পরিচ্ছেদঃ ২৫৬ : যে সব কারণে গীবত বৈধ
১/১৫৩৯। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসার অনুমতি চাইল। তিনি বললেন, ’’ওকে অনুমতি দাও। ও নিজ বংশের অত্যন্ত মন্দ ব্যক্তি।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
এ হাদিস দ্বারা ইমাম বুখারী [রহঃ] ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী ও সন্দিগ্ধ ব্যক্তিদের গীবত করার বৈধতা প্রমাণ করেছেন।
জেনে রাখুন যে, সঠিক শরয়ী উদ্দেশ্যে গীবত বৈধ; যখন গীবত ছাড়া সে উদ্দেশ্য পূরণ হওয়া সম্ভবপর হয় না। এমন কারণ ৬টিঃ-
১। অত্যাচার ও নির্যাতনঃ নির্যাতিত ও অত্যাচারিত ব্যক্তির পক্ষে বৈধ যে, সে শাসক, বিচারক প্রমুখ [প্রভাবশালী] ব্যক্তি যারা অত্যাচারীকে উচিত সাজা দিয়ে ন্যায় বিচার করার কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা রাখেন তাঁদের নিকট নালিশ করবে যে, ’অমুক ব্যক্তি আমার উপর এই অত্যাচার করেছে।’
২। মন্দ কাজের অপসারণ ও পাপীকে সঠিক পথ ধরানোর কাজে সাহায্য কামনা। বস্ত্ততঃ শরীয়ত বহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ব্যাপারে শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিকে গিয়ে বলবে যে, ’অমুক ব্যক্তি মন্দ কাজে লিপ্ত। সুতরাং আপনি তাকে তা থেকে বাধা দিন’ ইত্যাদি। তবে এর পিছনে কেবল অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে বাধা দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে হবে; অন্যথা তা হারাম হবে।
৩। ফতোয়া জানা। মুফতি [বা আলেমের] নিকট গিয়ে বলবে, ’আমার পিতা আমার ভাই বা আমার স্বামী অথবা অমুক ব্যক্তি এই অন্যায় অত্যাচার আমার প্রতি করেছে। তার কি কোন অধিকার আছে? [এমন করার অধিকার যদি না থাকে] তবে তা থেকে মুক্তি পাবার এবং অন্যায়ের প্রতিকার করার ও নিজ অধিকার অর্জন করার উপায় কি?’ অনুরূপ আবেদন পেশ করা। এরূপ বলা প্রয়োজনে বৈধ। তবে সতর্কতামূলক ও উত্তম পন্থা হল, নাম না নিয়ে যদি বলে, ’এক ব্যক্তি, বা লোক বা স্বামী এই করেছে, সে সম্পর্কে আপনি কি বলেন?’ নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নাম না নিয়ে এরূপ বললে উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে। এ সত্ত্বেও নির্দিষ্ট করে নাম নিয়ে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা বৈধ। যেমন এ মর্মে পরবর্তীতে হিন্দের হাদিস উল্লেখ করব---ইন শাআল্লাহ তা’আলা।
৪। মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করা ও তাদের মঙ্গল কামনা করা। এটা অনেক ধরণের হতে পারে। তার মধ্যে যেমনঃ-
[ক] হাদিসের দোষযুক্ত রাবী ও [বিচারকার্যে] সাক্ষীর দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা। সর্বসম্মতিক্রমে এরূপ করা বৈধ; বরং প্রয়োজন বশতঃ ঐরূপ করা অত্যাবশ্যক।
[খ] কোন ব্যক্তির সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক জোড়ার জন্য, কোন ব্যবসায়ে অংশীদারি গ্রহণের উদ্দেশ্যে, কারো কাছে আমানত রাখার জন্য, কারো সাথে আদান-প্রদান করার মানসে অথবা কারো প্রতিবেশী হবার জন্য ইত্যাদি উদ্দেশ্যে পরামর্শ চাওয়া। আর সে ক্ষেত্রে যার নিকট পরামর্শ চাওয়া হয়, তার উচিত প্রকৃত অবস্থা খুলে বলা। বরং হিতাকাঙ্ক্ষী মনোভাব নিয়ে যত দোষ-ত্রুটি থাকবে সব ব্যক্ত করে দেবে। অনুরূপভাবে যখন কোন দ্বীনী জ্ঞান পিপাসুকে দেখবে যে, সে কোন বিদআতী ও মহাপাপী লোকের নিকট জ্ঞানার্জন করতে যাচ্ছে এবং আশংকা বোধ করবে যে, ঐ বিদআতী ও ফাসেক [মহাপাপী] দ্বারা সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাহলে সে আবশ্যিকভাবে তাকে তার অবস্থা ব্যক্ত করে তার মঙ্গল সাধন করবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শর্ত হল যে, এর পিছনে তার উদ্দেশ্য যেন হিতাকাঙ্ক্ষী হয়। এ ব্যাপারটি এমন যে, সাধারণত: এতে ভুল হয়ে থাকে। কখনো বা বক্তা হিংসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐ কথা বলে। কিন্তু শয়তান তার ব্যাপারটা গোলমাল করে দেয় এবং তার মাথায় গজিয়ে দেয় যে, সে হিত উদ্দেশ্যেই ঐ কাজ করছে [অথচ বাস্তব তার বিপরীত]। এ জন্য মানুষের সাবধান থাকা উচিত।
[গ] যখন কোন উচ্চপদস্থ সরকারী অফিসার, গভর্নর বা শাসক, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে---হয় তার অযোগ্যতার কারণে কিংবা পাপাচারী বা উদাসীন থাকার কারণে ইত্যাদি---তাহলে উক্ত ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রনেতার নিকট তার স্বরূপ তুলে ধরা একান্ত কর্তব্য। যাতে সে তার স্থানে অন্য উপযুক্ত কর্মী নিয়োগ করতে পারে কিংবা কমপক্ষে তার সম্পর্কে তার জানা থাকবে এবং সেই অনুযায়ী তার সাথে আচরণ করবে এবং তার প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকবে, আর সে তাকে সংশোধন হবার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করবে, তারপর তাকে পরিবর্তন করে দেবে।
৫। প্রকাশ্যভাবে কেউ পাপাচরণ বা বিদআতে লিপ্ত হলে তার কথা বলা। যেমন প্রকাশ্যভাবে মদ্য পান করলে, লোকের ধন অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করলে, বলপূর্বক ট্যাক্স বা চাঁদা আদায় করলে, অন্যায়ভাবে যাকাত ইত্যাদি উসূল করলে, অন্যায় কাজের কর্তৃত্ব করলে, তার কেবল সেই প্রকাশ্য অন্যায়ের কথা উল্লেখ করা বৈধ। [যাতে তার অপনোদন সম্ভব হয়] পক্ষান্তরে তার অন্যান্য গোপন দোষ-ত্রুটি উল্লেখ করা বৈধ নয়। তবে যদি উল্লিখিত কারণসমূহের মধ্যে অন্য কোন কারণ থাকে, যেমন আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছি, তাহলে তাও ব্যক্ত করা বৈধ হবে।
৬। প্রসিদ্ধ নাম ধরে পরিচয় দেওয়া। সুতরাং যখন কোন মানুষ কোন মন্দ খেতাব দ্বারা সুপরিচিত হয়ে যাবে; যেমন চোখ-ওঠা, খোঁড়া, কালা, অন্ধ, টেরা ইত্যাদি তখন সেই পরিচায়ক খেতাবগুলি উল্লেখ করা সিদ্ধ। তবে অবমাননা বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে সে সব উল্লেখ করা নিষিদ্ধ। পক্ষান্তরে উক্ত পদবী ছাড়া অন্য শব্দ বা নাম দ্বারা যদি পরিচয় দান সম্ভব হয়, তাহলে সেটাই সব চাইতে উত্তম।
এই হল ছয়টি কারণ, যার ভিত্তিতে গীবত করা বৈধ। আর এর অধিকাংশ সর্ববাদিসম্মত। সহীহ হাদিস থেকে এর বিভিন্ন দলীলও প্রসিদ্ধ। যার কিছু নিম্নরূপ:-
(256) بَابُ بَيَانِ مَا يُبَاحُ مِنَ الْغِيْبَةِ
عَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا : أَنَّ رَجُلاً اسْتَأذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: «ائْذَنُوا لَهُ، بِئْسَ أَخُو العَشِيرَةِ ؟» . متفق عَلَيْهِ . احتَجَّ بِهِ البُخَارِيُّ فِي جَوَازِ غِيبَة أَهلِ الفَسَادِ وَأَهلِ الرِّيبِ .
(256) Chapter: Some cases where it is permissible to Backbite
[Backbiting is permissible only for valid reasons approved by Shari`ah. These reasons are as follows:]
1. It is permissible for an oppressed person to speak before the judge or someone in a similar position of authority to help him or her establish his or her rights by telling him `so-and-so wronged me and has done such and such to me' etc.
2. It is permissible to seek somebody's assistance in forbidding evil and helping someone change his or her immoral conduct. One can say to the person who can offer such assistance, `so-and-so does such and such evil deeds. Can you exhort him?' etc. This is permissible as long as one intends to forbid evil. If, however, one intends something else apart from this, then this act becomes unlawful.
3. One who seeks legal verdict on a certain matter may point out the defaults of another person or relate something else. One in this case can say to the Mufti (religious scholar who issues verdicts): "My father or brother (for example) treated me unjustly. Can I get my right established?'' etc. This is permissible to say only if need be, but it is better to say `What do you think of someone who did such and such?' This does not mean, however, that naming the person in question is not permissible, Hadith No. 1536 makes this point clear.
4. One who criticizes those who openly commit acts of disobedience, such as drinking wine, gambling, engaging in immoral habits, fornication, hypocrisy, and making mischief.
5. It is permissible to call into question the narrators of Hadith, and witnesses in the court when the need arises. It is also permissible to mention the bad qualities of somebody for marriage purposes in case an advice is sought. Also, if one has noticed that a "seeker of knowledge'' frequently goes to the gatherings of an innovator in religion and one fears that this "seeker of knowledge'' may be affected by this so-called scholar, then he must in this case give counsel to the "seeker of knowledge'' by telling him about the "innovator,'' etc.
6. It is permissible to use names such as "Al-a`mash'' which means `the blear-eyed' to talk about people who are known by such names for the sake of identification and not for disparaging people and underestimating them. To identify them without resorting to such names is however better.
'Aishah (May Allah be pleased with her) said:
A man sought permission for audience with the Prophet (ﷺ). He said, "Give him permission but he is a bad member of his tribe."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Imam Al-Bukhari has obviously justified the backbiting of wicked people to save people from being deceived from their appearance. If people are not informed of the real conduct of such persons, their religious as well as worldly life will be exposed to a grave danger. For this reason, the backbiting of wicked persons for the purpose of warning others is permissible.
পরিচ্ছেদঃ ২৫৬ : যে সব কারণে গীবত বৈধ
২/১৫৪০। উক্ত রাবী (আয়েশা) রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আমার মনে হয় না যে, অমুক ও অমুক লোক আমাদের দ্বীন সম্পর্কে কিছু জ্ঞান রাখে।’’ (বুখারী) [1]
এই হাদিসের অন্যতম রাবী লাইস বিন সা’দ বলেন, ’ঐ লোক দু’টি মুনাফিক ছিল।’
(256) بَابُ بَيَانِ مَا يُبَاحُ مِنَ الْغِيْبَةِ
وَعَنْهُا، قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَا أَظُنُّ فُلاَناً وَفُلاَناً يَعْرِفَانِ مِنْ دِينِنَا شَيْئاً» . رواه البخاري . قَالَ: قَالَ اللَّيْثُ بنُ سَعدٍ أَحَدُ رُوَاةِ هَذَا الحَدِيثِ : هَذَانِ الرَّجُلاَنِ كَانَا مِنَ المُنَافِقِينَ .
(256) Chapter: Some cases where it is permissible to Backbite
'Aishah (May Allah be pleased with her) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "I do not think that so-and-so understands anything of our Faith."
[Al-Bukhari]
Al-Bukhari said: Al- Laith bin Sa'd, who is one of the narrators of this Hadith, said: The two men mentioned by the Prophet (ﷺ) in this Hadith were hypocrites (i.e., they revealed Faith and concealed disbelief).
Commentary: Hypocrites are also people of mischievous and doubtful conduct. It is, therefore, not only permissible but necessary to make people aware of their real position so that people become cautious about them and their religious and worldly life may remain safe from their machinations.
পরিচ্ছেদঃ ২৫৬ : যে সব কারণে গীবত বৈধ
৩/১৫৪১। ফাতেমাহ বিন্তে ক্বাইস রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলাম, ’আবুল জাহাম ও মুয়াবিয়াহ আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছেন। [এ ক্ষেত্রে আমি কি করব?]’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’মুআবিয়াহ তো গরীব মানুষ, তার নিকট মালধনই নেই। আর আবুল জাহম, সে তো নিজ কাঁধ হতে লাঠিই নামাই না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, ’আবুল জাহাম তো স্ত্রীদেরকে অত্যন্ত মারধর করে।’ আর এই বর্ণনাটি ’সে তো নিজ কাঁধ হতে লাঠিই নামায় না’--এর ব্যাখ্যা স্বরূপ। কারো মতে তার অর্থ, সে অধিকাংশ সময় সফরে থাকে।
(256) بَابُ بَيَانِ مَا يُبَاحُ مِنَ الْغِيْبَةِ
وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنتِ قَيسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ : أَتَيتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَقُلْتُ : إِنَّ أَبَا الجَهْمِ وَمُعَاوِيَةَ خَطَبَانِي ؟ فَقَالَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم : «أَمَّا مُعَاوِيَةُ، فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ، وَأَمَّا أَبُو الجَهْمِ، فَلاَ يَضَعُ العَصَا عَنْ عَاتِقِهِ». متفق عَلَيْهِ
(256) Chapter: Some cases where it is permissible to Backbite
Fatimah bint Qais (May Allah be pleased with her) said:
I came to the Prophet (ﷺ) and said to him: "Muawiyah and Abul-Jahm sent me a proposal of marriage." The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Muawiyah is destitute and he has no property, and Abul-Jahm is very hard on women."
[Bukhari and Muslim].
Commentary: We learn from this Hadith that it is permissible to mention the true facts, virtues and vices without equivocation, about the parties who intend to enter into wedlock provided one does it for their welfare.
পরিচ্ছেদঃ ২৫৬ : যে সব কারণে গীবত বৈধ
৪/১৫৪২। যায়েদ ইবনে আরক্বাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক সফরে বের হলাম, যাতে লোকেরা সাংঘাতিক কষ্ট পেয়েছিল। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই [মুনাফিকদের সর্দার, স্ব-মতাবলম্বী লোকদেরকে সম্বোধন করে] বলল, ’তোমরা আল্লাহর রাসূলের সঙ্গীদের জন্য ব্যয় করো না, যতক্ষণ না তারা সরে দাঁড়ায়।’ এবং সে আরও বলল, ’আমরা মদিনায় ফিরে গেলে সেখান হতে সম্মানী অবশ্যই হীনকে বহিষ্কার করবে।’ [যায়েদ বলেন,] আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তা জানিয়ে দিলাম। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে ডেকে পাঠালেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই [কিন্তু] বারবার শপথ করে বলল যে, সে তা বলেনি। লোকেরা বলল, ’যায়েদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিথ্যা কথা বলেছে।’ [যায়েদ বলেন,] লোকদের কথা শুনে আমার মনে অত্যন্ত দুঃখ হল। অবশেষে আল্লাহ আমার কথার সত্যতায় সূরা ’ইযা জা-আকাল মুনাফিক্বূন’ অবতীর্ণ করলেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [আল্লাহর নিকট] তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে তাদেরকে ডাকলেন। কিন্তু তারা নিজেদের মাথা ফিরিয়ে নিল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
(256) بَابُ بَيَانِ مَا يُبَاحُ مِنَ الْغِيْبَةِ
وَعَنْ زَيدِ بنِ أَرْقَمَ رضي الله عنه قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ أَصَابَ النَّاسَ فِيهِ شِدَّةٌ، فَقَالَ عَبدُ اللهِ بنُ أُبَيّ : ﴿ لا تنفقوا على من عند رسول الله حتى ينفضوا ﴾ [المنافقون: ٧]، وَقَالَ: ﴿ لئن رجعنا إلى المدينة ليخرجن الأعز منها الأذل﴾ [المنافقون: ٨]، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَأخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ، فَأَرْسَلَ إِلَى عَبدِ اللهِ بنِ أُبَيِّ، فَاجْتَهَدَ يَمِينَهُ : مَا فَعلَ، فَقَالُوا : كَذَبَ زَيدٌ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَوَقَعَ في نَفْسِي مِمَّا قَالُوهُ شِدَّةٌ حَتَّى أَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى تَصْدِيقِي : ﴿ إذا جاءك المنافقون﴾ [المنافقون: ١] ثُمَّ دَعَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَسْتَغْفِرَ لَهُمْ فَلَوَّوْا رُؤُوسَهُمْ . متفق عَلَيْهِ
(256) Chapter: Some cases where it is permissible to Backbite
Zaid bin Al-Arqam (May Allah be pleased with him) said:
We set out on a journey along with the Messenger of Allah (ﷺ) and we faced many hardships. 'Abdullah bin Ubaiy (the chief of the hypocrites at Al- Madinah) said to his friends: "Do not spend on those who are with the Messenger of Allah (ﷺ) until they desert him." He also said: "If we return to Al-Madinah, the more honourable (meaning himself, i.e., Abdullah bin Ubaiy) will drive out therefrom the meaner (meaning Messenger of Allah (ﷺ))." I went to the Messenger of Allah (ﷺ) and informed him about that and he sent someone to 'Abdullah bin Ubaiy. He asked him whether he had said that or not. Abdullah took an oath that he had not done anything of that sort and said that it was Zaid who carried a false tale to the Messenger of Allah (ﷺ). Zaid said: I was so much perturbed because of this until this Verse was revealed verifying my statement:
"When the hypocrites come to you (O Muhammad (ﷺ)), they say: 'We bear witness that you are indeed the Messenger of Allah.' Allah knows that you are indeed His Messenger, and Allah bears witness that the hypocrites are liars indeed." (63:1) Then the Messenger of Allah (ﷺ) called the hypocrites in order to seek forgiveness for them from Allah, but they turned away their heads.
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: `Abdullah bin Ubaiy was the chief of the hypocrites at Al-Madinah. In the journey mentioned in this Hadith, which was undertaken in connection with the war with Banu Al-Mustaliq, he had used improper words against the Prophet (PBUH) and Muslims, which were overheard by Zaid bin Al-Arqam (May Allah be pleased with him). The latter informed the Prophet (PBUH) about this occurrence. This incident goes to prove that exposing the designs and conspiracies of hypocrites does not form backbiting. In fact, it is essential to keep people informed about them in the interest of Islam and Muslims.
পরিচ্ছেদঃ ২৫৬ : যে সব কারণে গীবত বৈধ
৫/১৫৪৩। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ সুফয়ানের স্ত্রী হিন্দ্ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন যে, ’আবূ সুফয়ান একজন কৃপণ লোক। আমি তার সম্পদ থেকে [তার অজান্তে] যা কিছু নিই তা ছাড়া সে আমার ও আমার সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খরচ দেয় না।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমার ও তোমার সন্তানের প্রয়োজন মোতাবেক খরচ [তার অজান্তে] নিতে পার।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(256) بَابُ بَيَانِ مَا يُبَاحُ مِنَ الْغِيْبَةِ
وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ : قَالَتْ هِنْدُ امْرَأةُ أَبي سُفْيَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم : إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ وَلَيْسَ يُعْطِينِي مَا يَكْفِينِي وَوَلَدِي إِلاَّ مَا أَخَذْتُ مِنْهُ، وَهُوَ لاَ يَعْلَمُ ؟ قَالَ: «خُذِيْ مَا يَكْفِيكِ وَوَلَدَكِ بِالمَعْرُوفِ» . متفق عَلَيْهِ
(256) Chapter: Some cases where it is permissible to Backbite
'Aishah (May Allah be pleased with her) said:
Hind, the wife of Abu Sufyan, said to the Prophet (ﷺ): Abu Sufyan is a niggardly man and does not give me and my children adequate provisions for maintenance unless I take something from his possession without his knowledge. The Prophet (ﷺ) said to her, "Take from his possessions on a reasonable basis that much which may suffice for you and your children."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Hind was the mother of Mu`awiyah (May Allah be pleased with him). Along with her husband, Abu Sufyan, she embraced Islam in the year of conquest of Makkah. We learn from this Hadith that:
1. In order to know religious injunctions, husband and wife can mention each other's shortcomings before a Mufti (a religious scholar who is in a position to issue verdicts on religious matters).
2. If a husband does not give his wife enough money to cover the domestic expenses, then it is permissible for his wife to take some of his money without his permission, provided the amount thus taken is for essential expenses not for superfluous matters.