পরিচ্ছেদঃ ৬. সা'দ আল-কারয এর বর্ণনা

৮৮২(১). উসমান ইবনে আহমাদ (রহঃ) ... উমার ইবনে সা’দ (রহঃ) থেকে তার পিতা সা’দ আল-কারায (রাঃ)-র সূত্রে বর্ণিত। তিনি তাকে বলতে শুনেছেন, এই আযান অর্থাৎ বিলাল (রাঃ)-এর আযান যে সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তার ইকামত হলোঃ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। পুনরায় আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হায়্যা আলাস-সালাহ, হায়্যা আলাস-সালাহ, হায়্যা আলাল-ফালাহ, হায়্যা আলাল-ফালাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর ইকামত একবার করে এবং কাদ কামাতিস সালাহও একবার বলবে।

সা’দ ইবনে আইয (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে সাদ! তুমি বিলালকে আমার সাথে না দেখলে তুমিই আযান দিবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং বললেনঃ হে সাদ! আল্লাহ তোমার মধ্যে বরকত দান করুন। তুমি বিলালকে আমার সাথে না দেখলে তুমিই আযান দিবে। রাবী বলেন, অতঃপর সা’দ (রাঃ) কুবা মসজিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তিনবার আযান দেন। রাবী বলেন, বিলাল (রাঃ) উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যোগদানের অনুমতি চাইলে উমার (রাঃ) তাকে বলেন, আযান দেওয়ার দায়িত্ব কাকে দিবে? তিনি (বিলাল) বলেন, সা’দ (রাঃ)-কে। কারণ তিনি কুবা মসজিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য আযান দিয়েছেন।

অতঃপর উমার (রাঃ) সা’দ (রাঃ)-কে ডাকলেন। তিনি বললেন, তোমার এবং তোমার পরবর্তী ব্যক্তির উপর আযান দেয়ার দায়িত্ব। আর উমার (রাঃ) তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই বর্শা দিলেন যা বিলাল (রাঃ) তাঁর জন্য বহন করতেন। তিনি তাকে বলেন, তুমি এটা নিয়ে আমার আগে আগে চলো, যেমন বিলাল (রাঃ) এটা নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগে আগে যেতেন, অবশেষে তা (নামায পড়ার সময়) ইমামের সামনে গেরে দিতেন। অতএব তিনি তাই করলেন।

بَابُ ذِكْرِ سَعْدٍ الْقَرَظِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ ، حَدَّثَنَا حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ ، ح : وَثَنَا أَبُو بَكْرٍ الشَّافِعِيُّ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ ، قَالَا : نَا بِشْرُ بْنُ مُوسَى ، قَالَا : ثَنَا الْحُمَيْدِيُّ ، قَالَ : ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عَائِذٍ الْقَرَظِ ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارٍ ، وَعَمَّارٌ ، وَعُمَرُ : ابْنَا حَفْصِ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ ، عَنْ أَبِيهِ سَعْدٍ الْقَرَظِ ؛ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ : إِنَّ هَذَا الْأَذَانَ أَذَانُ بِلَالٍ الَّذِي أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَإِقَامَتُهُ ، وَهُوَ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَالْإِقَامَةُ وَاحِدَةٌ وَاحِدَةٌ ، وَيَقُولُ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، مَرَّةً وَاحِدَةً . قَالَ سَعْدُ بْنُ عَائِذٍ : وَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " يَا سَعْدُ ، إِذَا لَمْ تَرَ بِلَالًا مَعِي ، فَأَذِّنْ " وَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - رَأْسَهُ ، وَقَالَ : " بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ يَا سَعْدُ ، إِذَا لَمْ تَرَ بِلَالًا مَعِي ، فَأَذِّنْ " . قَالَ : فَأَذَّنَ سَعْدٌ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِقُبَاءٍ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ . قَالَ : فَلَمَّا اسْتَأْذَنَ بِلَالٌ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فِي الْخُرُوجِ إِلَى الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، قَالَ لَهُ عُمَرُ : إِلَى مَنْ أَدْفَعُ الْأَذَانَ يَا بِلَالُ ؟ قَالَ : إِلَى سَعْدٍ ، فَإِنَّهُ قَدْ أَذَّنَ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِقُبَاءٍ . فَدَعَا عُمَرُ سَعْدًا ، فَقَالَ لَهُ : الْأَذَانُ إِلَيْكَ وَإِلَى عَقِبِكَ مِنْ بَعْدِكَ ، وَأَعْطَاهُ عُمَرُ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - الْعَنَزَةَ الَّتِي كَانَ يَحْمِلُ بِلَالٌ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ امْشِ بِهَا بَيْنَ يَدَيَّ ، كَمَا كَانَ بِلَالٌ يَمْشِي بِهَا بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى تَرْكُزَهَا بِالْمُصَلَّى . فَفَعَلَ

حدثنا عثمان بن احمد ، حدثنا حنبل بن اسحاق ، ح : وثنا ابو بكر الشافعي ، ومحمد بن احمد بن الحسن ، قالا : نا بشر بن موسى ، قالا : ثنا الحميدي ، قال : ثنا عبد الرحمن بن سعد بن عمار بن سعد بن عاىذ القرظ ، حدثني عبد الله بن محمد بن عمار ، وعمار ، وعمر : ابنا حفص بن عمر بن سعد ، عن عمار بن سعد ، عن ابيه سعد القرظ ؛ انه سمعه يقول : ان هذا الاذان اذان بلال الذي امره رسول الله - صلى الله عليه وسلم - واقامته ، وهو : الله اكبر ، الله اكبر ، الله اكبر ، الله اكبر ، اشهد ان لا اله الا الله ، اشهد ان لا اله الا الله ، اشهد ان محمدا رسول الله ، اشهد ان محمدا رسول الله ، ثم يرجع فيقول اشهد ان لا اله الا الله ، اشهد ان لا اله الا الله ، اشهد ان محمدا رسول الله ، اشهد ان محمدا رسول الله ، حي على الصلاة ، حي على الصلاة ، حي على الفلاح ، حي على الفلاح ، الله اكبر ، الله اكبر ، لا اله الا الله ، والاقامة واحدة واحدة ، ويقول قد قامت الصلاة ، مرة واحدة . قال سعد بن عاىذ : وقال لي رسول الله - صلى الله عليه وسلم - : " يا سعد ، اذا لم تر بلالا معي ، فاذن " ومسح رسول الله - صلى الله عليه وسلم - راسه ، وقال : " بارك الله فيك يا سعد ، اذا لم تر بلالا معي ، فاذن " . قال : فاذن سعد لرسول الله - صلى الله عليه وسلم - بقباء ثلاث مرات . قال : فلما استاذن بلال عمر بن الخطاب - رضي الله عنه - في الخروج الى الجهاد في سبيل الله ، قال له عمر : الى من ادفع الاذان يا بلال ؟ قال : الى سعد ، فانه قد اذن لرسول الله - صلى الله عليه وسلم - بقباء . فدعا عمر سعدا ، فقال له : الاذان اليك والى عقبك من بعدك ، واعطاه عمر - رضي الله عنه - العنزة التي كان يحمل بلال للنبي - صلى الله عليه وسلم - فقال امش بها بين يدي ، كما كان بلال يمشي بها بين يدي رسول الله - صلى الله عليه وسلم - حتى تركزها بالمصلى . ففعل

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ উমার ইবনে সা'দ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)