পরিচ্ছেদঃ ১৫৫. যে শব্দের দ্বারা তালাকের ইচ্ছা বোঝায় তা এবং নিয়্যাত।
২১৯৮. মুহাম্মদ ইবন কাসীর ..... আলকামা ইবন ওয়াক্কাস আল্ লায়সী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ সমস্ত কাজ নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল।আর প্রত্যেক ব্যক্তি যে কাজের জন্য যে নিয়্যাত করে, তা তদ্রুপ হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও রাসূলের জন্য হয়। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার কিছু লাভের উদ্দেশ্যে হিজরত করে বা কোন স্ত্রীলোককে বিবাহের উদ্দেশ্যে হিজরত করে, এমতাবস্থায় সে যে নিয়্যাতে হিজরত করে, সে তা-ই প্রাপ্ত হবে।
باب فِيمَا عُنِيَ بِهِ الطَّلاَقُ وَالنِّيَّاتُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ " .
‘Umar bin Al Khattab reported the Apostle of Allaah(ﷺ) as saying “Actions are to be judged only by intentions and a man will have only what he intended. When one’s emigration is to Allaah and His Apostle, his emigration is to Allaah and His Apostle but his emigration is to a worldly end at which he aims or to a woman whom he marries , his emigration is to that for which he emigrated.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৫. যে শব্দের দ্বারা তালাকের ইচ্ছা বোঝায় তা এবং নিয়্যাত।
২১৯৯. আহমদ ইবন আমর ...... ইবন শিহাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন কা’ব মালিক (রাঃ) বলেছেন। আর কা’ব (রাঃ) যখন অন্ধ হয়ে যান, তখন তাঁর গোত্রের লোকেরা তাঁকে নিয়ে চলাফেরা করতো। রাবী বলেন,আমি কা’ব ইবন মালিককে বলতে শুনেছি। এরপর তাবুকের ঘটনা সম্পর্কে বিধৃত হয়েছে। তিনি বলেন, এরপর যখন পঞ্চাশ দিনের মধ্যে চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয়, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত আমার নিকট আগমন করেন এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে আপনার স্ত্রীর নিকট হতে দূরে অবস্থান করতে বলেছেন। তখন তিনি (কা’ব) জিজ্ঞাসা করেন, আমি কি তাকে তালাক দিব, না কি রাখব? দূত বলেন, না, (তালাক দিবেন না) বরং তার নিকট হতে দূরে থাকুন এবং তার সাথে সহবাস করবেন না। এতদশ্রবণে আমি আমার স্ত্রীকে বলি, তুমি তোমার (পিতার) পরিবারের নিকট গমন করো এবং তাদের সাথে অবস্থান করো, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তা’আলা এ ব্যাপার সম্পর্কে ফায়সালা প্রদান করেন।
باب فِيمَا عُنِيَ بِهِ الطَّلاَقُ وَالنِّيَّاتُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، - وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ مِنْ بَنِيهِ حِينَ عَمِيَ - قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍفَسَاقَ قِصَّتَهُ فِي تَبُوكَ قَالَ حَتَّى إِذَا مَضَتْ أَرْبَعُونَ مِنَ الْخَمْسِينَ إِذَا رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْتِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ أَنْ تَعْتَزِلَ امْرَأَتَكَ . قَالَ فَقُلْتُ أُطَلِّقُهَا أَمْ مَاذَا أَفْعَلُ قَالَ لاَ بَلِ اعْتَزِلْهَا فَلاَ تَقْرَبَنَّهَا . فَقُلْتُ لاِمْرَأَتِي الْحَقِي بِأَهْلِكِ فَكُونِي عِنْدَهُمْ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ فِي هَذَا الأَمْرِ .
‘Abd Allah bin Ka’b reported “I heard Ka’ab bin Malik. He then narrated his story about the battle of Tabuk.(Narrating the story) he added “When forty out of fifty days passed”, the messenger of the Apostle of Allaah(ﷺ) came and said “The Apostle of Allaah(ﷺ) has commanded you to keep away from your wife. He said “So, I (Ka’b bin Malik)” said “Should I divorce her or what should I do? He said “No, but only keep away from her and do not go near her”. So, I said to my wife “Go to your people and live with them until Allaah, the exalted makes a decision in this matter.”