২৯৫৩

পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।

২৯৫৩. হাসান ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্‌ইয়া ইবন ফারিয মা’না (রহঃ) .... মালিক ইবন হাদাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার (রাঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও।

আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবন আফফান (রাঃ), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ), যুবায়র ইবন আওয়াম (রাঃ) এবং সা’দ ইবন আবী ওয়াককাস (রাঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।

তখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করে। পরে ইয়ারফা উপস্থিত হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার নিকট আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। তখন তিনি [উমার (রাঃ)] বললেনঃ তাদের আসতে দাও। পরে এ দু’জনও তাঁর নিকট হাযির হন। আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি আমার ও এর মধ্যকার ব্যাপারটি ফয়সালা করে দিন। তখন উপস্থিত লোকদের থেকে জনৈক ব্যক্তি বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! এদের ব্যাপারটি মীমাংসা করে দিন এবং এদের উপর রহম করুন।(১)

মালিক ইবন আওস (রাঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি উছমান (রাঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।

অতঃপর আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ)-কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সে আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞানা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ বলেছেনঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তারা উভয়ে বলেনঃ হ্যাঁ। তিনি [উমার (রাঃ)] বলেনঃ আল্লাহ তা’আল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন কিছু খাস বৈশিষ্ট প্রদান করেন, যা অন্য আর কাউকে দেননি। যেমন, আল্লাহ বলেছেনঃ

وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

অর্থাৎ আর যা কিছু আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দিয়েছেন, তাদের নিকট হতে, তা লাভের জন্য তোমরা ঘোড়া এবং উট পরিচালিত করনি; বরং আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূলদের বিজয়ী করেন যার উপর তিনি ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ্‌ হলেন সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

বস্তুত আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূলকে বনূ নযীর গোত্রের মাল প্রদান করেছিলেন। আল্লাহ্‌র শপখ! তিনি এই মালের উপর তোমাদের একচেটিয়া প্রাধান্য প্রদান করেননি এবং তোমাদের বাদ দিয়ে অন্য কেউ তা গ্রহণ করেনি। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো এই মাল হতে তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণের নিমিত্ত এক বছরের খরচের পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতেন এবং অবশিষ্ট মাল অন্যান্য গনীমতের মালের অনুরূপ হতো। অতঃপর তিনি [উমার (রাঃ)] তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন? তখন তাঁরা (দু’জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।

বস্তুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর [আবূ বকর (রাঃ) যখন খলীফা নির্বাচিত হন], তখন আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খলীফা। তখন আপনি (হে আব্বাস) এবং এ ব্যক্তি [আলী (রাঃ)] আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন। এ সময় আপনি আপনার ভাতিজার পরিত্যক্ত সস্পদের উত্তরাধিকারিত্বের দাবি করছিলেন এবং ইনি তাঁর স্ত্রীর সম্মানিত পিতা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মীরাছ দাবি করছিলেন। তখন তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদকা। আর আল্লাহ্‌ জানেন, আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন সত্যবাদী, নেকবখত, সত্য পথের দিশারী এবং সত্যের অনুসারী। এরপর আবূ বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ)-এর ইনতিকালের পর, আমি খলীফা মনোনীত হওয়ার পর বলিঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ হতে এ মালের তত্ত্বাবধায়ক।

আর আমি মালের তত্ত্বাবধায়ক ততদিন থাকব, যতদিন আল্লাহ্‌ চান। এখন আপনারা দু’জন এসেছেন এবং আপনারা একই খেয়ালের অধিকারী। আপনারা আমার নিকট উক্ত মাল দাবী করছেন। আমার বক্তব্য এই যে, যদি আপনারা চান, তবে এ শর্তের উপর আমি এ মাল আপনাদের দেব যে, আপনারা আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলবেন যে আপনারা এ মালের দেখাশুনা এরূপই করবেন, যেমনভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন।

আপনারা এ শর্তের উপর এ মাল আমার নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন। আর এখন আপনারা উভয়ে আমার নিকট এ জন্য হাযির হয়েছেন যে, আমি যেন এর বিপরীত কোন ফয়সালা করি।

আল্লাহ্‌র শপথ! আমি যে ফয়সালা দিয়েছি, তাছাড়া অন্য কোন ফয়সালা আমি কিয়ামত পর্যন্ত দেব না। অবশ্য আপনারা যদি এ সম্পদ যথাযথরূপে দেখাশুনা করতে অপারগ হন, তবে এর দেখাশুনার দায়িত্ব আবার আমার উপর ন্যস্ত করুন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেনঃ তাঁরা দু’জন তাঁর কাছে এ দরখাস্ত করেন যে, এর দেখাশুনার দায়িত্ব আমাদের মাঝে বণ্টন করে দেন। আর এরূপ নয় যে, তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছঃ আমরা মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদাকা’’, সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। বস্তুত তাঁরা উভয়ে তাদের প্রাপ্যের প্রত্যাশায় ছিলেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি এ সম্পদের উপর বণ্টনের নাম আসতে দেব না, বরং আমি একে এর প্রথম অবস্থার উপর ছেড়ে দেব।

باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الْمَعْنَى، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ حِينَ تَعَالَى النَّهَارُ فَجِئْتُهُ فَوَجَدْتُهُ جَالِسًا عَلَى سَرِيرٍ مُفْضِيًا إِلَى رِمَالِهِ فَقَالَ حِينَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ يَا مَالُ إِنَّهُ قَدْ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ وَإِنِّي قَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِشَىْءٍ فَاقْسِمْ فِيهِمْ ‏.‏ قُلْتُ لَوْ أَمَرْتَ غَيْرِي بِذَلِكَ ‏.‏ فَقَالَ خُذْهُ ‏.‏ فَجَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا ثُمَّ جَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ لَكَ فِي الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا - يَعْنِي عَلِيًّا - فَقَالَ بَعْضُهُمْ أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا وَارْحَمْهُمَا ‏.‏ قَالَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ خُيِّلَ إِلَىَّ أَنَّهُمَا قَدَّمَا أُولَئِكَ النَّفَرَ لِذَلِكَ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ اتَّئِدَا ‏.‏ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَالْعَبَّاسِ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالاَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم بِخَاصَّةٍ لَمْ يَخُصَّ بِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏ وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ‏)‏ وَكَانَ اللَّهُ أَفَاءَ عَلَى رَسُولِهِ بَنِي النَّضِيرِ فَوَاللَّهِ مَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ وَلاَ أَخَذَهَا دُونَكُمْ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ مِنْهَا نَفَقَةَ سَنَةٍ أَوْ نَفَقَتَهُ وَنَفَقَةَ أَهْلِهِ سَنَةً وَيَجْعَلُ مَا بَقِيَ أُسْوَةَ الْمَالِ ‏.‏ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ رضى الله عنهما فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ ‏.‏ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا إِلَى أَبِي بَكْرٍ تَطْلُبُ أَنْتَ مِيرَاثَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ وَيَطْلُبُ هَذَا مِيرَاثَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوَلِيُّ أَبِي بَكْرٍ فَوَلِيتُهَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ أَلِيَهَا فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ فَسَأَلْتُمَانِيهَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ أَنْ تَلِيَاهَا بِالَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلِيهَا فَأَخَذْتُمَاهَا مِنِّي عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ جِئْتُمَانِي لأَقْضِيَ بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ وَاللَّهِ لاَ أَقْضِي بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَرُدَّاهَا إِلَىَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِنَّمَا سَأَلاَهُ أَنْ يَكُونَ يُصَيِّرُهُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ لاَ أَنَّهُمَا جَهِلاَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَإِنَّهُمَا كَانَا لاَ يَطْلُبَانِ إِلاَّ الصَّوَابَ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ لاَ أُوقِعُ عَلَيْهِ اسْمَ الْقَسْمِ أَدَعُهُ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، ومحمد بن يحيى بن فارس المعنى، قالا حدثنا بشر بن عمر الزهراني، حدثني مالك بن انس، عن ابن شهاب، عن مالك بن اوس بن الحدثان، قال ارسل الى عمر حين تعالى النهار فجىته فوجدته جالسا على سرير مفضيا الى رماله فقال حين دخلت عليه يا مال انه قد دف اهل ابيات من قومك واني قد امرت فيهم بشىء فاقسم فيهم ‏.‏ قلت لو امرت غيري بذلك ‏.‏ فقال خذه ‏.‏ فجاءه يرفا فقال يا امير المومنين هل لك في عثمان بن عفان وعبد الرحمن بن عوف والزبير بن العوام وسعد بن ابي وقاص قال نعم ‏.‏ فاذن لهم فدخلوا ثم جاءه يرفا فقال يا امير المومنين هل لك في العباس وعلي قال نعم ‏.‏ فاذن لهم فدخلوا فقال العباس يا امير المومنين اقض بيني وبين هذا - يعني عليا - فقال بعضهم اجل يا امير المومنين اقض بينهما وارحمهما ‏.‏ قال مالك بن اوس خيل الى انهما قدما اولىك النفر لذلك ‏.‏ فقال عمر رحمه الله اتىدا ‏.‏ ثم اقبل على اولىك الرهط فقال انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض هل تعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا نورث ما تركنا صدقة ‏"‏ ‏.‏ قالوا نعم ‏.‏ ثم اقبل على علي والعباس رضى الله عنهما فقال انشدكما بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض هل تعلمان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا نورث ما تركنا صدقة ‏"‏ ‏.‏ فقالا نعم ‏.‏ قال فان الله خص رسوله صلى الله عليه وسلم بخاصة لم يخص بها احدا من الناس فقال الله تعالى ‏(‏ وما افاء الله على رسوله منهم فما اوجفتم عليه من خيل ولا ركاب ولكن الله يسلط رسله على من يشاء والله على كل شىء قدير ‏)‏ وكان الله افاء على رسوله بني النضير فوالله ما استاثر بها عليكم ولا اخذها دونكم فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم ياخذ منها نفقة سنة او نفقته ونفقة اهله سنة ويجعل ما بقي اسوة المال ‏.‏ ثم اقبل على اولىك الرهط فقال انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض هل تعلمون ذلك قالوا نعم ‏.‏ ثم اقبل على العباس وعلي رضى الله عنهما فقال انشدكما بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض هل تعلمان ذلك قالا نعم ‏.‏ فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ابو بكر انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم فجىت انت وهذا الى ابي بكر تطلب انت ميراثك من ابن اخيك ويطلب هذا ميراث امراته من ابيها فقال ابو بكر رحمه الله قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا نورث ما تركنا صدقة ‏"‏ ‏.‏ والله يعلم انه لصادق بار راشد تابع للحق فوليها ابو بكر فلما توفي ابو بكر قلت انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم وولي ابي بكر فوليتها ما شاء الله ان اليها فجىت انت وهذا وانتما جميع وامركما واحد فسالتمانيها فقلت ان شىتما ان ادفعها اليكما على ان عليكما عهد الله ان تلياها بالذي كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يليها فاخذتماها مني على ذلك ثم جىتماني لاقضي بينكما بغير ذلك والله لا اقضي بينكما بغير ذلك حتى تقوم الساعة فان عجزتما عنها فرداها الى ‏.‏ قال ابو داود انما سالاه ان يكون يصيره بينهما نصفين لا انهما جهلا ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا نورث ما تركنا صدقة ‏"‏ ‏.‏ فانهما كانا لا يطلبان الا الصواب ‏.‏ فقال عمر لا اوقع عليه اسم القسم ادعه على ما هو عليه ‏.‏


Narrated Malik b. Aws b. Al-Hadathan:

'Umar sent for me when the day rose high. I found him sitting on a couch without cover. When I entered upon him, he said: Malik, some people of you tribe gradually came here, and I have ordered to give them something, so distribute it among them. I said: If you assigned this (work) to some other person, (it would be better). He said: Take it. Then Yarfa' came to him and said: Commander of the Faithful, will you permit 'Uthman b. 'Affan, 'Abd al-Rahman b. 'Awf, al-Zubair b. al-'Awwam, and Sa'd b, Abi Waqqas (to enter) ? He said: Yes. So he permitted them and they entered. Yarfa' again came to him and said: Commander of the Faithful, would you permit al-'Abbas and 'Ali ? He said: Yes. He then permitted them and they entered. Al-'Abbas said: Commander of Faithful, decide between me and this, referring to 'Ali. Some of them said: Yes, Commander of the Faithful, decide between them and give them comfort. Malik b. Aws said: It occurred to me that both of them brought the other people for this. 'Umar said: Show patience (do not make haste). He then turned towards those people and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited whatever we leave is sadaqah (alms). They said: Yes. He then turned towards 'Ali and al-'Abbas and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited whatever we leave is sadaqah (alms). They said: Yes. He then said: Allah has appointed for the Messenger of Allah (ﷺ) a special portion (in the booty) which he did not do for anyone. Allah, Most High, said: What Allah has bestowed on His Apostle (and taken away) from them - for this ye made no expedition with either cavalry or camelry. But Allah gives power to His apostles over any He pleases ; and Allah has power over all things". Allah bestowed (the property of) Banu al-Nadir on His Apostle. I swear by Allah, he did not reserve it for himself, nor did he take it over and above you. The Messenger of Allah (ﷺ) used to his share for his maintenance annually, or used to take his contribution and give his family their annual contribution (from this property), then take what remained and deal with it as he did with Allah's property. He then turned towards those people and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that ? They said: Yes. He then turned towards 'Ali and al-'Abbas and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that ? They said: Yes. When the Messenger of Allah (ﷺ) died, Abu Bakr said: I am the protector of the Messenger of Allah (ﷺ). Then you and this ('Ali) came to Abu Bakr, demanding a share from the inheritance of your cousin, and this ('Ali) demanding the share of his wife from (the property of her) father. Abu Bakr then said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah. Allah knows that he (Abu Bakr) was true, faithful, rightly-guided, and the follower of Triuth. Abu Bakr then administered it (property of the Prophet). When Abu Bakr died, I said: I am the protector of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr. So I administered whatever Allah wished. Then you and this ('Ali) came. Both of you are at one, and your matter is the same. So they asked me for it (property), and I said: If you wish I give it to you on condition that you are bound by the covenant of Allah, meaning that you will administer it as the Messenger of Allah (ﷺ) used to administer. So you took it from me on that condition. Then again you have come to me so that I decide between you other than that. I swear by Allah, I shall not decide between you other than that till the Last Hour comes. If you helpless, return it to me.

Abu Dawud said: They asked him for making it half between them, and not that they were ignorant of the fact the Prophet (ﷺ) said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah (alms). They were also seeking the truth. 'Umar then said: I do not apply the name of division to it ; It leave it on its former condition.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে (كتاب الخراج والإمارة والفىء)