পরিচ্ছেদঃ ৩৭. যুহর, আসর ও ফজর নামাযের কিরাআতের পরিমাণ
১২৪৯(১). আল-কাযী আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুহর ও আসরের নামাযে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাঁড়িয়ে থাকার সময়ের পরিমাণ অনুমান করতাম। আমরা যুহরের নামাযের প্রথম দুই রাকআতে তার দাঁড়ানোর সময় অনুমান করলাম তিরিশ আয়াত পাঠের সমপরিমাণ, প্রথম দুই রাকআতে সূরা আস-সাজদা পাঠের সম-পরিমাণ সময় এবং শেষের দুই রাতে তার অর্ধেক পরিমাণ সময়। আমরা তার আসরের নামাযের প্রথম দুই রাকআতে তাঁর কিয়ামের (দাঁড়ানোর) সময়ের পরিমাণ অনুমান করলাম যুহরের শেষ দুই রাআতের সমান এবং আসরের নামাযের শেষের দুই রাতে তাঁর কিয়ামের পরিমাণ অনুমান করলাম এর প্রথম দুই রাকআতের অর্ধেক সময়। এই হাদীস সহীহ এবং প্রমাণিত।
بَابُ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالصُّبْحِ
حَدَّثَنَا الْقَاضِي الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا يَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ ، ثَنَا هُشَيْمٌ ، ثَنَا مَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ، قَالَ : كُنَّا نَحْزُرُ قِيَامَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ ، فَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الظُّهْرِ قَدْرَ ثَلَاثِينَ آيَةً ، قَدْرَ سُورَةِ السَّجْدَةِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ ، وَفِي الْأُخْرَيَيْنِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ ، وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ فِي الْعَصْرِ ، عَلَى قَدْرِ الْأُخْرَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ ، وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ . هَذَا ثَابِتٌ صَحِيحٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. যুহর, আসর ও ফজর নামাযের কিরাআতের পরিমাণ
১২৫০(২). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ আল-বাজালী (রহঃ) ... কায়েস ইবনে আবু হাযেম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বসরায় ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর পিছনে নামায পড়েছি। তিনি প্রথম রাকআতে সূরা আল-ফাতিহা পড়ার পর সূরা আল-বাকারার প্রথম আয়াত পড়েন, তারপর দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়ান এবং সূরা আল-ফাতিহা পড়ার পর সূরা আল-বাকারার দ্বিতীয় আয়াত পড়েন, তারপর রুকূ করেন। তিনি নামাযশেষে আমাদের দিকে ফিরে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু পড়ো” (সূরা মুয্যামমিল : ২০)।
এই হাদীসের সনদ হাসান এবং এতে সেই ব্যক্তির জন্য দলীল রয়েছে যে ব্যক্তি বলে, “ফাকরাউ মা তাইয়াসসারা মিনহু”, এর তাৎপর্য হলো, তা সূরা আল-ফাতিহা পড়ার পর। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত।
بَابُ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالصُّبْحِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ الْبَجَلِيُّ ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ ، نَا سَهْلُ بْنُ عَامِرٍ الْبَجَلِيُّ ، ثَنَا هُرَيْمُ بْنُ سُفْيَانَ ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ ، قَالَ : " صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ بِالْبَصْرَةِ ، فَقَرَأَ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ : بِالْحَمْدِ وَأَوَّلِ آيَةٍ مِنَ الْبَقَرَةِ ، ثُمَّ قَامَ فِي الثَّانِيَةِ ، فَقَرَأَ : بِالْحَمْدِ وَالْآيَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْبَقَرَةِ ، ثُمَّ رَكَعَ ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا ، فَقَالَ : إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ : ( فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ) . إِنَّمَا هُوَ بَعْدَ قِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ . وَاللَّهُ أَعْلَمُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. যুহর, আসর ও ফজর নামাযের কিরাআতের পরিমাণ
১২৫১(৩)। আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রত্যেক নামাযেই কি কুরআন পাঠ করা জরুরী? তিনি বলেনঃ হাঁ। উপস্থিত লোকজনের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি বলল, কিরাআত পাঠ বাধ্যতামূলক হয়ে গেল। আবু দারদা (রাঃ) বলেন, হে কাসীর! আমি তখন তার পাশেই ছিলাম। আমি মনে করি ইমাম যখন লোকদের ইমামতি করেন তখন তার কিরাআতই তাদের জন্য যথেষ্ট।
এই হাদীস যায়েদ ইবনে হুবাব (রহঃ) মুয়াবিয়া ইবনে সালেহ (রহঃ) থেকে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি মনে করি ইমামের কিরাআতই তার জন্য যথেষ্ট। রাবী তাতে ভুল করেছেন এবং এটা আবুদ-দারদা (রাঃ)-এর উক্তি হওয়াই যথার্থ, যেমন ইবনে ওয়াহব (রহঃ)। বলেছেন। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।
بَابُ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالصُّبْحِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَحْمَدَ الدَّقَّاقُ ، قَالَا : نَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ، عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ ، قَالَ : قَامَ رَجُلٌ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَفِي كُلِّ صَلَاةٍ قُرْآنٌ ؟ قَالَ : " نَعَمْ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ : وَجَبَ هَذَا ، فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ : يَا كَثِيرُ - وَأَنَا إِلَى جَنْبِهِ - لَا أَرَى الْإِمَامَ إِذَا أَمَّ الْقَوْمَ إِلَّا قَدْ كَفَاهُمْ . رَوَاهُ زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ ، بِهَذَا الْإِسْنَادِ ، وَقَالَ فِيهِ : فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مَا أَرَى الْإِمَامَ إِلَّا قَدْ كَفَاهُمْ " . وَوَهِمَ فِيهِ ، وَالصَّوَابُ أَنَّهُ مِنْ قَوْلِ أَبِي الدَّرْدَاءِ كَمَا قَالَ ابْنُ وَهْبٍ ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ