পরিচ্ছেদঃ ১২. মিত্রতার (ولاء) কারণে মীরাস লাভ করা
রেওয়ায়ত ২২. আবদুল মালিক ইবন আবী বকর ইবন আবদির রহমান তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবদুল মালিক-এর নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, আসী (عاصى) ইবন হিশাম পরলোকগমন করেন এবং তিনি রাখিয়া যান তাহার তিন পুত্র, দুইজন (তাহদের মধ্যে) সহোদর ও একজন ছিল বৈমাত্রেয় ভ্রাতা। পরে সহোদরদ্বয়ের একজনের মৃত্যু হয়। সে রাখিয়া যায় সম্পদ ও মাওয়ালী (موالى - যে সকল ক্রীতদাসকে মুক্তি দিয়াছে, সেই সব ক্রীতদাস মুক্তিদাতার মাওয়ালী) তাহার সহোদর ভাই তাহার সম্পদ ও মাওয়ালীদের অভিভাবকত্বের উত্তরাধিকারী হইল। অতঃপর যিনি সম্পদ ও অভিভাবকত্বের উত্তরাধিকার লাভ করবেন তিনি মৃত্যুবরণ করিলেন এবং রাখিয়া গেলেন পুত্র ও বৈমাত্রেয় ভ্রাতা; তাহার পুত্র বলিলঃ আমার পিতা যে সম্পদ ও অভিভাবকত্বের মালিক হইয়াছিলেন (বর্তমানে) আমি সেই সবের উত্তরাধিকারী হইয়াছি। তাহার ভাই (অর্থাৎ পুত্রের চাচা) বলিল, এইরূপ নহে। তুমি সম্পদের উত্তরাধিকারী হইয়াছ। কিন্তু মাওয়ালীদের অভিভাবকত্বের উত্তরাধিকারী তুমি নহে। তুমি কি ভাবিয়া দেখ না যদি আমার ভাই আজ পরলোকগমন করিত, আমি কি উহার উত্তরাধিকারী হইতাম না? অতঃপর তাহারা উভয়ে বিবাদ লইয়া উসমান ইবন আফফান (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হইল। তিনি [উসমান (রাঃ)] মাওয়ালীগণের স্বত্বাধিরার তাহার ভাইকে প্রদান করিলেন।
باب مِيرَاثِ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْعَاصِيَ بْنَ هِشَامٍ هَلَكَ وَتَرَكَ بَنِينَ لَهُ ثَلَاثَةً اثْنَانِ لِأُمٍّ وَرَجُلٌ لِعَلَّةٍ فَهَلَكَ أَحَدُ اللَّذَيْنِ لِأُمٍّ وَتَرَكَ مَالًا وَمَوَالِيَ فَوَرِثَهُ أَخُوهُ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ مَالَهُ وَوَلَاءَهُ مَوَالِيهِ ثُمَّ هَلَكَ الَّذِي وَرِثَ الْمَالَ وَوَلَاءَ الْمَوَالِي وَتَرَكَ ابْنَهُ وَأَخَاهُ لِأَبِيهِ فَقَالَ ابْنُهُ قَدْ أَحْرَزْتُ مَا كَانَ أَبِي أَحْرَزَ مِنْ الْمَالِ وَوَلَاءِ الْمَوَالِي وَقَالَ أَخُوهُ لَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّمَا أَحْرَزْتَ الْمَالَ وَأَمَّا وَلَاءُ الْمَوَالِي فَلَا أَرَأَيْتَ لَوْ هَلَكَ أَخِي الْيَوْمَ أَلَسْتُ أَرِثُهُ أَنَا فَاخْتَصَمَا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَضَى لِأَخِيهِ بِوَلَاءِ الْمَوَالِي
Malik related to me from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Muhammad ibn Amr ibn Hazm from Abd al-Malik ibn Abi Bakr ibn Abd ar-Rahman ibn al- Harith ibn Hisham that his father told him that al-Asi ibn Hisham had died and left three sons, two by one wife and one by another wife. One of the two with the same mother died and left property and mawali. His full brother inherited his property and the wala' of his mawali. Then he also died, and left as heirs his son and his paternal half brother. His son said, "I obtain what my father inherited of property and the wala' of the mawali." His brother said, "It is not like that. You obtain the property. As for the wala' of the mawali, it is not so. Do you think that had it been my first brother who died today, I would not have inherited from him?" They argued and went to Uthman ibn Affan. He gave a judgement that the brother had the wala' of the mawali.
পরিচ্ছেদঃ ১২. মিত্রতার (ولاء) কারণে মীরাস লাভ করা
রেওয়ায়ত ২৩. আবদুল্লাহ ইবন আবী বকর ইবন হাযম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার পিতা তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি আবান ইবন উসমান (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলেন (এমন সময়) জুহাইনা (গোত্রের) কিছু লোক এবং বনী হারিস ইবন খাযরাজ (গোত্রের) কিছু লোক বিবাদ লইয়া তাহার নিকট আসিল। আর জুহাইনা গোত্রের জনৈকা নারী বনী ইবন খাযরাজ-এর এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল, তাহাকে বলা হইত ইবরাহীম ইবন কুলাইব। (তাহার) স্ত্রী মারা যায় এবং রাখিয়া যায় ধন-সম্পদ ও আযাদ করা ক্রীতদাস উহার মীরাস পাইল তাহার স্বামী ও পুত্র। অতঃপর স্ত্রীলোকটির পুত্রটি মারা গেল। তখন স্বামীটি বলিল, মাওয়ালীগণের স্বত্বাধিকার আমার প্রাপ্য। কারণ তাহার পুত্র (উত্তরাধিকারসূত্রে) উহার মালিক হইয়াছে। জুহাইনীয়া গোত্রের লোকেরা বলিল, এইরূপ নহে। উহার (আযাদী প্রাপ্ত ক্রীতদাসগণ) হইতেছে আমাদের (গোত্রের) স্ত্রীলোকের ক্রীতদাস। [موالى যাহাদিগকে এই স্ত্রীলোক আযাদ করিয়াছে] তাহার পুত্র যখন মারা গেল তবে এই মাওয়ালীগণের স্বত্বাধিকার আমরাই পাইব। আমরা উহাদের মীরাস লাভ করিব। সব শুনিয়া আবান ইবন উসমান (রহঃ) মাওয়ালীগণের অভিভাবকত্ব প্রদান করিলেন জুহাইনীয়দের জন্য।
باب مِيرَاثِ الْوَلَاءِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَبُوهُ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ فَاخْتَصَمَ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْ جُهَيْنَةَ وَنَفَرٌ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ وَكَانَتْ امْرَأَةٌ مِنْ جُهَيْنَةَ عِنْدَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ كُلَيْبٍ فَمَاتَتْ الْمَرْأَةُ وَتَرَكَتْ مَالًا وَمَوَالِيَ فَوَرِثَهَا ابْنُهَا وَزَوْجُهَا ثُمَّ مَاتَ ابْنُهَا فَقَالَ وَرَثَتُهُ لَنَا وَلَاءُ الْمَوَالِي قَدْ كَانَ ابْنُهَا أَحْرَزَهُ فَقَالَ الْجُهَنِيُّونَ لَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّمَا هُمْ مَوَالِي صَاحِبَتِنَا فَإِذَا مَاتَ وَلَدُهَا فَلَنَا وَلَاؤُهُمْ وَنَحْنُ نَرِثُهُمْ فَقَضَى أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ لِلْجُهَنِيِّينَ بِوَلَاءِ الْمَوَالِي
Malik related to me from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Hazm that his father told him that he was sitting with Aban ibn Uthman, and an argument was brought to him between some people from the Juhayna tribe and some people from the Banu al-Harith ibn al-Khazraj. A woman of the Juhayna tribe was married to a man from the Banu al-Harith ibn al- Khazraj, called Ibrahim ibn Kulayb. She died and left property and mawali, and her son and husband inherited them from her. Then her son died and his heirs said, "We have the wala' of the mawali. Her son obtained them." Those of the Juhayna said, "It is not like that. They are the mawali of our female associate. When her child died, we have their wala' and we inherit them." Aban ibn Uthman gave a judgement that the people from the Juhayna tribe did indeed have the wala' of the mawali.
পরিচ্ছেদঃ ১২. মিত্রতার (ولاء) কারণে মীরাস লাভ করা
রেওয়ায়ত ২৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিয়াছেন সেই ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি পরলোকগমন করিয়াছে তিন পুত্র রাখিয়া, আর রাখিয়া গিয়াছে কতিপয় মাওয়ালী (ক্রীতদাস) যাহাদিগকে সে আযাদ করিয়াছে। তারপর তাহার দুই পুত্র মারা যায়। তাহারা উভয়ে রাখিয়া যায় (তাহাদের) সন্তান। সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বললেন, তাহার তিন পুত্রের মধ্যে জীবিত পুত্র মাওয়ালীগণের অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার লাভ করিবে। সেও পরলোকগমন করিলে তখন তাহার সন্তান ও তাহার (মৃত) দুই ভাইয়ের সন্তানগণ মাওয়ালীগণের সম্পদের উত্তরাধিকারের ব্যাপারে বরাবর হকদার হইবে।
باب مِيرَاثِ الْوَلَاءِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ فِي رَجُلٍ هَلَكَ وَتَرَكَ بَنِينَ لَهُ ثَلَاثَةً وَتَرَكَ مَوَالِيَ أَعْتَقَهُمْ هُوَ عَتَاقَةً ثُمَّ إِنَّ الرَّجُلَيْنِ مِنْ بَنِيهِ هَلَكَا وَتَرَكَا أَوْلَادًا فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ يَرِثُ الْمَوَالِيَ الْبَاقِي مِنْ الثَّلَاثَةِ فَإِذَا هَلَكَ هُوَ فَوَلَدُهُ وَوَلَدُ إِخْوَتِهِ فِي وَلَاءِ الْمَوَالِي شَرَعٌ سَوَاءٌ
Malik related to me that he had heard that Said ibn al-Musayyab spoke about a man who died and left three sons and left mawali whom he had freed. Then two of his sons died and left children. He said, "The third remaining son inherits the mawali. When he dies, his children and the children of his brothers share equally in the wala' of the mawali."