পরিচ্ছেদঃ ১/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল
১। হুমায়দী (রহঃ) ... আলকামা ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে- সেই উদ্দেশ্যেই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য।
তাখরীজ : বুখারীঃ তাওহীদ.পাবলিকেশান্স ১, ৫৪, ২৫২৯, ৩৮৯৮, ৫০৭০, ৬৬৮৯, ৬৯৫৩; মুসলিমঃ ৫০৩৬; আবূ দাউদঃ ২২০৩; তিরমিযীঃ ১৭৪৮; দারাকুতনীঃ ১৩৪; নাসাঈঃ ৭৫, ৩৪৫০, ৩৮১০; আহমাদঃ ১৭০, ৩০৭। মুসলিম ২৩/৪৫ হা: ১৯০৭ , (আধুনিক প্রকাশনী. ১ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন. ১)
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
(1) How the Divine Revelation started being revealed to Allah's Messenger
Narrated 'Umar bin Al-Khattab: I heard Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) saying, "The reward of deeds depends upon the intentions and every person will get the reward according to what he has intended. So whoever emigrated for worldly benefits or for a woman to marry, his emigration was for what he emigrated for."
ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ নিয়ত বলতে অন্তরের সংকল্প বুঝায়। অন্তরের দৃঢ় সংকল্পই নিয়ত; কিন্তু কিরমানী বলেন, "দৃঢ়তা" নিয়তের শর্ত নয়। এটি একটি অতিরিক্ত বিশেষণ যা নিয়ত শব্দটির পূর্বে যোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেনঃ ফকীহগনের মধ্যে নিয়ত সম্পর্কে মতবিরোধ আছে। এটা কি রুকন, না শর্ত? মোটকথা এই যে, কাজের প্রারম্ভে নিয়ত করা রুকন আর কাজের মধ্যে নিয়ত করা জরুরী। নিয়তের মধ্যে শরিয়ত বিরধী কোন সংকল্প থাকতে পারবে না। এটা নিয়তের প্রধান শর্ত।
কোন কাজ করতে যাওয়ার পূর্বে নিয়ত করা অপরিহার্য। শরীয়তের পরিভাশায় আল্লাহর সন্তোষটি এবং তাঁর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্য কাজ করার সংকল্পকে নিয়ত বলা হয়। সৎকাজ করে পুণ্য লাভ করতে হলে তাঁর উদ্দেশ্যও সৎ হতে হবে। কাজের শুভ পরিনতি লাভের জন্য ভালো নিয়ত বা সৎ উদ্দেশ্য একান্ত অপরিহার্য। যথাযথ নিয়ত বা সংকল্প ব্যাতিরেকে আমল সঠিক, পরিপূর্ণ ও পুন্যবহ হতে পারে না।
হিজরত অর্থ পরিত্যাগ করা। এক বস্ত হতে অন্য বস্তুর দিকে প্রস্থান করাকে হিজরত বলা হয়। শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ্ এবং তদীয় রাসুল (সাঃ) যা নিষেধ করেছে তা পরিহার করাকে হিজরত বলে। ইসলামী শরীয়তে দু'ভাবে হিজরত হতে পারে।
১) ভয়-ভীতিপূর্ণ ভূখণ্ড হতে হিজরত করে শান্তিপূর্ণ ভূখণ্ডে চলে যাওয়া। যেমনঃ ইসলামের প্রথম দিকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুমতিক্রমে কিছু সংখ্যক সাহাবী মক্কাবাসীদের অত্যাচারের আশঙ্কায় শান্তি ও নিরাপত্তাপূর্ণ ভূখণ্ড হাবশায় হিজরত করেছিলেন। এমনিভাবে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও আল্লাহর নির্দেশক্রমে মক্কা হতে সঙ্গী-সাথীসহ মদীনায় হিজরত করেছিলেন।
২) যে ভূখণ্ডে কাফেরদের প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়েছে সেই ভূখণ্ডে অবস্থান করে ঈমান রক্ষা করা অসম্ভব হলে মু'মিনদের প্রভাবিত নিরাপদ ভূখণ্ডে হিজরত করে চলে যাওয়ায় একান্ত যুক্তিযুক্ত। এই জাতীয় হিজরতের অবকাশ সর্বদাই রয়েছে।
এই হাদিসটি মুহাজিরে উম্মে কায়েসের নামে মুহাদ্দিস মহলে পরিচিত। ঘটনার সারমর্ম এই যে, উম্মে কায়েস নাম্নী এক মহিলার নিকট এক ব্যাক্তি বিবাহের প্রস্তাব দিলে সে ঐ ব্যাক্তির হিজরত না করা পর্যন্ত তাঁর সাথে বিবাহে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। ফলে সেই ব্যাক্তি উম্মে কায়েসকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হিজরত করে মদীনায় আগমনপূর্বক তাঁর সাথে দাম্পত্য প্রণয় স্থাপন করে। এই লোকটিকে মুহাজিরে উম্মে কায়েস নামে অভিহিত করা হয়। ওহীর প্রারম্ভ পরবের সাথে হাদিসটির সামঞ্জস্য বিধানের ব্যাপারে হাদিসের ভাষ্যকরগন বিভিন্ন মতামত ব্যাক্ত করেছেন। তাঁর সার সংক্ষেপ নিম্নরূপঃ
প্রথমতঃ মহান আল্লাহ্ নবী রাসুলগনকে সাধারনভাবে এবং বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে বিশেষভাবে এ মর্মে ওহী করেছেন যে, আমলসমূহের পারিতোষিক সহিহ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। কাজেই আমল সম্বলিত অহীর বর্ণনা প্রসঙ্গে সর্বপ্রথমে এই হাদিসটির সংকলন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে সঙ্গতভাবেই বিবেচনা করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ ইমাম বুখারী (রাহেমাহুল্লাহ) তার সহিহ হাদিস গ্রন্থের সূচনায় এই হাদিসটি সংকলন করে নিয়তের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা হতে হিজরত করে মদীনায় গমনপূর্বক খুতবা দান প্রসঙ্গে এই হাদিস বলেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ওহী প্রাপ্তির সূচনাই ছিল হিজরত। তিনি তদীয় বাসস্থান হতে হিজরত করে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় সর্বপ্রথম ওহীর সন্ধান লাভ করেছিলেন। সুতরাং ওহীর প্রারম্ভ পর্বের সাথে হিজরত সম্বলিত এই হাদিসটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
তৃতীয়তঃ কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করতে হলে নিয়তকে খালেস করা একান্ত অপরিহার্য। ইমাম বুখারী (রাহেমাহুল্লাহ) তাঁর সহীহ গ্রন্থ সংকলনের ন্যায় একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করতে গিয়ে প্রথমে নিয়ত এবং হিজরতের গুরুত্ব সম্বলিত এই হাদিসটি সংকলন করার মাধ্যমে বরকত হাসিল করার ইচ্ছা করেছেন। অধ্যায়ের সাথে হাদিসটির সামঞ্জস্য বিধানের অনুকুলে আরও অনেক যুক্তি প্রমান পেশ করা যেতে পারে।
আলোচ্য হাদিসে মুহাদ্দিস ইমামগণের ব্যাখ্যা হতে সুস্পষ্টতঃই জানা যায় যে, নিয়ত অন্তরের ব্যাপার, মুখে উচ্চারণ করার ব্যাপার নয়। কুরআন-হাদিসের কোথাও নামায, রোজা বা যে কোন আমলের আরম্ভ করার পূর্বে কোন ভাষায় মুখে উচ্চারণপূর্বক নিয়ত করতে হবে এমন কোনই প্রমান নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়ী ও তাবা-তাবেয়ীদের আমলেও মুখে নিয়ত উচ্চারনের প্রমান বিদ্যমান নেই। শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী বলেন, “মুখে উচ্চারণ না করার মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নতের অনুসরণ রয়েছে-“ আশে’আতুল লোম’আত। বহু গ্রন্থ প্রণেতা আশরাফ আলী থানভী (রাহেমাহুল্লাহ) লিখেছেনঃ “মুসল্লি মনে মনে নামাযের নিয়ত বা সংকল্প করবে যে, আমি যোহরের নামায পড়তেছি। তারপর আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধলেই হয়ে যাবে। সমাজে প্রচলিত লম্বা-চওড়া নিয়ত পাঠের প্রয়োজনীয়তা নাই।“ (বেহেশতী জেওর ২য় খণ্ড ১৭,১৮ পৃষ্ঠা) মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী (রাহেমাহুল্লাহ) লিখেছেন, “অন্তরেই নামাজের মনস্থ করে নিতে হবে। অর্থাৎ মনে মনে ধারনা করবে যে, আমি ফজরের নামায পড়তেছি। মুখে নিয়ত করার কোনই প্রয়োজন নেই”। (রাহে নাজাতঃ ৯ পৃষ্ঠা)
টীকাঃ চার মাযহাবের ইমামগন একমত হয়েছেন যে, নিয়ত ব্যাতিত নামায শুদ্ধ হবে না। (কিতাবুল ফিকহে “আলাল মাযাহিবিল আরবাআহঃ ১ম খণ্ড ২১০ পৃষ্ঠা)
পরিচ্ছেদঃ ২৩২৩. আল্লাহর বাণীঃ যারা নিজেরা যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং নিজেরা যা করেনি এমন কার্যের জন্যে প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে, এরূপ আপনি কখনো মনে করবেন না। তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে (৩ঃ ১৮৮)
৪২১২। ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... আলকামা ইবনু ওয়াক্কাস অবহিত করেছেন যে, মারওয়ান (র.) তাঁর দারোয়ানকে বললেন, হে নাফি! তুমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর কাছে গিয়ে বল, যদি প্রাপ্ত বস্তুতে আনন্দিত এবং করেনি এমন কাজ সম্পর্কে প্রশংসিত হতে আশাবাদী প্রত্যেক ব্যাক্তই শাস্তি প্রাপ্ত হয় তাহলে তাবৎ মানুষই শাস্তি প্রাপ্ত হবে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, এটা নিয়ে তোমাদের মাথা ঘামানো হচ্ছে একটা অবান্তর ব্যাপার। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদীদেরকে ডেকে একটা বিষয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাতে তারা সত্য গোপন করে বিপরীত তথ্য দিয়েছিল। এতদসত্বেও তারা প্রদত্ত উত্তরের বিনিময়ে প্রশংসা লাভের আশা করেছিল এবং তাদের সত্য গোপনের জন্য উল্লাসিত হয়েছিল।
তারপর ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাঠ করলেন-وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ) ... (يَفْرَحُونَ بِمَا أَتَوْا وَيُحِبُّونَ أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا ’’স্মরণ কর, যদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, তোমরা এটা মানুষের কাছে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে এবং তা গোপন করবে না। এরপরও তারা তা অগ্রাহ্য করে এবং তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে। অতএব তারা যা ক্রয় করে তা কত নিকৃষ্ট! যারা নিজেরা যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং যা করেনি এমন কাজের জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে এরূপ তুমি কখনো মনে করো না, তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে (৩ঃ ১৮৭-১৮৮)।
বর্ণনাকারী আবদুর রাযযাক (রহঃ) ইবনু জুরায়য (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب لا يحسبن الذين يفرحون بما أتوا
حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ مَرْوَانَ قَالَ لِبَوَّابِهِ اذْهَبْ يَا رَافِعُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْ لَئِنْ كَانَ كُلُّ امْرِئٍ فَرِحَ بِمَا أُوتِيَ، وَأَحَبَّ أَنْ يُحْمَدَ بِمَا لَمْ يَفْعَلْ، مُعَذَّبًا، لَنُعَذَّبَنَّ أَجْمَعُونَ. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَمَا لَكُمْ وَلِهَذِهِ إِنَّمَا دَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَهُودَ فَسَأَلَهُمْ عَنْ شَىْءٍ، فَكَتَمُوهُ إِيَّاهُ، وَأَخْبَرُوهُ بِغَيْرِهِ، فَأَرَوْهُ أَنْ قَدِ اسْتَحْمَدُوا إِلَيْهِ بِمَا أَخْبَرُوهُ عَنْهُ فِيمَا سَأَلَهُمْ، وَفَرِحُوا بِمَا أُوتُوا مِنْ كِتْمَانِهِمْ، ثُمَّ قَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ (وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ) كَذَلِكَ حَتَّى قَوْلِهِ (يَفْرَحُونَ بِمَا أَتَوْا وَيُحِبُّونَ أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا). تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ.
Narrated Alqama bin Waqqas:
Marwan said to his gatekeeper, "Go to Ibn `Abbas, O Rafi`, and say, 'If everybody who rejoices in what he has done, and likes to be praised for what he has not done, will be punished, then all of us will be punished." Ibn `Abbas said, "What connection have you with this case? It was only that the Prophet (ﷺ) called the Jews and asked them about something, and they hid the truth and told him something else, and showed him that they deserved praise for the favor of telling him the answer to his question, and they became happy with what they had concealed. Then Ibn `Abbas recited:-- "(And remember) when Allah took a Covenant from those who were given the Scripture..and those who rejoice in what they have done and love to be praised for what they have not done.' " (3.187-188)
পরিচ্ছেদঃ ১৬. দাঁড়িয়ে ও বসে নফল সালাত আদায় এবং একই রাক’আতের অংশবিশেষ দাঁড়িয়ে ও অংশবিশেষ বসে আদায় করার বৈধতা
১৫৮০। ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আলকামা ইবনু ওয়াক্কাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উপবিষ্ট অবস্থায় সালাত আদায় করতেন, তখন সে দু’ রাক’আতে কিরূপ করতেন? তিনি বললেন, সে দু’ রাকা’আতে তিনি কির’আত পাঠ করতেন। যখন রুকু করার ইচ্ছা করতেন তখন দাঁড়িয়ে যেতেন, এরপর রুকু করতেন।
باب جَوَازِ النَّافِلَةِ قَائِمًا وَقَاعِدًا وَفِعْلِ بَعْضِ الرَّكْعَةِ قَائِمًا وَبَعْضِهَا قَاعِدًا
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ كَيْفَ كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَالَتْ كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ .
Alqama b. Waqqas reported:
I asked 'A'isha how the Messenger of Allah (ﷺ) did in the two rak'ahs as he (observed them) sitting. She said: He would recite (the Qur'an) in them, and when he intended to bow, he would stand up and then bowed.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৫. যে শব্দের দ্বারা তালাকের ইচ্ছা বোঝায় তা এবং নিয়্যাত।
২১৯৮. মুহাম্মদ ইবন কাসীর ..... আলকামা ইবন ওয়াক্কাস আল্ লায়সী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ সমস্ত কাজ নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল।আর প্রত্যেক ব্যক্তি যে কাজের জন্য যে নিয়্যাত করে, তা তদ্রুপ হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও রাসূলের জন্য হয়। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার কিছু লাভের উদ্দেশ্যে হিজরত করে বা কোন স্ত্রীলোককে বিবাহের উদ্দেশ্যে হিজরত করে, এমতাবস্থায় সে যে নিয়্যাতে হিজরত করে, সে তা-ই প্রাপ্ত হবে।
باب فِيمَا عُنِيَ بِهِ الطَّلاَقُ وَالنِّيَّاتُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ " .
‘Umar bin Al Khattab reported the Apostle of Allaah(ﷺ) as saying “Actions are to be judged only by intentions and a man will have only what he intended. When one’s emigration is to Allaah and His Apostle, his emigration is to Allaah and His Apostle but his emigration is to a worldly end at which he aims or to a woman whom he marries , his emigration is to that for which he emigrated.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬/ মুয়াজ্জিন যখন "হাইয়া-আলাস সালাত - হাইয়া-আলাল ফালাহ" বলবেন, শ্রোতাগণ কি বলবে?
৬৭৮। মুজাহিদ ইবনু মুসা ও ইবরাহীম ইবনু হাসান (রহঃ) ... আলকামা ইবনু ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুআবিয়া (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। যখন তাঁর মুয়াযয়িন আযান দিলেন তখন মুআবিয়া সে বাক্যগুলো বললেন, যেগুলো মুয়াযযিন বলছিলেন। মুয়াযযিন যখন বললেন, حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ তখন তিনি বললেনঃ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ মুয়াযযিন যখন حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ বললেন, তিনি বললেন لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ তারপর মুয়াযযিন যে বাক্য বললেন, তিনিও সে বাক্য বললেন। তারপর বললেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এরূপ বলতে শুনেছি।
أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْمِقْسَمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، أَنَّ عِيسَى بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، قَالَ إِنِّي عِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ أَذَّنَ مُؤَذِّنُهُ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ كَمَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ حَتَّى إِذَا قَالَ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ فَلَمَّا قَالَ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ وَقَالَ بَعْدَ ذَلِكَ مَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ .
It was narrated that 'Alqamah bin Waqqas said:
"I was with Mu'awiyah when the Mu'adhdhin called the Adhan. Muawiyah said what the Mu'adhdhin said, but when he said: 'Hayya 'alas-salah (come to prayer),' he said: 'La hawla wa la quwwata illa Billah (There is no power and no strength except with Allah);' and when he said: 'Hayya 'alal-falah (come to prosperity),' he said: 'La hawla wa la quwwata illa Billah (There is no power and no strength except with Allah).' After that he said what the Mu'adhdhin said, then he said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying exactly like that.'"
পরিচ্ছেদঃ ২৪. কথা বলে, তার একটি অর্থ উদ্দেশ্য করা
৩৪৪১. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... আলকামা ইবন ওক্কাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের সকল কাজের ফলাফল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়ত করে। অতএব যার হিজরত আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের দিকে হয়, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকেই হবে। আর যদি কারো হিজরতের উদ্দেশ্য দুনিয়া উপাৰ্জন করা হয়, অথবা কোন রমণীকে বিবাহ করা হয়, তাহলে তার হিজরত হবে যার জন্য সে হিজরত করেছে।
بَاب الْكَلَامِ إِذَا قُصِدَ بِهِ فِيمَا يَحْتَمِلُ مَعْنَاهُ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَفِي حَدِيثِ الْحَارِثِ أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوَى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ
It was narrated that 'Umar bin Al-Khattab, may Allah be pleased with him, said that the Messenger of Allah said:
"Actions are but by intentions, and each man will have but that which he intended. Whoever emigrated for the sake of Allah and His Messenger, his emigration was for the sake of Allah and His Messenger, and whoever emigrated for the sake of some worldly gain or to marry some woman, his emigration was for that for which he emigrated."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৩/১৬. আল্লাহর বাণীঃ তুমি কখনও মনে কর না যে, যারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আনন্দিত হয় এবং নিজেরা যা করেনি তার জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা আযাব থেকে পরিত্রাণ পাবে। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সূরাহ আলে ‘ইমরান ৩/১৮৮)
৪৫৬৮. ’আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস অবহিত করেছেন যে, মারওয়ান (রহ.) তাঁর দারোয়ানকে বললেন, হে নাফি’! তুমি ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে বল, যদি প্রাপ্ত বস্তুতে আনন্দিত এবং করেনি এমন কাজ সম্পর্কে প্রশংসিত হতে আশাবাদী প্রত্যেক ব্যক্তিরই শাস্তি প্রাপ্য হয় তাহলে সকল মানুষই শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, এটা তোমাদের মাথা ঘামানোর বিষয় নয়। একদা নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদীদেরকে ডেকে একটা বিষয় জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাতে তারা সত্য গোপন করে বিপরীত তথ্য দিয়েছিল। এতদসত্ত্বেও তারা তাদের দেয়া উত্তরের বিনিময়ে প্রশংসা অর্জনের আশা করেছিল এবং তাদের সত্য গোপনের জন্যে আনন্দিত হয়েছিল।
তারপর ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) পাঠ করলেন- يَفْرَحُوْنَ بِمَآ أَتَوْا وَّيُحِبُّوْنَ أَنْ يُّحْمَدُوْا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوْا وَإِذْ أَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتَابَ ’’স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন আহলে কিতাবের, তোমরা মানুষের কাছে কিতাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে এবং তা গোপন করবে না। কিন্তু তারা সে প্রতিশ্রুতি নিজেদের পেছনে ফেলে রাখল এবং তার পরিবর্তে নগণ্য বিনিময় গ্রহণ করল। সুতরাং তারা যা বিনিময় গ্রহণ করল কত নিকৃষ্ট তা! তুমি কখনও মনে কর না যে, যারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আনন্দিত হয় এবং নিজেরা যা করেনি তার জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা আযাব থেকে পরিত্রাণ পাবে। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’’- (সূরাহ আলে ইমরান ৩/১৮৭-১৮৮)। বর্ণনাকারী ’আবদুর রায্যাক (রহ.) ইবনু জুরাইজ (রহ.) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২০৯)
ইবনু মুকাতিল (রহ.) ....... হুমায়দ ইবনু ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) অবহিত করেছেন যে, মারওয়ান এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ৫০/হাঃ ২৭৭৮, আহমাদ ২৭১২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২১০)
بَاب :{لَا يَحْسِبَنَّ الَّذِيْنَ يَفْرَحُوْنَ بِمَآ أَتَوْا}
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى أَخْبَرَنَا هِشَامٌ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ عَنْ ابْنِ أَبِيْ مُلَيْكَةَ أَنَّ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ مَرْوَانَ قَالَ لِبَوَّابِهِ اذْهَبْ يَا رَافِعُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْ لَئِنْ كَانَ كُلُّ امْرِئٍ فَرِحَ بِمَا أُوْتِيَ وَأَحَبَّ أَنْ يُحْمَدَ بِمَا لَمْ يَفْعَلْ مُعَذَّبًا لَنُعَذَّبَنَّ أَجْمَعُوْنَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَمَا لَكُمْ وَلِهَذِهِ إِنَّمَا دَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَهُوْدَ فَسَأَلَهُمْ عَنْ شَيْءٍ فَكَتَمُوْهُ إِيَّاهُ وَأَخْبَرُوْهُ بِغَيْرِهِ فَأَرَوْهُ أَنْ قَدْ اسْتَحْمَدُوْا إِلَيْهِ بِمَا أَخْبَرُوْهُ عَنْهُ فِيْمَا سَأَلَهُمْ وَفَرِحُوْا بِمَا أُوْتُوْا مِنْ كِتْمَانِهِمْ ثُمَّ قَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ : (وَإِذْ أَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتَابَ) كَذَلِكَ حَتَّى قَوْلِهِ : (يَفْرَحُوْنَ بِمَآ أَتَوْا وَّيُحِبُّوْنَ أَنْ يُّحْمَدُوْا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوْا) تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ ح
حَدَّثَنَا ابْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِيْ مُلَيْكَةَ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ مَرْوَانَ بِهَذَا.
Narrated Alqama bin Waqqas:
Marwan said to his gatekeeper, "Go to Ibn `Abbas, O Rafi`, and say, 'If everybody who rejoices in what he has done, and likes to be praised for what he has not done, will be punished, then all of us will be punished." Ibn `Abbas said, "What connection have you with this case? It was only that the Prophet (ﷺ) called the Jews and asked them about something, and they hid the truth and told him something else, and showed him that they deserved praise for the favor of telling him the answer to his question, and they became happy with what they had concealed. Then Ibn `Abbas recited:-- "(And remember) when Allah took a Covenant from those who were given the Scripture..and those who rejoice in what they have done and love to be praised for what they have not done.' " (3.187-188)
Humaid bin `Abdur-Rahman bin `Auf narrated that Marwan had told him (the above narration).
পরিচ্ছেদঃ (মুনাফিক ও তাদের হুকুম)
১৭৭১. ’আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস অবহিত করেছেন যে, মারওয়ান (রহঃ) তাঁর দারোয়ানকে বললেন, হে নাফি’! তুমি ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে বল, যদি প্রাপ্ত বস্তুতে আনন্দিত এবং করেনি এমন কাজ সম্পর্কে প্রশংসিত হতে আশাবাদী প্রত্যেক ব্যক্তিরই শাস্তি প্রাপ্য হয় তাহলে সকল মানুষই শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, এটা তোমাদের মাথা ঘামানোর বিষয় নয়। একদা নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদীদেরকে ডেকে একটা বিষয় জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাতে তারা সত্য গোপন করে বিপরীত তথ্য দিয়েছিল। এতদসত্ত্বেও তারা তাদের দেয়া উত্তরের বিনিময়ে প্রশংসা অর্জনের আশা করেছিল এবং তাদের সত্য গোপনের জন্যে আনন্দিত হয়েছিল।
তারপর ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) পাঠ করলেন- يَفْرَحُوْنَ بِمَآ أَتَوْا وَّيُحِبُّوْنَ أَنْ يُّحْمَدُوْا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوْا وَإِذْ أَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتَابَ ’’স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন আহলে কিতাবের, তোমরা মানুষের কাছে কিতাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে এবং তা গোপন করবে না। কিন্তু তারা সে প্রতিশ্রুতি নিজেদের পেছনে ফেলে রাখল এবং তার পরিবর্তে নগণ্য বিনিময় গ্রহণ করল। সুতরাং তারা যা বিনিময় গ্রহণ করল কত নিকৃষ্ট তা! তুমি কখনও মনে কর না যে, যারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আনন্দিত হয় এবং নিজেরা যা করেনি তার জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা আযাব থেকে পরিত্রাণ পাবে। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’’- (সূরা আলে ইমরান ৩/১৮৭-১৮৮)।
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، أَنَّ مَرْوَانَ قَالَ لِبَوَّابِهِ: اذْهَبْ يَا رَافِعُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقُلْ: لَئِنْ كَانَ كُلُّ امْرٍىءٍ فَرِحَ بِمَا أُوتِيَ، وَأَحَبَّ أَنْ يُحْمَدَ بِمَا لَمْ يَفْعَلْ مُعَذَّبًا، لَنُعَذَّبَنَّ أَجْمعُونَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاس: وَمَا لَكُمْ وَلِهذِهِ إِنَّمَا دَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَهُودَ، فَسَأَلَهُمْ عَنْ شَيْءٍ، فَكَتَمُوهُ إِيَّاهُ، وَأَخْبَرُوهُ بِغَيْرِهِ فَأَرَوْهُ أَنْ قَدِ اسْتَحْمَدُوا إِلَيْهِ بِمَا أَخْبَرُوهُ عَنْهُ فِيمَا سَأَلَهُمْ وَفَرِحُوا بِمَا أُوتُوا مِنْ كِتْمَانِهِمْ ثُمَّ قَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ (وَإِذْ أَخَذَ اللهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ) كَذلِكَ، حَتَّى قَوْلِهِ (يَفْرَحُونَ بِمَا أَتَوْا وَيُحِبُّونَ أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلوا)
পরিচ্ছেদঃ ১৬. দাঁড়িয়ে ও বসে নফল সালাত আদায় এবং একই রাকাআতের অংশ বিশেষ দাঁড়িয়ে ও অংশ বিশেষ বসে আদায় করার বৈধতা
১৫৯২-(১১৪/...) ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আলকামাহ ইবনু ওয়াক্কাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রাতের বেলার দু’ রাকাআত সালাত বসে কীভাবে আদায় করতেন জবাবে আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’ রাকাআত সালাতে কিরআত পড়তেন। তারপর রুকূ’ করার সময় উঠে দাঁড়িয়ে রুকূ করতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৫৭৭, ইসলামীক সেন্টার ১৫৮৪)
باب جَوَازِ النَّافِلَةِ قَائِمًا وَقَاعِدًا وَفِعْلِ بَعْضِ الرَّكْعَةِ قَائِمًا وَبَعْضِهَا قَاعِدًا
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ كَيْفَ كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَالَتْ كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ .
Alqama b. Waqqas reported:
I asked 'A'isha how the Messenger of Allah (ﷺ) did in the two rak'ahs as he (observed them) sitting. She said: He would recite (the Qur'an) in them, and when he intended to bow, he would stand up and then bowed.
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে শব্দ দ্বারা তালাক হতে পারে বা এবং নিয়্যাত
২২০১। ’আলকামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লাইসী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযি.)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল কাজ নিয়্যাত অনুযায়ী হয়। কোনো ব্যক্তি যা নিয়্যাত করে সেটা তাই হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে হিজরত করলো, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হলো এবং যে ব্যক্তি দুনিয়াবী স্বার্থে অথবা কোনো নারীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে হিজরত করলো, তার হিজরত সেই উদ্দেশ্যেই হবে যা সে নিয়্যাত করেছে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِيمَا عُنِيَ بِهِ الطَّلَاقُ وَالنِّيَّاتُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا، أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ
صحيح
‘Umar bin Al Khattab reported the Apostle of Allaah(ﷺ) as saying “Actions are to be judged only by intentions and a man will have only what he intended. When one’s emigration is to Allaah and His Apostle, his emigration is to Allaah and His Apostle but his emigration is to a worldly end at which he aims or to a woman whom he marries , his emigration is to that for which he emigrated.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬: মুয়াযযিন যখন “হাইয়্যা ‘আলাস সালা-হ, হাইয়্যা আলাল ফালা-হ” বলবেন, শ্রোতাগণ কি বলবে?
৬৭৭. মুজাহিদ ইবনু মূসা ও ইব্রাহীম ইবনুল হাসান আল মিকসামী (রহ.) ..... ’আলকামাহ্ ইবনু ওয়াক্কাস (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) -এর নিকটে ছিলাম। যখন তাঁর মুয়াযযিন আযান দিলেন তখন মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) সে বাক্যগুলো বললেন, যেগুলো মুয়াযযিন বলছিলেন। মুয়াযযিন যখন বললেন, “হাইয়্যা আলাস্ সলা-হ”, তখন তিনি বললেন, “লা- হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। মুয়াযযিন যখন “হাইয়্যা আলাল ফালা-হ” বললেন, তখন তিনি বললেন, “লা- হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। তারপর মুয়াযযিন যে বাক্য বললেন, তিনিও সে বাক্য বললেন। তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে এরূপ বলতে শুনেছি।
القول إذا قال المؤذن حي على الصلاة حي على الفلاح
أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْمِقْسَمِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قال ابْنُ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، أَنَّ عِيسَى بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، قال: إِنِّي عِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ أَذَّنَ مُؤَذِّنُهُ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ كَمَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ، حَتَّى إِذَا قَالَ: حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، قَالَ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، فَلَمَّا قَالَ: حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، قَالَ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، وَقَالَ بَعْدَ ذَلِكَ مَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ ، ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ.
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۱۱۴۳۱)، مسند احمد ۴/۹۱، ۹۸، سنن الدارمی/الصلاة ۱۰ (۱۲۳۹) (حسن)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 678 - حسن
36. What Is To Be Said When The Mu'adhdhin Says Hayya 'Alas-Salah, Hayya 'Alal Falah (Come To Prayer; Come To Prosperity)
It was narrated that 'Alqamah bin Waqqas said: I was with Mu'awiyah when the Mu'adhdhin called the Adhan. Muawiyah said what the Mu'adhdhin said, but when he said: 'Hayya 'alas-salah (come to prayer),' he said: 'La hawla wa la quwwata illa Billah (There is no power and no strength except with Allah);' and when he said: 'Hayya 'alal-falah (come to prosperity),' he said: 'La hawla wa la quwwata illa Billah (There is no power and no strength except with Allah).' After that he said what the Mu'adhdhin said, then he said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying exactly like that.'
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াতে শাসকদের নিকট হক কথা বলার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার আশা সম্পর্কে আলোচনা
২৮০. আলকামাহ বিন ওয়াক্কাস রহিমাহুল্লাহ বলেন, মদীনার একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে এসময় তিনি মদীনার বাজারে বসে ছিলেন, তখন আলকামাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন: “হে ওমুক, আপনার কিছু দায়িত্ব আছে এবং কিছু অধিকার আছে। আমি দেখছি যে, আপনি শাসকদের কাছে যাতায়াত করেন এবং তাদের সাথে কথাবার্তা বলেন। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী বিলাল বিন হারিস আল মুযানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে শুনেছি, তিনি বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ দিবস পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের কেউ আল্লাহর অসন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।”[1]
قَالَ عَلْقَمَةُ: انْظُرْ وَيْحَكَ مَاذَا تَقُولُ وَمَاذَا تَكَلَّمُ بِهِ فرُبَّ كَلَامٌ قَدْ مَنَعَنِي مَا سَمِعْتُهُ مِنْ بِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ.
আলকামাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আপনি খেয়াল রাখবেন যে, আপনি কি কথা বলছেন আর কি সম্পর্কে কথা বলছেন। বিলাল বিন হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই হাদীস শোনার পর অনেক কথা বলা থেকে বিরত থেকেছি।”
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৮৮৮।)
ذِكْرُ رَجَاءِ تَمَكُّنِ الْمَرْءِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا فِي الْقِيَامَةِ بِقَوْلِهِ الْحَقَّ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ فِي الدُّنْيَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْأَشْعَثِ السِّجِسْتَانِيُّ أَبُو بَكْرٍ بِبَغْدَادَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ: مرَّ بِهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَهُ شَرَفٌ وَهُوَ جَالِسٌ بِسُوقِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ عَلْقَمَةُ: يَا فُلَانُ إِنَّ لَكَ حُرمة وَإِنَّ لَكَ حَقًّا وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُكَ تَدْخُلُ عَلَى هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءِ فَتَكَلَّمُ عِنْدَهُمْ وَإِنِّي سَمِعْتُ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ ـ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّ أَحَدَكُمْ ليتكلَّم بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تبلُغ مَا بَلَغَتْ فيكتُب اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يوم القيامة.)
الراوي : عَلْقَمَةُ عَنْ بِلَال بْن الْحَارِثِ الْمُزَنِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 280 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি শাসকদের নিকট গমন করে এমন কথা বলে, যার অনুমোদন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেননি, সে ব্যক্তির প্রতি আল্লাহর অসন্তুষ্টি অবধারিত
২৮৭. আলকামাহ বিন ওয়াক্কাস রহিমাহুল্লাহ তাঁর পিতা, তিনি তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “আমরা তাঁর সাথে বাজারে বসে ছিলাম, এসময় মদীনার একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে তখন তিনি তাকে বলেন: “ভাতিজা, তোমার হক আছে। তুমি তো শাসকদের কাছে যাতায়াত করো এবং তাদের সাথে কথাবার্তা বলো। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী বিলাল বিন হারিস আল মুযানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “তোমাদের কেউ এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের কেউ এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।” কাজেই হে আমার ভাতিজা, তুমি লক্ষ্য রেখো তুমি কি কথা বলছো, কি আলোচনা করছো। বিলাল বিন হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই হাদীস শোনার পর অনেক কথা বলা থেকে বিরত থেকেছি।” [1]
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৮৮৮।)
ذِكْرُ إِيجَابِ سَخَطِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا لِلدَّاخِلِ عَلَى الْأُمَرَاءِ الْقَائِلِ عِنْدَهُمْ بِمَا لَا يَأْذَنُ بِهِ اللَّهُ وَلَا رَسُولُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا بَكْرُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ الطَّاحِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كُنَّا مَعَهُ جُلُوسًا فِي السُّوقِ فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَهُ شَرَفٌ فَقَالَ لَهُ: يَا ابْنَ أَخِي إِنَّ لَكَ حَقًّا وَإِنَّكَ لَتَدْخُلُ عَلَى هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءِ وتَكَلَّمُ عِنْدَهُمْ وَإِنِّي سَمِعْتُ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ ـ صَاحِبَ رسول الله صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يَقُولُ: (إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ وَلَا يُراها بَلَغَتْ حَيْثُ بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضَاهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَإِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ لَا يُراها بَلَغَتْ حَيْثُ بَلَغَتْ يَكْتُبُ اللَّهُ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ) فَانْظُرْ يَا ابْنَ أَخِي مَا تَقُولُ وَمَا تَكَلَّمُ فرُبَّ كَلَامٍ كَثِيرٍ قَدْ مَنَعَنِي مَا سَمِعْتُ من بلال بن الحارث.
الراوي : عَلْقَمَةُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 287 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.