পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭০. মুহাম্মদ ইবন মানসূর ...... সাঈদ ইবন জুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে বলি, হে আবুল আব্বাস! আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখে আশ্চর্যান্বিত হই যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জের জন্য কখন ইহরাম বাঁধতেন।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে সকলের চেয়ে অধিক জানি। তা এই যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাত্র একবারই হজ্জ করেছেন। আর এ কারণেই লোকেরা মতানৈক্য করছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদীনা হতে) হজ্জে রওনা হন। তিনি পথিমধ্যে যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে অবতরণ করে সেখানকার মসজিদে (ইহরামের জন্য) দুই রাক’আত নামায আদায় করেন। এই দুই রাক’আত নামায শেষে তিনি হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। এ সময় কিছু লোক তাঁর তালবিয়া পাঠ শোনেন এবং তারা এটা তাঁর নিকট হতে সংরক্ষণ করেন।
অতঃপর তিনি তাঁর উষ্ট্রীতে সাওয়ার হন। তারা যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে চলতে শুরু করে তখন তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন। কিছু লোক তাঁর নিকট হতে এটা শুনে সংরক্ষণ করেন। আর এ ব্যাপারটি (অর্থাৎ তালবিয়া শুরু) সম্পর্কে মতানৈক্যের কারণ এই যে, লোকেরা এ সময় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে তাঁর নিকট আসা-যাওয়া করতো। এমতাবস্থায় তারা তাঁকে উটের উপর বসে চলমান অবস্থায় তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছিলেন। সে কারণে তাদের ধারণা হল যে, তিনি তখন হতেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেন যখন তাঁর উষ্ট্রী তাঁকে নিয়ে চলতে শুরু করে। (বস্তুত তারা জানত না যে, তিনি ইতিপূর্বেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেছেন।)
এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্মুখে অগ্রসর হন। তিনি যখন বায়দার উচ্চভূমিতে ওঠেন, তখন সেখানেও তালবিয়া পাঠ করেন। এখানে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তা শুনতে পেয়ে বলেন, তিনি বায়দার উচ্চভূমিতে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায়ের পরই ইহরাম বাঁধেন এবং জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন, যখন তিনি উষ্ট্রীর পৃষ্ঠে সাওয়ার হন। বায়দার উচ্চভূমিতেও তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করেন।
রাবী সাঈদ বলেন, যে ব্যাক্তি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর বর্ণনানুযায়ী কাজ করে, সে যেন দু রাকআত সালাত আদায়ের পর ইহরাম বাঁধেন এবং তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي خُصَيْفُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ يَا أَبَا الْعَبَّاسِ عَجِبْتُ لاِخْتِلاَفِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي إِهْلاَلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَوْجَبَ . فَقَالَ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِذَلِكَ إِنَّهَا إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ فَمِنْ هُنَاكَ اخْتَلَفُوا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا فَلَمَّا صَلَّى فِي مَسْجِدِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْهِ أَوْجَبَ فِي مَجْلِسِهِ فَأَهَلَّ بِالْحَجِّ حِينَ فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ فَسَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَحَفِظْتُهُ عَنْهُ ثُمَّ رَكِبَ فَلَمَّا اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ وَذَلِكَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا كَانُوا يَأْتُونَ أَرْسَالاً فَسَمِعُوهُ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ يُهِلُّ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أَوْجَبَ فِي مُصَلاَّهُ وَأَهَلَّ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ وَأَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ . قَالَ سَعِيدٌ فَمَنْ أَخَذَ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَهَلَّ فِي مُصَلاَّهُ إِذَا فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Sa'id ibn Jubayr said: I said to Abdullah ibn Abbas: AbulAbbas, I am surprised to see the difference of opinion amongst the companions of the Apostle (ﷺ) about the wearing of ihram by the Messenger of Allah (ﷺ) when he made it obligatory.
He replied: I am aware of it more than the people. The Messenger of Allah (ﷺ) performed only one hajj. Hence the people differed among themselves. The Messenger of Allah (ﷺ) came out (from Medina) with the intention of performing hajj. When he offered two rak'ahs of prayer in the mosque at Dhul-Hulayfah, he made it obligatory by wearing it.
At the same meeting, he raised his voice in the talbiyah for hajj, when he finished his two rak'ahs. Some people heard it and I retained it from him. He then rode (on the she-camel), and when it (the she-camel) stood up, with him on its back, he raised his voice in the talbiyah and some people heard it at that moment. This is because the people were coming in groups, so they heard him raising his voice calling the talbiyah when his she-camel stood up with him on its back, and they thought that the Messenger of Allah (ﷺ) had raised his voice in the talbiyah when his she-camel stood up with him on its back.
The Messenger of Allah (ﷺ) proceeded further; when he ascended the height of al-Bayda' he raised his voice in the talbiyah. Some people heard it at that moment. They thought that he had raised his voice in the talbiyah when he ascended the height of al-Bayda'. I swear by Allah, he raised his voice in the talbiyah at the place where he prayed, and he raised his voice in the talbiyah when his she-camel stood up with him on its back, and he raised his voice in the talbiyah when he ascended the height of al-Bayda'.
Sa'id (ibn Jubayr) said; He who follows the view of Ibn Abbas raises his voice in talbiyah (and ihram) at the place of is prayer after he finishes two rak'ahs of his prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭১. আল কা’নবী (রহঃ) .... সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) থেকে তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদেরএ বায়দার উচ্চভূমি- যদ্দরুন তোমরা (অজ্ঞতাবশত) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যা দোষারোপ কর। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ হতে অর্থাৎ যুল-হুলায়ফার মসজিদ হতে (দুই রাকআত নামায আদায়ের পর) ইহরাম বাঁধেন এবং তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ .
Ibn `Umar said this is your al-Baida’ about which you ascribe falsehood to the Messenger of Allah (SWAS). He did not raise his voice in talbiyah but from the masjid, i.e. the mosque of Dhu al-Hulaifah.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭২. আল কা’নবী (রহঃ) .... উবায়দ ইবন জুরাইজ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ)-কে বলেন, হে আবূ আবদুর রাহমান! আমি আপনাকে চারটি কাজে লিপ্ত দেখি, যা আপনার সংগীদের কাউকে করতে দেখি না। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, হে ইবন জুরাইজ, তা কী?
তিনি বলেন, আমি আপনাকে কখনও দুই রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত অন্য রুকনগুলো স্পর্শ করতে দেখিনি। আর আমি আপনাকে এমন জুতা পরিধান করতে দেখি, যার চামড়ায় পশম নেই। আমি আপনাকে (কাপড় বা মাথা) হলুদ রং-এ রঞ্জিত করতে দেখি। আর আরো দেখি যে, যখন আপনি মক্কায় অবস্থান করেন আর সেখানকার অধিবাসীরা নতুন চাঁদ দেখার সাথে সাথেই ইহরাম বাঁধে, কিন্তু আপনি তালবিয়ার দিন (৮ই যিলহাজ্জ ) না আসা পর্যন্ত ইহরাম বাঁধেন না।
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) বলেন, রুকনগুলো (খানায়ে কা’বার কোনাগুলো) স্পর্শ করা সম্পর্কে আমার বক্তব্য এই যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উভয় রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত আর কোনো কোনা (রুকন) স্পর্শ করতে দেখিনি। আর পশমবিহীন জুতা সম্পর্কে আমার বক্তব্য হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন জুতা পরিধান করতে দেখেছি যাতে পশম ছিল না। তিনি উযূ করেও তা পরিধান করতেন। কাজেই আমিও তা পরিধান করতে ভালবাসি। আর হলুদ রং এর ব্যাপারে হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হলুদ রঙ দ্বারা রঞ্জিত হতে দেখেছি। তাই আমিও তা দ্বারা রঞ্জিত হতে ভালবাসি। আর ইহরাম বাঁধা (এ বিষয়ে) আমার বক্তব্য হল, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঐ সময় পর্যন্ত ইহরাম বাঁধতে দেখিনি, যতক্ষণ তিনি তাঁর বাহনে সাওয়ার না হতেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ رَأَيْتُكَ تَصْنَعُ أَرْبَعًا لَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِكَ يَصْنَعُهَا . قَالَ مَا هُنَّ يَا ابْنَ جُرَيْجٍ قَالَ رَأَيْتُكَ لاَ تَمَسُّ مِنَ الأَرْكَانِ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ وَرَأَيْتُكَ تَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ وَرَأَيْتُكَ تَصْبُغُ بِالصُّفْرَةِ وَرَأَيْتُكَ إِذَا كُنْتَ بِمَكَّةَ أَهَلَّ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْهِلاَلَ وَلَمْ تُهِلَّ أَنْتَ حَتَّى كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَمَّا الأَرْكَانُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمَسُّ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ وَأَمَّا النِّعَالُ السِّبْتِيَّةُ فِإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلْبَسُ النِّعَالَ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا شَعْرٌ وَيَتَوَضَّأُ فِيهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَلْبَسَهَا وَأَمَّا الصُّفْرَةُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْبُغُ بِهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَصْبُغَ بِهَا وَأَمَّا الإِهْلاَلُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ .
Ubayd ibn Jurayj said to Abdullah ibn Umar:
AbuAbdurRahman, I saw you doing things which I did not see being done by your companions.
He asked: What are they, Ibn Jurayj? He replied: I saw you touching only the two Yamani corners; and I saw you wearing shoes having no hair; I saw you dyeing in yellow colour; and I saw you wearing ihram on the eighth of Dhul-Hijjah, whereas the people had worn ihram when they sighted the moon.
Abdullah ibn Umar replied: As regards the corners, I have not seen the Messenger of Allah (ﷺ) touching anything (in the Ka'bah) but the two Yamani corners. As for the tanned leather shoes, I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) wearing tanned leather shoes, and he would wear them after ablution. Therefore I like to wear them. As regards wearing yellow, I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) wearing yellow, so I like to wear with it. As regards shouting the talbiyah, I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) raising his voice in talbiyah when his she-camel stood up with him on its back.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭৩. আহমাদ ইবন হাম্বল (রহঃ) .... আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় চার রাক’আত যুহরের নামায আদায় করেন এবং যুল-হুলায়ফাতে উপনীত হয়ে দুই রাক’আত আসরের নামায আদায় করেন। তিনি ভোর পর্যন্ত এখানে রাত যাপন করেন। তিনি সেখান থেকে (যুহরের নামায আদায়ের পর) স্বীয় বাহনে সাওয়ার হন এবং বায়দা নামক স্থানে উপনীত হয়ে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَصَلَّى الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ بَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ .
Anas said :
Messenger of Allah (SWAS) prayed four rak’ahs at Madinah and prayed two rak’ahs of afternoon prayer at Dhu-al Hulaifah. He then passed the night at Dhu-al Hulaifah till the morning came. When he rode on his mount and it stood up on its back, he raised his voice in talbiyah.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭৪. আহমাদ ইবন হাম্বল (রহঃ) .... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের নামায (যুল- হুলায়ফাতে) আদায় করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় বাহনে আরোহণ করে যখন বায়দার উচ্চভূমিতে উপনীত হন তখন তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ فَلَمَّا عَلاَ عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ .
Narrated Anas ibn Malik:
The Prophet (ﷺ) offered the noon prayer, and then rode on his mount. When he came to the hill of al-Bayda', he raised his voice in talbiyah.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭৫. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আয়েশা বিতন সা’দ আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ (রাঃ) বলেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (হজ্জের উদ্দেশে) আল ফুরা’আ নামক স্থানের দিকে যেতেন তখন সাওারির পিঠে চড়া মাত্রই তালবিয়া পড়তেন। তিনি যখন উহুদের পথে রওয়ানা হতেন, তখন আল বায়দা পর্বতে উঠার সময় তালবিয়া পড়তেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَتْ قَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَخَذَ طَرِيقَ الْفُرْعِ أَهَلَّ إِذَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ وَإِذَا أَخَذَ طَرِيقَ أُحُدٍ أَهَلَّ إِذَا أَشْرَفَ عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ .
Narrated Sa'd ibn Abi Waqqas:
When the Prophet of Allah (peace be upon him0 undertook his journey by the way of al-Far', he shouted talbiyah when his mount stood up with him on its back. But when he travelled by the way of Uhud, he raised his voice in Talbiyah when he ascended the hill of al-Bayda'.