquered it by capitulation. To Prophet (ﷺ) divided it among the Emigrants. He did not give anything to the Helpers except two men were needy.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬২. আবদুল্লাহ ইবন জাররাহ (রহঃ) ..... মুগীরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমার ইবন আবদুল আযীয খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর বনূ মারোয়ানকে সমবেত করে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ফিদাকের আয় হতে পরিবার-পরিজন ও ফকীর-মিসকীনদের ব্যয় নির্বাহ করতেন, বনূ হাশিম গোত্রের ছোট বাচ্চাদের প্রতি ইহসান করতেন, বিধবা এবং অবিবাহিত নারীদের জন্য খরচ করতেন। একবার ফাতিমা (রাঃ) তাঁর নিকট ফিদাকের সস্পদপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় ঐ সম্পদ ঐরূপেই অবশিষ্ট ছিল। এমনকি তাঁর ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালু ছিল।
অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর ফিদাকের ধন-সম্পত্তির ব্যাপারে ঐ নিয়ম চালু রাখেন, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় চালু ছিল। এরপর উমার (রাঃ) যখন এর মুতাওয়াল্লী নির্বাচিত হন, তখন তিনিও ঐ মালের ব্যাপারে একই নীতি অবলম্বন করেন, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) এর মৃত্যু সময়ও ঐ নীতি চালু ছিল।
পরে মারোয়ান একে নিজের জায়গীর বানিয়ে নেন। অবশেষে তা উমার ইবন আবদুল আযীয (রহঃ)-এর নিয়ন্ত্রণে আসে। তখন তিনি এ খেয়াল করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এ মাল ফাতিমা (রাঃ) কে প্রদান করেননি, তখন আমার জন্যও তা ভোগ করা উচিত হবে না। সে জন্য আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছিঃ আমি ঐ সম্পদ তার মূল অবস্থায় ফিরিয়ে দিচ্ছি, যেমন তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় ছিল। (আর আগে যেভাবে যাদের প্রয়োজনে তা ব্যবহৃত হতো, তেমনি পরেও তা ঐভাবেই ব্যবহৃত হবে)।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ جَمَعَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَنِي مَرْوَانَ حِينَ اسْتُخْلِفَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتْ لَهُ فَدَكُ فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهَا وَيَعُودُ مِنْهَا عَلَى صَغِيرِ بَنِي هَاشِمٍ وَيُزَوِّجُ مِنْهَا أَيِّمَهُمْ وَإِنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْهُ أَنْ يَجْعَلَهَا لَهَا فَأَبَى فَكَانَتْ كَذَلِكَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه عَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَيَاتِهِ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ عُمَرُ عَمِلَ فِيهَا بِمِثْلِ مَا عَمِلاَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ ثُمَّ أَقْطَعَهَا مَرْوَانُ ثُمَّ صَارَتْ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ - يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ - فَرَأَيْتُ أَمْرًا مَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ لَيْسَ لِي بِحَقٍّ وَأَنَا أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ رَدَدْتُهَا عَلَى مَا كَانَتْ يَعْنِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Umar ibn AbdulAziz:
Al-Mughirah (ibn Shu'bah) said: Umar ibn AbdulAziz gathered the family of Marwan when he was made caliph, and he said: Fadak belonged to the Messenger of Allah (ﷺ), and he made contributions from it, showing repeated kindness to the poor of the Banu Hashim from it, and supplying from it the cost of marriage for those who were unmarried. Fatimah asked him to give it to her, but he refused. That is how matters stood during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) till he passed on (i.e. died).
When AbuBakr was made ruler he administered it as the Prophet (ﷺ) had done in his lifetime till he passed on. Then when Umar ibn al-Khattab was made ruler he administered it as they had done till he passed on. Then it was given to Marwan as a fief, and it afterwards came to Umar ibn AbdulAziz.
Umar ibn AbdulAziz said: I consider I have no right to something which the Messenger of Allah (ﷺ) refused to Fatimah, and I call you to witness that I have restored it to its former condition; meaning in the time of the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৩. উছমান ইবন আবী শায়বা (রহঃ) .... আবূ তুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ফাতিমা (রাঃ) আবূ বকর (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নিজের হিসসা দাবী করেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ বলতে শুনেছি যে, যখন আল্লাহ্ তাঁর কোন নবীকে কোন জীবিকা প্রদান করেন, তা তাঁর পরবর্তী স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তির অধিকারে চলে যাবে।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ رضى الله عنها إِلَى أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه تَطْلُبُ مِيرَاثَهَا مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا أَطْعَمَ نَبِيًّا طُعْمَةً فَهِيَ لِلَّذِي يَقُومُ مِنْ بَعْدِهِ " .
Narrated AbuBakr:
AbutTufayl said: Fatimah came to AbuBakr asking him for the inheritance of the Prophet (ﷺ). AbuBakr said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: If Allah, Most High, gives a Prophet some means of sustenance, that goes to his successor.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৪. আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার ওয়ারিছরা আমার পরিত্যক্ত সম্পদ হতে এক দীনারও বন্টন করতে পারবে না। আমি যা কিছু রেখে যাব, তা আমার স্ত্রীদের ভরণ-পোষণের ব্যয় নির্বাহ এবং আমার কর্মচারীর পারিশ্রমিক প্রদানের পর সাদকা হিসাবে পরিগণিত হবে।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ " .
Narrated Abu Hurairah:
The Prophet (ﷺ) as saying: Do not distribute dinars among my heirs: Whatever I left after contribution to my wives and provisions for my governor is sadaqah (alms).
Abu Dawud said: 'Amil means the workers or laborers on the land (i.e. peasants).
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৫. আমর ইবন মারযূক (রহঃ) ....... আবূ বুখতারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জনৈক ব্যক্তি হতে এমন একটি হাদীছ শুনেছিলাম, যা আমার খুবই পসন্দ হয়। তখন আমি তাকে বলিঃ হাদীসটি আমাকে লিখে দিন। তিনি তা স্পষ্টভাবে লিখে আনেন এবং আব্বাস (রাঃ), আলী (রাঃ) এবং উমার (রাঃ)-এর কাছে আনেন। এ সময় তালহা (রাঃ), যুবায়র (রাঃ), আবদুর রাহমান (রাঃ) এবং সা’দ (রাঃ) তাঁর কাছে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত হলে উমার (রাঃ) তালহা, যুবায়র, আবদুর রাহমান এবং সা’দ (রাঃ)-কে বলেনঃ আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নবীদের যাবতীয় সম্পদ তাঁর পরিবার-পরিজনদের ভরণ-পোষণের খরচ বাদে বাকী সবই সাদকা। আমরা কোন মীরাছ রেখে যাই না। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ, ঠিক। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় মাল হতে নিজের পরিবারদের জন্য খরচ করার পর বাকী অংশ সাদকা করে দিতেন। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর আবূ বকর (রাঃ) দু’বছরের জন্য এর মুতাওয়াল্লী হন। আর তিনি ঐ নীতিই অনুসরণ করেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন।
এরপর রাবী মালিক ইবন আওস (রাঃ)-এর হাদীছের কিছু অংশ বর্ণনা করেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ حَدِيثًا، مِنْ رَجُلٍ فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ اكْتُبْهُ لِي فَأَتَى بِهِ مَكْتُوبًا مُذَبَّرًا دَخَلَ الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ عَلَى عُمَرَ وَعِنْدَهُ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَسَعْدٌ وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فَقَالَ عُمَرُ لِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَسَعْدٍ أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَدَقَةٌ إِلاَّ مَا أَطْعَمَهُ أَهْلَهُ وَكَسَاهُمْ إِنَّا لاَ نُورَثُ " . قَالُوا بَلَى . قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ مِنْ مَالِهِ عَلَى أَهْلِهِ وَيَتَصَدَّقُ بِفَضْلِهِ ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ سَنَتَيْنِ فَكَانَ يَصْنَعُ الَّذِي كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ ذَكَرَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ .
Narrated Umar ibn al-Khattab:
AbulBakhtari said: I heard from a man a tradition which I liked. I said to him: Write it down for me. So he brought it clearly written to me.
(It says): Al-Abbas and Ali entered upon Umar when Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd were with him. They (Abbas and Ali) were disputing.
Umar said to Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd: Do you not know that the Messenger of Allah (ﷺ) said: All the property of the Prophet (ﷺ) is sadaqah (alms), except what he provided for his family for their sustenance and their clothing. We are not to be inherited.
They said: Yes, indeed. He said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to spend from his property on his family, and give the residue as sadaqah (alms). The Messenger of Allah (ﷺ) then died, and AbuBakr ruled for two years. He would deal with it in the same manner as the Messenger of Allah (ﷺ) did. He then mentioned a little from the tradition of Malik ibn Aws.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৬. কা’নবী (রহঃ) ...... আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেন, তখন তার স্ত্রীগণ উছমান (রাঃ) কে আবূ বকর সিদ্দীকের নিকট এ জন্য প্রেরণ করেন যে, যাতে তাঁর নিকট তাঁর স্ত্রীদের ’ছুমুন’ বা এক-অষ্টমাংশ মীরাছ দাবী করেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাল হতে। তখন আইশা (রাঃ) তাঁদের ডেকে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি এরূপ বর্ণনা করেন নি যে, আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَيَسْأَلْنَهُ ثُمُنَهُنَّ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لَهُنَّ عَائِشَةُ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ " .
Narrated 'Aishah:
When the Messenger of Allah (ﷺ) died, the wives of the Prophet (ﷺ) intended to send 'Uthman b. 'Affan to Abu Bakr to ask him their cost of living from (the inheritance of) the Prophet (ﷺ). Thereupon 'Aishah said: Did not the Messenger of Allah (ﷺ) say: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৭. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন ফারিস (রহঃ) ..... ইবন শিহাব (রহঃ) উপরোক্ত হাদীছের ন্যায় হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন যে, একদা আইশা (রাঃ) বলেনঃ তোমরা কি আল্লাহ্কে ভয় করবে না? তোমরা কি শোননি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। আর এ ধন-সস্পদ তো কেবল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার পরিজনদের ভরণ-পোষণের জন্য এবং তাঁর নিজস্ব প্রয়োজন ও মেহমানদের মাঝে বিতরণের জন্য। আমার ইন্তিকালের পর এ ধন-সম্পদ তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকবে, যিনি খলীফা মনোনীত হবেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ قُلْتُ أَلاَ تَتَّقِينَ اللَّهَ أَلَمْ تَسْمَعْنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ وَإِنَّمَا هَذَا الْمَالُ لآلِ مُحَمَّدٍ لِنَائِبَتِهِمْ وَلِضَيْفِهِمْ فَإِذَا مِتُّ فَهُوَ إِلَى مَنْ وَلِيَ الأَمْرَ مِنْ بَعْدِي " .
A similar tradition has been narrated by Ibn Shihab through a different chain of narrators. This version says:
I said: Do you not fear Allah ? Did you not hear the Messenger of Allah (ﷺ) say: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah (alms). This property belongs to the family of Muhammad for their emergent needs and their guest. When I die, it will go to him who becomes ruler after me.