পরিচ্ছেদঃ ৫. অপবাদের শাস্তি, নসব অস্বীকার, ইশারায় কাহাকেও গালি দেওয়া সম্পর্কিত মাস'আলা
রেওয়ায়ত ১৭. আবূ যিনাদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) এক দাসকে অপবাদের শাস্তি হিসাবে আশিটি বেত্ৰাঘাত করিয়াছিলেন। আবূ যিনাদ বলেনঃ আমি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি বলিলেন, আমি উমর ও উসমান (রাঃ)-কে এবং তাহাদের পর অপর দুই খলীফাকে দেখিয়াছি কেহই কোন দাসকে অপবাদের শাস্তি হিসাবে চল্লিশ বেত্রাঘাতের বেশি মারেন নাই।
باب الْحَدِّ فِي الْقَذْفِ وَالنَّفْيِ وَالتَّعْرِيضِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ أَنَّهُ قَالَ جَلَدَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَبْدًا فِي فِرْيَةٍ ثَمَانِينَ قَالَ أَبُو الزِّنَادِ فَسَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ أَدْرَكْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَالْخُلَفَاءَ هَلُمَّ جَرًّا فَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا جَلَدَ عَبْدًا فِي فِرْيَةٍ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ
Malik related to me from Abu'z-Zinad that he said, ''Umar ibn Abd al-Aziz flogged a slave with eighty lashes for slander."
Abu'z-Zinad said, "I asked Abdullah ibn Amir ibn Rabia about that. He said, 'I saw Umar ibn al-Khattab, Uthman ibn Affan, the Khalifs, and so on, and I did not see any of them flog a slave more than forty lashes for slander.'
পরিচ্ছেদঃ ৫. অপবাদের শাস্তি, নসব অস্বীকার, ইশারায় কাহাকেও গালি দেওয়া সম্পর্কিত মাস'আলা
রেওয়ায়ত ১৮. যুরাইক ইবন হাকিম (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি, যাহার নাম মিসবাহ, স্বীয় ছেলেকে কোন কাজে ডাকিলেন। সে আসিতে বিলম্ব করিল। যখন আসিল তখন মিসবাহ বলিলঃ হে ব্যভিচারী। যুরাইক বলেনঃ ঐ ছেলেটি আমার নিকট ফরিয়াদ করিল। আমি যখন তাহার পিতাকে শাস্তি দিতে চাহিলাম, সে বলিতে লাগিল, যদি তুমি আমার পিতাকে বেত্ৰাঘাত কর, তাহা হইলে আমি ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করিব। ইহা শুনিয়া আমি অস্থির হইলাম আর এই ঝগড়ার ফয়সালা করা কষ্টকর হইয়া পড়িল। আমি উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ)-কে লিখিলাম। ঐ সময় তিনি মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন। উমর ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) উত্তরে লিখিলেনঃ ছেলেকে ক্ষমা কর। যুরাইক বলেনঃ আমি উমরকে ইহাও লিখিলাম, যদি কোন ব্যক্তি কাহাকেও অথবা তাহার পিতাকে অথবা তাহার মাতাকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয় আর তাহার মাতাপিতা মৃত্যুবরণ করে অথবা তাহাদের একজন মৃত্যুবরণ করিয়া থাকে, তখন উমর (রাঃ) উত্তরে লিখিলেন, যাহাকে অপবাদ দেওয়া হইয়াছে যদি সে ক্ষমা করে, তবে ক্ষমা ঠিকই হইবে। হ্যাঁ, যদি তাহার মাতাপিতা উভয়ে অথবা কোন একজন মৃত্যুবরণ করিয়া থাকে, তবে আল্লাহর কিতাবের বিধান মতে তাহার শাস্তি হইবে। হ্যাঁ, যদি ছেলে স্বীয় পিতার অবস্থা লুকাইবার জন্য ক্ষমা করে তবে ক্ষমা বৈধ হইবে।
باب الْحَدِّ فِي الْقَذْفِ وَالنَّفْيِ وَالتَّعْرِيضِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زُرَيْقِ بْنِ حَكِيمٍ الْأَيْلِيِّ أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ مِصْبَاحٌ اسْتَعَانَ ابْنًا لَهُ فَكَأَنَّهُ اسْتَبْطَأَهُ فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ لَهُ يَا زَانٍ قَالَ زُرَيْقٌ فَاسْتَعْدَانِي عَلَيْهِ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَجْلِدَهُ قَالَ ابْنُهُ وَاللَّهِ لَئِنْ جَلَدْتَهُ لَأَبُوءَنَّ عَلَى نَفْسِي بِالزِّنَا فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ أَشْكَلَ عَلَيَّ أَمْرُهُ فَكَتَبْتُ فِيهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ الْوَالِي يَوْمَئِذٍ أَذْكُرُ لَهُ ذَلِكَ فَكَتَبَ إِلَيَّ عُمَرُ أَنْ أَجِزْ عَفْوَهُ قَالَ زُرَيْقٌ وَكَتَبْتُ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَيْضًا أَرَأَيْتَ رَجُلًا افْتُرِيَ عَلَيْهِ أَوْ عَلَى أَبَوَيْهِ وَقَدْ هَلَكَا أَوْ أَحَدُهُمَا قَالَ فَكَتَبَ إِلَيَّ عُمَرُ إِنْ عَفَا فَأَجِزْ عَفْوَهُ فِي نَفْسِهِ وَإِنْ افْتُرِيَ عَلَى أَبَوَيْهِ وَقَدْ هَلَكَا أَوْ أَحَدُهُمَا فَخُذْ لَهُ بِكِتَابِ اللَّهِ إِلَّا أَنْ يُرِيدَ سِتْرًا
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ وَذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ الْمُفْتَرَى عَلَيْهِ يَخَافُ إِنْ كُشِفَ ذَلِكَ مِنْهُ أَنْ تَقُومَ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَإِذَا كَانَ عَلَى مَا وَصَفْتُ فَعَفَا جَازَ عَفْوُهُ
Malik related to me from Zurayq ibn Hakim al-Ayli that a man called Misbah asked his son for help and he thought him unnecessarily slow. When the son came, his father said to him, "O fornicator." Zurayq said, "So the son asked me to help him against the father. When I wanted to flog him, his son said, 'By Allah, if you flog him, I will acknowledge that I have committed fornication.' When he said that, the situation was confused for me, so I wrote about it to Umar ibn Abd al- Aziz who was the governor at that time, and I mentioned it to him. Umar wrote me to permit his pardon."
Zurayq said, "I wrote to Umar ibn Abd al-Aziz also, 'What do you think about a man who is slandered or his parents are slandered and both or only one of them are dead?' He said, Umar wrote to me, 'If he forgives, his pardon is permitted for himself. If his parents are slandered and one or both of them are dead, take the judgement of the Book of Allah for it unless he wants to veil it.' "
Yahya said, "I heard Malik say, 'That is because the slandered man might fear that if that is unveiled about him, a clear proof might be established. If it is according to what we have described, his pardon is permitted."
পরিচ্ছেদঃ ৫. অপবাদের শাস্তি, নসব অস্বীকার, ইশারায় কাহাকেও গালি দেওয়া সম্পর্কিত মাস'আলা
রেওয়ায়ত ১৯. উরওয়া ইবন যুবাইর (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি এক কথায়ই অনেক লোকের উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, যেমন বলিলঃ তোমরা সকলে ব্যভিচারী অথবা হে ব্যভিচারীর দল, তাহা হইলে তাহার উপর অপবাদের এক শাস্তিই হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, যদি তাহারা পৃথকও হইয়া যায় তবুও একই শাস্তি হইবে।
আমারা বিন্তে আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, উমর (রাঃ)-এর সময় দুই ব্যক্তির মধ্যে গালমন্দ হইল। একজন অপরজনকে বলিল, আল্লাহর কসম, আমার পিতা বদকার ছিল না, আমার মাও বদকার ছিল না। উমর (রাঃ) এ ব্যাপারে পরামর্শ করিলেন। এক ব্যক্তি বলিল, ইহাতে সে মন্দ কি বলিল। সে তো স্বীয় মাতাপিতার ভালই বর্ণনা করিল। অন্যরা বলিল, তাহার পিতার কি এই গুণ অবশিষ্ট ছিল যে, বর্ণনা করিবে? আমাদের মতে তাহাকে অপবাদের শাস্তি দিতে হইবে। অবশেষে উমর (রাঃ) তাহাকে আশি বেত্ৰাঘাত লাগাইলেন। (কেননা তাহার এই কথায় অন্যের মাতাপিতার উপর অপবাদ ছিল। আবু হানীফা ও শাফেয়ীর মতে শাস্তি অনিবার্য হইবে না। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে অপবাদ, অস্বীকার ও ইশারায় গালি ছাড়া অন্য কোন কথায় শাস্তি অনিবার্য হয় না।)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে যদি কেহ কাহাকেও তাহার পিতার বংশের অস্বীকার করে তাহা হইলে শাস্তি ওয়াজিব হইবে, তাহার মা দাসী হইলেও।
باب الْحَدِّ فِي الْقَذْفِ وَالنَّفْيِ وَالتَّعْرِيضِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ فِي رَجُلٍ قَذَفَ قَوْمًا جَمَاعَةً أَنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا حَدٌّ وَاحِدٌ قَالَ مَالِك وَإِنْ تَفَرَّقُوا فَلَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا حَدٌّ وَاحِدٌ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ أَبِي الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ النُّعْمَانِ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَجُلَيْنِ اسْتَبَّا فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِلْآخَرِ وَاللَّهِ مَا أَبِي بِزَانٍ وَلَا أُمِّي بِزَانِيَةٍ فَاسْتَشَارَ فِي ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ قَائِلٌ مَدَحَ أَبَاهُ وَأُمَّهُ وَقَالَ آخَرُونَ قَدْ كَانَ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ مَدْحٌ غَيْرُ هَذَا نَرَى أَنْ تَجْلِدَهُ الْحَدَّ فَجَلَدَهُ عُمَرُ الْحَدَّ ثَمَانِينَ
قَالَ مَالِك لَا حَدَّ عِنْدَنَا إِلَّا فِي نَفْيٍ أَوْ قَذْفٍ أَوْ تَعْرِيضٍ يُرَى أَنَّ قَائِلَهُ إِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ نَفْيًا أَوْ قَذْفًا فَعَلَى مَنْ قَالَ ذَلِكَ الْحَدُّ تَامًّا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ إِذَا نَفَى رَجُلٌ رَجُلًا مِنْ أَبِيهِ فَإِنَّ عَلَيْهِ الْحَدَّ وَإِنْ كَانَتْ أُمُّ الَّذِي نُفِيَ مَمْلُوكَةً فَإِنَّ عَلَيْهِ الْحَدَّ
Malik related to me from Hisham ibn Urwa that his father said that there was only one hadd against a man who slandered a group of people.
Malik said, "If they are on separate occasions there is still only one hadd against him."
Malik related to me from Abu'r-Rijal Muhammad ibn Abd ar-Rahman ibn Haritha ibn an-Numan al- Ansari, then from the Banu'n-Najar from his mother Amra bint Abd ar- Rahman that two men cursed each other in the time of Umar ibn al- Khattab. One of them said to the other, " By Allah, my father is not an adulterer and my mother is not an adulteress." Umar ibn al-Khattab asked advice about that. One person said, "He has praised his father and mother." Another said, "His father and mother have praise other than this. We think that he is to be flogged with the hadd." So Umar flogged him with the hadd of eighty lashes.
Malik said, "There is no hadd in our view except for slander, denial or insinuation, in which one sees that the speaker intends by that denial or slander. Then the hadd is completely imposed on the one who said it."
Malik said, "What is done in our community when a man denies that another man is from his father, is that he deserves the hadd. If the mother who is denied is a slave, then he deserves the hadd as well. '