পরিচ্ছেদঃ ১০. ক্ষত করার দিয়াত
ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি সুলায়মান ইবন ইয়াসার হইতে শ্রবণ করিয়াছেন, তিনি বলিতেন, চেহারার ক্ষত যাহাতে হাড় দেখা যায়, মাথার হাড় দেখা যাওয়া অবস্থায় যখমের মতো, কিন্তু তাহার জন্য যদি চেহারা দেখিতে বিকৃত হইয়া যায়, তবে দিয়াত বাড়াইয়া দেওয়া হইবে। মাথার অর্ধেক পর্যন্ত যে ক্ষত হইবে উহার জন্য ৭৫ দীনার দেওয়া জরুরী হয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে ইহা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, মুনকালা হইলে ১৫ উট দিতে হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, মুনকালা ঐ ক্ষতকে বলে যাহাতে হাড় স্থানচ্যুত হইয়া যায়, আর এই আঘাত মাথার মগজ পর্যন্ত না পৌছে। এই আঘাত মাথা ও চেহারায় সীমিত থাকে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই বিধান সর্বসম্মত যে, মাসুমা ও জায়িকায় কিসাস নাই, যুহরীও এইরূপ বলিয়াছেন।
মালিক (রহঃ) বলেন, মাসুমা ঐ ক্ষতকে বলা হয় যাহাতে হাড় ভাঙ্গিয়া মাথার মগজ পর্যন্ত পৌছে আর এই ক্ষম মাথায়ই হইয়া থাকে। অবশ্য এই আঘাতে হাড় ভাঙ্গিলেও উহা মগজের ক্ষতি করে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা সর্বসম্মত বিধান যে, মুযিহা হইতে অল্প ক্ষতে দিয়াত নাই যতক্ষণ উহা মুযিহা পর্যন্ত না পৌছে। মুযিহা বা তদূর্ধ্ব ক্ষতে দিয়াত দিতে হইবে। কেননা আমর ইবন হাযমের হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মুযেহায় পাঁচ উট; ইহার নিমের পরিমাণ বর্ণনা করেন নাই। আর কোন ইমামও বর্তমানে বা অতীতে মুযিহার নিম্ন পরিমাণ দিয়াতের আদেশ করেন নাই।
মালিক (রহঃ) বলেন, ইবন শিহাব যুহরীরও মত ইহাই। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকটও একটি ক্ষতের কোন পরিমাণ নির্দিষ্ট নাই, বরং ইহা বিচারকের বিচারের উপর নির্ভর করবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা সর্বসম্মত বিধান যে, মাসুমা, মুনকালা ও মুযিহা শুধু মাথা ও চেহারায় হইয়া থাকে। যদি অন্য কোন স্থানে হয় তবে বিচারকের রায়ের উপর আমল করা হইবে।
ইবন যুবাইর মুনাকালার কিসাস লইয়াছেন।
মালিক (রহঃ) বলেন, নিচের চোয়াল ও নাক মাথায় ধরা হইবে না, বরং এই দুইটি পৃথক অঙ্গ। ইহাদের অতিরিক্ত মাথা আর একটি পৃথক হাড়।
باب مَا جَاءَ فِي عَقْلِ الشِّجَاجِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ، يَذْكُرُ أَنَّ الْمُوضِحَةَ، فِي الْوَجْهِ مِثْلُ الْمُوضِحَةِ فِي الرَّأْسِ إِلاَّ أَنْ تَعِيبَ الْوَجْهَ فَيُزَادُ فِي عَقْلِهَا مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ عَقْلِ نِصْفِ الْمُوضِحَةِ فِي الرَّأْسِ فَيَكُونُ فِيهَا خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ دِينَارًا . قَالَ مَالِكٌ وَالأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ فِي الْمُنَقَّلَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ فَرِيضَةً . قَالَ وَالْمُنَقَّلَةُ الَّتِي يَطِيرُ فِرَاشُهَا مِنَ الْعَظْمِ وَلاَ تَخْرِقُ إِلَى الدِّمَاغِ وَهِيَ تَكُونُ فِي الرَّأْسِ وَفِي الْوَجْهِ . قَالَ مَالِكٌ الأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمَأْمُومَةَ وَالْجَائِفَةَ لَيْسَ فِيهِمَا قَوَدٌ . وَقَدْ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ لَيْسَ فِي الْمَأْمُومَةِ قَوَدٌ . قَالَ مَالِكٌ وَالْمَأْمُومَةُ مَا خَرَقَ الْعَظْمَ إِلَى الدِّمَاغِ وَلاَ تَكُونُ الْمَأْمُومَةُ إِلاَّ فِي الرَّأْسِ وَمَا يَصِلُ إِلَى الدِّمَاغِ إِذَا خَرَقَ الْعَظْمَ . قَالَ مَالِكٌ الأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ فِيمَا دُونَ الْمُوضِحَةِ مِنَ الشِّجَاجِ عَقْلٌ حَتَّى تَبْلُغَ الْمُوضِحَةَ وَإِنَّمَا الْعَقْلُ فِي الْمُوضِحَةِ فَمَا فَوْقَهَا وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْتَهَى إِلَى الْمُوضِحَةِ فِي كِتَابِهِ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فَجَعَلَ فِيهَا خَمْسًا مِنَ الإِبِلِ وَلَمْ تَقْضِ الأَئِمَّةُ فِي الْقَدِيمِ وَلاَ فِي الْحَدِيثِ فِيمَا دُونَ الْمُوضِحَةِ بِعَقْلٍ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ قَالَ كُلُّ نَافِذَةٍ فِي عُضْوٍ مِنَ الأَعْضَاءِ فَفِيهَا ثُلُثُ عَقْلِ ذَلِكَ الْعُضْوِ
حَدَّثَنِي مَالِكٌ، كَانَ ابْنُ شِهَابٍ لاَ يَرَى ذَلِكَ وَأَنَا لاَ، أَرَى فِي نَافِذَةٍ فِي عُضْوٍ مِنَ الأَعْضَاءِ فِي الْجَسَدِ أَمْرًا مُجْتَمَعًا عَلَيْهِ وَلَكِنِّي أَرَى فِيهَا الاِجْتِهَادَ يَجْتَهِدُ الإِمَامُ فِي ذَلِكَ وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ أَمْرٌ مُجْتَمَعٌ عَلَيْهِ عِنْدَنَا . قَالَ مَالِكٌ الأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمَأْمُومَةَ وَالْمُنَقَّلَةَ وَالْمُوضِحَةَ لاَ تَكُونُ إِلاَّ فِي الْوَجْهِ وَالرَّأْسِ فَمَا كَانَ فِي الْجَسَدِ مِنْ ذَلِكَ فَلَيْسَ فِيهِ إِلاَّ الاِجْتِهَادُ . قَالَ مَالِكٌ فَلاَ أَرَى اللَّحْىَ الأَسْفَلَ وَالأَنْفَ مِنَ الرَّأْسِ فِي جِرَاحِهِمَا لأَنَّهُمَا عَظْمَانِ مُنْفَرِدَانِ وَالرَّأْسُ بَعْدَهُمَا عَظْمٌ وَاحِدٌ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَقَادَ مِنَ الْمُنَقَّلَةِ
Yahya related to me from Malik that Yahya ibn Said heard Sulayman ibn Yasar mention that a face wound in which the bone was bared was like a head wound in which the bone was bared, unless the face was scarred by the wound. Then the blood-money is increased by one half of the blood-money of the head wound in which the skin was bared so that seventy five dinars are payable for it.
Malik said, "What is done in our community is that the head wound with splinters has fifteen camels." He explained, "The head wound with splinters is that from which pieces of bone fly off and which does not reach the brain. It can be in the head or the face."
Malik said, "The generally agreed on way of doing things in our community, is that there is no retaliation for a wound to the brain or a belly wound, and Ibn Shihab has said, 'There is no retaliation for a wound to the brain.' "
Malik explained, "The wound to the brain is what pierces the bones to the brain. This type of wound only occurs in the head. It is that which reaches the brain when the bones are pierced."
Malik said, "What is done in our community is that there is no blood-money paid on any head wound less than one which lays bare the skull. Blood-money is payable only for the head wound that bares the bone and what is worse than that. That is because the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, stopped at the head wound which bared the bone in his letter to Amr ibn Hazm. He made it five camels. The imams, past and present, have not made any blood- money payable for injuries less than the head wound which bares the bone."
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said, that Said ibn al-Musayyab said, "For every piercing wound in any of the organs or limbs of the body, one third of the blood-money of that limb is payable."
Malik related to me, "Ibn Shihab did not think and nor do I, that there is a generally agreed on way of doing things regarding a piercing wound in any of the organs or limbs of the body, but I think that there is ijtihad in the case. The imam uses ijtihad in it, and there is no generally agreed on way of doing things in our community about it."
Malik said, "What is done in our community about the wound to the brain and the wound which splinters the bone, and the wound that bares the bone is that they apply only to the head and face. Whatever of that occurs in the body only has ijtihad in it."
Malik said, "I do not think the lower jaw and the nose are part of the head in their injury because they are separate bones, and except for them the head is one bone."
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman that Abdullah ibn az-Zubayr allowed retaliation for a head wound which splintered the bone.